No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    বিজেপিকে গোল দিয়ে, বামকে ভ্যানিশ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস

    বিজেপিকে গোল দিয়ে, বামকে ভ্যানিশ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস

    Story image

    লড়াইটা ছিল খুব কঠিন। নরেন্দ্র মোদি - অমিত শাহদের সঙ্গে লড়াই ছিল বাংলা বাঁচানোর। অবশেষে সেই লড়াইয়ে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজার হাজার স্লোগানের মধ্যে থেকে উঠে এসেছিল “খেলা হবে” এবং “বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়”। কোভিড পরিস্থিতিতে আট দফার নির্বাচনে মানুষ সোচ্চারে জানিয়ে দিয়েছে বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়। “দিদি ও দিদি”-র ঝড় এক্ষেত্রে খাটলো না। প্রায় ২১৫ আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় এল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই জয় বাংলার মানুষের জয়৷ আসলে মানুষ চাননি, এ রাজ্যে বহিরাগত শক্তি রাজত্ব করুক।

    পাশাপাশি উল্লেখ্য, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেছিলেন বিজেপি দুই অংক পেরোবে না। তাই-ই হল। বামদুর্গকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে এবং গেরুয়াশক্তিকে তুড়ি মেরে ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন মমতা।

    এই নির্বাচনে বাংলার চোখ ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। সেখানে ছিল দুই মেরুর প্রেস্টিজ ফাইট। যদিও কাউন্টিং-এর পরেও নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করতে দেরি করে এবং পুনর্গণনাও হতে পারে বলে জানানো হয়। তারপর কমিশনের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ফল অপ্রত্যাশিত এবং অস্বস্তিকর। যদিও তৃণমূল থেকে জানানো হয়েছে তারা কোর্টে যাবে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে।প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও সাংসদ শশী তারুর ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা এবং অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অসাধারণ জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন। বাংলায় হেরে বিজেপি বুঝেছে কাদের সঙ্গে লড়তে এসেছিল।’

    অন্যদিকে লালু প্রসাদ যাদব লেখেন, ‘মমতাজীকে এই ঐতিহাসিক জয়ের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা। সবরকম প্রতিবন্ধকতাকে পার করে এই জয়। আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকেও অভিনন্দন জানাতে চাই। যাঁরা বিজেপির অপপ্রচারের ফাঁদে না পড়ে দিদির উপর আস্থা রেখেছেন।’

    দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল জানিয়েছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই জয়ের জন্য অভিনন্দন। কী অসাধারণ লড়াই! পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেও আমার শুভেচ্ছা।’

    পাশাপাশি খুব উল্লেখযোগ্য বিষয় এদিন ট্যুইট করেছেন প্রশান্ত কিশোর। তাঁর মতে, ‘‘কংগ্রেস নয়, এই ভোটে জিতে গোটা দেশের প্রধান বিরোধী মুখ হয়ে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    দাঁত ফোটাতে পারলেন না দলবদলু রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, জিতেন্দ্র তেওয়ারি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, বৈশালী ডালমিয়ারা। তৃণমূল বলছে, ‘খেলা শেষ’। জয় ঘোষণার পর গতকাল সন্ধেতে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছেন, এবার বিনামূল্যে রাজ্যকে ভ্যাকসিন না দিলে দীর্ঘমেয়াদি আন্দোলনে যাবেন।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @