No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    চাঁদের পাহাড় ছুঁয়ে এবার সাইকেলে কুয়ালালামপুর-বালি পাড়ি ‘গাছ-মানুষ’ উজ্জ্বলের

    চাঁদের পাহাড় ছুঁয়ে এবার সাইকেলে কুয়ালালামপুর-বালি পাড়ি ‘গাছ-মানুষ’ উজ্জ্বলের

    Story image

    প্রথম বাঙালি হিসেবে সাইকেল নিয়ে উঠেছেন ‘চাঁদের পাহাড়’ কিলিমাঞ্জারোর চুড়োয়। সাহারার বুক চিড়ে সাইকেল নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন কয়েকশো মাইল। সাইকেল নিয়ে গেছেন তুর্কি ও অন্যত্র নানা জায়গায়, দেশে-বিদেশে। নিছক খেয়ালের বশে ভূপর্যটক হিসেবে নয়, উজ্জ্বল পালের এহেন সাইকেলযাত্রার আড়ালে থাকে সবুজের বার্তা। উজ্জ্বল তার নাম দিয়েছেন ‘গ্রিন অন হুইল’। 

    যেখানেই যান, সবুজ বাঁচানোর বার্তা বুনে দেওয়ার চেষ্টা করেন উজ্জ্বল। ‘জীবনে অন্তত একটি গাছ লাগান এবং তাকে বড়ো করে তুলুন।’—এটাই তাঁর স্লোগান। পথে যেখানেই স্কুল পান, সেখানেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গেঁথে দেন পরিবেশকে বাঁচানোর বোধ। রাস্তায়-রাস্তায় বন্ধু পাতান। সেখানেও পরিবেশ নিয়ে সচেতন করেন সবাইকে। এবারে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই উজ্জ্বল পাড়ি জমিয়েছেন কুয়ালালামপুর। তাঁর সাইকেল এখান থেকে বালির উদ্দেশে ছুট লাগাবে কাল।

    একসময় চাকরি করতেন কর্পোরেট সংস্থায়। ছেড়ে দিলেন চাকরি। বীরভূমের গৌড়নগরে একটি মাটির বাড়িতে থাকেন, স্বপাক খান, চাষ করেন। বাড়িতে ইলেকট্রিসিটিও নিতে চাননি। গ্রামের কচি-কাঁচাদের নিয়ে হাজারো কর্মকাণ্ড চলে তাঁর। সবই প্রকৃতিকে ভালোবাসার পাঠ। কখনো গাছ লাগানো, রাস্তার দু’ধারে বীজবপন করতে করতে যাওয়া। বকখালির সমুদ্রসৈকত থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য উদ্ধার-অভিযানেও সামনের সারিতে তিনি। এরই মধ্যে আসে সাইকেল নিয়ে বেরোনোর ডাক। নিজের স্বপ্নকে যতটা দূর অবধি ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেটাই লক্ষ্য।

    সদাহাস্যময় উজ্জ্বল জানালেন, কুয়ালালামপুর দিব্বি লাগছে। রাস্তার খাবার, স্থানীয় মানুষের উষ্ণতা উপভোগ করছেন তিনি। সাইকেল-বাহন ‘চেতক’ প্রস্তুত হচ্ছে দূরপাল্লার দৌড়ের জন্য। রাতে পথের পাশেই হয়তো তাঁবু পড়বে। শারীরিক কষ্ট, অ্যাডভেঞ্চার, অসংখ্য নতুন মানুষের বন্ধুত্ব মিলে-মিশে উপচে পড়বে তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলি। সঙ্গে, সবুজের বার্তা তো থাকবেই।  

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @