মুখে মুখে সুকুমার

আমরা প্রতিনিয়ত কথা বলার সময় যে সব শব্দ ব্যবহার করি, যাকে বাংলা ভোকাবুলারি বলা যেতে পারে, কবি সাহিত্যিকদের লেখায়, রক, ফুটপাথ, গরিব মানুষের ভাষায় তা নিয়মিত পুষ্ট হতে থাকে। আজ সুকুমার রায়ের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে, সুকুমারের কোন কোন শব্দ বা শব্দগুচ্ছ আমরা এখন কথায় কথায় ব্যবহার করি তার একটি তালিকা এখানে তৈরি করার চেষ্টা হল। বলা বাহুল্য, তালিকাটি অসম্পূর্ণ। পাঠকেরা অবশ্যই, আমার মন এড়িয়ে গেছে এমন আরও শব্দ যুক্ত করে তালিকাটিকে মূল্যবান করে তুলবেন, এই আশা রাখি। ক্রমিক সংখ্যায় তালিকাটি করা হল। তবে কোন শব্দটি তিনি আগে ব্যবহার করেছেন, কোনটি পরে, তা এই তালিকা-ক্রম দেখে বোঝা যাবে না। আমরা শুরু করি আবোল তাবোলের ‘রামগরুরেরছানা’ দিয়ে। কোনও গোমড়ামুখোকে আমরা প্রায়ই বলে থাকি, অমন রামগরুরেরছানার মতো মুখ করে বসে আছিস কেন?
১) রামগরুড়ের ছানা
২) হাঁসজারু
৩) হেড অফিসের বড়বাবু
৪) আরেকটি সে তৈরি ছেলে, জাল করে নোট গেছেন জেলে
৫) খুড়োর কল
৬) বাবুরাম সাপুড়ে
৭) কুমড়োপটাশ
৮) খাচ্ছে কিন্তু গিলছে না
৯) হুঁকোমুখো হ্যাংলা
১০) নারদ! নারদ!
১১) পান্তুভূত
১২) ট্যাঁশ গরু
১৩) ষষ্ঠিচরণ
১৪) পাগলা দাশু
১৫) দ্রিঘাংচু
১৬) হলদে সবুজ ওরাং ওটাং
১৭) হেশোরাম হুঁশিয়ার
১৮) হ্যাংলাথেরিয়াম
১৯) ল্যাগব্যাগর্নিস
২০) চিল্লানোসোরাস
২১) হযবরল (হযবরল কথাটা আলালের ঘরের দুলালেও পাওয়া যায়)
২২) ছিল বেড়াল হল রুমাল
২৩) সাত দুগুণে কত হয়?
২৪) গেছোদাদা
২৫) হাতে রইল পেনসিল
২৬) ছাব্বিশ ইঞ্চি
২৭) বয়স বাড়তি না কমতি
২৮) কাকেশ্বর কুচকুচে
২৯) ভগ্নাংশ না ত্রৈরাশিক
৩০) হিজবিজবিজ
৩১) ন্যাড়া
৩২) তিন মাস জেল আর সাত দিনের ফাঁসি