No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    শান্তিনিকেতনের ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ ভারতীয় ডাক বিভাগের

    শান্তিনিকেতনের ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ স্বীকৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ ভারতীয় ডাক বিভাগের

    Story image

    শান্তিনিকেতন আম্রকুঞ্জে ৮ পৌষ ১৩২৮ (২৩ ডিসেম্বর ১৯২১) বিশ্বভারতী-পরিষদের উদ্বোধন সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন : “এই বিশ্বভারতী ভারতবর্ষের জিনিস হলেও একে সমস্ত মানবের তপস্যার ক্ষেত্র করতে হবে।” শান্তিনিকেতন ছিল খোলা আকাশের নীচে, প্রকৃতির কোলে ছাত্রছাত্রীদের মুক্তি। কিন্তু বিশ্বভারতীর উদ্দেশ্য আরও বড়ো। জাতি, ধর্মের বিভেদ ভুলে বিশ্বজনীন জ্ঞানচর্চা। রবীন্দ্রনাথের সেই স্বপ্নের সাধনাক্ষেত্রটি শতবর্ষ পেরিয়েছে। ২০২৩ –এ কবির কর্মতীর্থ শান্তিনিকেতন পেয়েছে ইউনেসকোর (UNESCO) লিভিং ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র স্বীকৃতি। এবার সেই স্বীকৃতিকেই স্মরণীয় করে রাখার উদ্যোগ নিল ভারতীয় ডাক বিভাগ।

    সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও সংগীত ভবনের পড়ুয়ারা। সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে ডাক টিকিট, পোস্ট কার্ড নিয়ে প্রদর্শনীরও আয়োজন করেছিল ডাক বিভাগ।

    শুধু ভারতীয় বা বাঙালির কাছে নয়, বিশ্ববাসীর কাছে রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতনের গুরুত্ব কতখানি তা আলাদা করে বলবার দরকার পড়ে না। ইউনেসকোর স্বীকৃতির পর সেই বিষয়টিকেই এবার সম্মান জানাতে ২০ আগস্ট, সোমবার শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রচ্ছদ-পোস্টকার্ড, আটটি ডাকটিকিট সহ বই, বিশেষ ষ্ট্যাম্প প্রকাশ করেছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। যৌথভাবে বিশ্বভারতী ও ভারতের ডাক বিভাগ এই উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শান্তিনিকেতনের লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও সংগীত ভবনের পড়ুয়ারা। সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে ডাকটিকিট, পোস্ট কার্ড নিয়ে প্রদর্শনীরও আয়োজন করেছিল ডাক বিভাগ।

     

    এদিন অনুষ্ঠানে ভারতীয় ডাক বিভাগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য পোস্ট মাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার, কলকাতা জোনের পোস্ট মাস্টার জেনারেল অশোক কুমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রভবনের ডিরেক্টর অমল পাল, শান্তিনিকেতন হেরিটেজ সেলের কোঅর্ডিনেটর স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়, বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ সহ অন্যান্যরা। বিশ্বভারতীর রীতি ও ঐতিহ্য মেনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। সমস্ত চিঠি, সামগ্রী, তথ্য নিয়ে শান্তিনিকেতন থেকে প্রতিদিন কলকাতার উদ্দেশ্যে একটি গাড়ি যাতায়াত করবে বলেও ডাক বিভাগ ঘোষণা করে।

    শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, উদয়ন, উদীচী, পুনশ্চ, শ্যামলী, কালোবাড়ি, তালধ্বজ ও চৈত্য এই আটটি বাড়ির ছবি সম্বলিত পোস্টকার্ডও এদিন প্রকাশ করা হয়।

    বিশ্বভারতীর গোল্ডেন জুবিলি বর্ষে প্রকাশিত একটি পোস্টকার্ড ও ষ্ট্যাম্প

    এদিন ঐতিহ্যবাহী সিংহ সদনের ছবি দিয়ে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন’ শীর্ষক প্রচ্ছদ প্রকাশ করে ভারতীয় ডাক বিভাগ। পাশাপাশি, শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, উদয়ন, উদীচী, পুনশ্চ, শ্যামলী, কালোবাড়ি, তালধ্বজ ও চৈত্য এই আটটি বাড়ির ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অতীতে কবির জীবনের নানা মুহূর্ত নিয়ে যত ডাক টিকিট, পোস্ট কার্ড, কভার তৈরি করেছে ডাক বিভাগ, সেগুলি একত্রিত করে প্রকাশিত হয়েছে একটি বই। একই সঙ্গে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন’ শীর্ষক একটি স্থায়ী স্ট্যাম্প তৈরি হয়েছে, যা এবার থেকে শান্তিনিকেতন ডাকঘরে ব্যবহৃত হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্য পোস্ট মাস্টার জেনারেল নীরজ কুমার বলেন, রবীন্দ্রনাথের আদর্শ ও ভাবনা যাতে দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে সেই কাজে সর্বদা সচেষ্ট থাকবে ডাক বিভাগ।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @