‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের সাফল্য : প্রথম কিস্তির ভাতা পৌঁছাল ৬২ লক্ষ চাষির ঘরে

নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়া হবে। এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষার কাজ৷ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার এক মাসের মধ্যেই ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভাতা ৫,০০০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০,০০০ করে দেওয়া হল। প্রথম দিনেই বাংলার প্রায় ১০ লক্ষ কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে প্রথম কিস্তির ২৯০ কোটি টাকা। এখন ১৫ দিন পার হয়ে গিয়েছে। সরকারি রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬২ লক্ষ কৃষকের ঘরে পৌঁছে গিয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা। এত অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক কৃষককে ভাতা পৌঁছে দিয়ে নজির গড়েছে তৃণমূল সরকার।
প্রথম কিস্তিতে মোট ১৮০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই বছরের শেষের দিকে কৃষকদের ঘরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও পৌঁছে যাবে। যাঁদের জমি এক একরের কম তারাও এই প্রকল্পে বছরে দু’হাজার টাকা পেতেন। এবার সেটা বাড়িয়ে চার হাজার টাকা করা হয়েছে। কেন্দ্রের যে কৃষক ভাতা প্রকল্প রয়েছে, সেখানে যেসব কৃষকের দু’একরের বেশি জমি রয়েছে, তারাই একমাত্র ভাতা পায়। রাজ্য সমস্ত কৃষককে তার ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আওতায় এনেছে। এমনকি, যেসব খেতমজুর, বর্গাদারদের সামান্য জমি তাদেরও এই প্রকল্পে যুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে। এই প্রকল্পে বার্ষিক ভাতা ছাড়াও কৃষকদের দু’লক্ষ টাকার জীবনবিমা করে দেওয়া হয়। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর রাজ্যের ২৮ হাজার কৃষক পরিবার মৃত্যুকালীন বিমার সুবিধা পেয়েছে।
রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্প নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। বিশেষ করে এই অতিমারীর সময়ে কৃষক ও তাঁদের পরিবার খুবই উপকৃত হবেন। গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে বিশ্বাস রাজ্য সরকারের।