নিজের তৈরি হাসপাতালকে কোয়ারান্টাইন সেন্টার গড়ার জন্য দিলেন ট্যাক্সিচালক সইদুল

নিজের সর্বস্ব দিয়ে তৈরি করেছেন হাসপাতাল। এবার কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরির জন্য সেই হাসপাতাল রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিলেন বারুইপুরের ট্যাক্সিচালক মহম্মদ সইদুল লস্কর।
বোন মারুফা খাতুন প্রয়াত হলে সইদুল প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, গ্রামের আর কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। তিলে তিলে অর্থ জোগাড় করে হাসপাতাল তৈরি করেছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্ত্রী শামিমা। সেই মারুফা মেমোরিয়াল হসপিটালকে কোয়ারান্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিলেন সইদুল। পাশাপাশি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর আপৎকালীল ত্রাণ তহবিলে ৫০০০ টাকা দান করেছেন।
বারুইপুরের পূর্ণি গ্রামে সইদুলের তৈরি করা এই দোতলা হাসপাতালে শয্যা আছে ৫৫টি। ইতিমধ্যেই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন বিডিও এবং কয়েকজন সরকারি আধিকারিক। সেখানে কোয়ারান্টিন সেন্টার গড়ে তোলা যায় কিনা, সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।