দমদম এলাকার সবচেয়ে বড়ো রাসের মেলা নিমতায়

কলকাতার উত্তরে দমদম অঞ্চলে নিমতা একটি পুরোনো জনপদ। এক সময়ের নিমতা গ্রাম এখন উত্তর দমদম পৌরসভার অধীনে। গত ৫২ বছর ধরে এখানকার রাইকিশোরী বঙ্কুবিহারী মন্দিরের রাসযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে রাস পূর্ণিমার সময় এক জমজমাট মেলা বসে। আশেপাশের লোকজনের কাছে এই মেলা ‘রাসের মেলা’ নামে পরিচিত। এবছর ২৫ নভেম্বর রবিবার মন্দিরের সামনে মেলা শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর শনিবার পর্যন্ত। মেলার আয়োজনে মন্দির কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে ঐক্যতান স্পোর্টিং ক্লাব। সমস্ত দমদম বেল্টে আর কোথাও এত বড়ো মেলার আয়োজন হয় না এবং এই রকম জনসমাগমও আর কোথাও দেখা যায় না বলেই মেলায় ঘুরতে আসা মানুষদের মতামত। আজকের বঙ্গদর্শনে রইল নিমতার সেই রাসের মেলা থেকেই তুলে আনা কিছু বাছাই করা ছবি, যেগুলো আপনাকে মেলার স্বাদ পেতে খানিকটা সাহায্য করতে পারে। হাতে সময় থাকলে আগামী শনিবারের মধ্যে একবার হানাও দিতে পারেন মেলায়। বেলঘরিয়া অথবা বিরাটি স্টেশন থেকে পাইকপাড়া কিংবা গোলবাগানের অটো ধরে নামতে হবে শ্যামাপ্রসাদনগর হাইস্কুলের সামনে। কোনো এক সন্ধেয় আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে সহজেই ঘুরে আসা যায়। এবার চলুন, মেলার ছবিগুলো এক এক করে দেখি...
নিমতা রাইকিশোরী বঙ্কুবিহারী মন্দির। এই মন্দিরের রাসযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করেই মেলা বসে প্রত্যেক বছর।
হরেক মালের বিপুল সম্ভার।
জিভে জল আনা নিরামিশ-আমিশ হরেক রকমের খাবার-দাবার।
রয়েছে বিশাল এক বাক্স সাজানো ফুচকা।
ছোটোদের বসিয়ে দিতে পারেন এই জলাশয়ের নৌকোতে।
কাচের-চিনেমাটির কাপ-প্লেট-গ্লাস এবং আরও অনেক কিছু।
গয়না থেকে সাজগোজের বিভিন্ন উপকরণ সব হাজির।
মন ভালো করা সব মিষ্টি, সেগুলো ছাড়া কোনো মেলাই জমে না।
আপনার সন্তান পেয়ে যেতে পারে পছন্দের খেলনা।
মিকি মাউস রয়েছে ছোট্ট সোনাদের আনন্দ দিতে।
চেখে দেখতে পারেন বন্দুকের নিশানা।
সাজানো আছে পাপড়ি চাট, পাপড়ি টিকিয়া চাট, ঘুগনি টিকিয়া চাট।
পিঠে ছাড়া শীতকাল ঠিক জমে না।
খিদে পেলে ব্যবস্থা আছে গরমাগরম তেলেভাজার
নানা রুচির রংবেরং-এর ব্যাগ।