রাজ্যের প্রথম ভার্টিক্যাল গার্ডেন নিউটাউনে

জমির সমতলে নয়, আকাশপানে লম্বালম্বি উঠে গেছে বাগান। তাতে ফুল ফুটছে, শাকসব্জি, তরিতরকারিও জন্মাচ্ছে। এই ধরনের বাগানকে বলা হয় ভার্টিক্যাল গার্ডেন। পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশে মিলান, প্যারিস, সিঙ্গাপুর, মেক্সিকো সিটির মতো শহরে তো বটেই, আমাদের দেশেও ব্যাঙ্গালুরু, পুনে, হায়দ্রাবাদ, কোচি, দিল্লিতেও ভার্টিক্যাল গার্ডেন দেখা যায়। আমাদের রাজ্যের প্রথম ভার্টিক্যাল গার্ডেন তৈরি হয়েছে নিউটাউনে। মাস দুয়েকের মধ্যে গোটা শহরে আরও কয়েকশো এই ধরনের বাগান গড়ে তুলতে চলেছে নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন পর্ষদ (এনকেডিএ)।
নজরুল তীর্থের পাশে তৈরি হয়েছে রাজ্যের প্রথম ভার্টিক্যাল গার্ডেন। শহরের ধুলো কমাতে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এই ধরনের বাগান খুবই উপযোগী। এর পাশাপাশি ভার্টিক্যাল গার্ডেন বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড কমিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস দেয় বলেও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। এরপর মেট্রো, ফ্লাইওভারের পিলার, বহুতলের দেওয়ালে পরিকল্পনা করে আরও ভার্টিক্যাল গার্ডেন তৈরি হবে। লাগানো হবে মূলত ভেষজ গাছ। শহরের দূষণ কমাতে তো বটে, নিউটাউনের সৌন্দর্যায়নেও ভার্টিকাল গার্ডেনগুলি যথেষ্ট সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মুক্ত এবং বিশুদ্ধ বাতাসের সংবাদে নিউটাউনের অধিবাসীরা দারুণই খুশি। এনকেডিএ-র এই উদ্যোগকে পরিবেশবিদরাও স্বাগত জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই নিউটাউন শহরকে দূষণমুক্ত করার জন্য এনকেডিএ নানা রকমের উদ্যোগ নিয়েছে। বছর খানেক আগে তারা এক টাকার বিনিময়ে অ্যাপ পরিচালিত সাইকেল চালু করেছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে। বড়ো মাপের সংস্থাগুলোকে জানানো হয়েছে যে নিউটাউনে অবস্থিত সব অফিসের অন্তত ২৫ শতাংশ কর্মীর সাইকেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। আলাদা সাইকেল রাস্তা তৈরির কাজও খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে বলে প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে। চালু হচ্ছে আরও তিনটি ব্যাটারিচালিত বাস। ই-রিক্সার সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।