উৎসবের আনন্দ সকলের - মানবিক উদ্যোগ নিল SHER

মানব-বন্যপ্রাণী দ্বন্দ্ব থাকলেও বাস্তুতন্ত্রে এর সহাবস্থান রয়েছে। বাস্তবে এই সহাবস্থান টিকিয়ে রাখতে গেলে প্রয়োজন সচেতনতা ও সমন্বয়। সচেতনতা তখনই গড়ে উঠবে যখন নিদারুণ জীবনসংগ্রামে ব্যস্ত দক্ষিণ বাংলার বন্যপ্রাণ প্রভাবিত এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনে অগ্রগতি আসবে, যখন তাঁদের মুখে হাসি ফুটবে। বিগত কয়েক বছর ধরে সেই কাজটিই করে চলেছে সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিকাল রিসার্চেস বা ‘শের’ (SHER- Society for Heritage and Ecological Researches)।
দক্ষিণ বাংলার বন্যপ্রাণ প্রভাবিত এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করছে ‘শের’। পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে এই বেসরকারি সংগঠনটি।
দক্ষিণ বাংলার বন্যপ্রাণ প্রভাবিত এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের জন্য দীর্ঘদিন কাজ করছে ‘শের’। পশ্চিমবঙ্গের বন বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগে অংশগ্রহণ করে এই বেসরকারি সংগঠনটি। প্রান্তিক মানুষগুলির সঙ্গে বোঝাপড়ার সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে সারা বছরই নানা কর্মযজ্ঞ আয়োজন করে। সেই কর্মযজ্ঞের একটি অংশ হিসেবে, শুধু এ বছর নয়, বিগত বারো বছর ধরেই উৎসবের মরসুমে দক্ষিণবঙ্গের বন্যপ্রাণ প্রভাবিত অঞ্চলে গিয়ে বিচ্ছিন্ন মূল মানুষের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেন তাঁরা। এ বছরও তার অন্যথা হয়নি। বরং এবছর আনন্দদের ভাগ একটু বেশি।
‘শের’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ কুণ্ডু বঙ্গদর্শন.কম-কে বলেন, “১৩তম বছরে এই আনন্দযজ্ঞের অংশীদার অনেকেই। অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। ব্যক্তি মানুষ, বিভিন্ন সংগঠন সহ ১৮টি স্কুল এবার আমাদের সাহায্য করেছে। যেকারণে, এবছর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ সংলগ্ন এলাকা সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য বন্যপ্রাণ প্রভাবিত অঞ্চলে গিয়ে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার হাতে আমরা তুলে দিতে পেরেছি ৭০০০-এর বেশি নতুন জামা। কালীপুজোর আগে আরও কিছু দেওয়া হবে।”
মাতৃআরাধনা সকলের জন্যই নতুন জীবন, আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। মায়ের কাছে তাঁর সব সন্তানই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সামর্থ অনুযায়ী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছে ‘শের’। প্রান্তিক অঞ্চলের ছোটো ছোটো বাচ্চা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মুখের হাসিই তাদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ন করে দেয়।