স্বামী বিবেকানন্দ ও গোরক্ষিণী সভার সম্পাদকের কথোপকথন

একদিন গোরক্ষিণী সভার সম্পাদক এসেছেন স্বামীজীর সঙ্গে দেখা করতে। স্বামীজী জিজ্ঞেস করলেন ‘আপনাদের সভার উদ্দেশ্য কী?’
সম্পাদক – আমরা স্থানে স্থানে পিজরাপোল স্থাপন করছি। দুর্বল, রুগ্ন, জরাগ্রস্থ গোমাতাদের আমরা সেখানে রেখে পালন করি। তাছাড়া কসাইদের হাত থেকে তাদের রক্ষার ব্যবস্থাও করি।
স্বামীজী – উদ্দেশ্য সৎ সন্দেহ নেই। কিন্ত মধ্যভারতে শুনেছি নাকি প্রায় নয় লক্ষ লোক মারা গেছে অনাহারে। এই দুর্ভিক্ষ নিবারণে কত টাকা সাহায্য করেছেন আপনারা?
সম্পাদক – দুর্ভিক্ষে সাহায্য আমরা করি না। গোমাতাদের রক্ষা করাই আমাদের পরম ধর্ম।
স্বামীজী – আর মানুষ মরে গেলে তার মুখে এক মুঠো অন্ন দেওয়া বুঝি আপনাদের ধর্ম নয়?
সম্পাদক – মানুষ মরছে নিজের কর্মফলে, নিজের পাপে, নিজের –
স্বামীজী – আর গোমাতারা? তারা যে কসাইদের হাতে পড়েন সেও তো তাদের কর্মফল। তবে আর তাদের বাঁচাবার কী দরকার?
সম্পাদক – তা আপনি যা বলছেন তা সত্য – তবে শাস্ত্রে আছে গাভী আমাদের মাতা।
স্বামীজী – হ্যাঁ, গাভী যে আপনাদের মাতা তা বুঝতে পারছি আমি – নইলে এমন সব ছেলে জন্মাবে কেন?
(ঋণ – শান্তা শ্রীমানী লিখিত ‘মনীষীদের রসিকতা’)