১৯ মে’র ভাস্কর্য

ক্ষমতা যতই ভুলতে বলুক ভুলতে দেবেনা ওরা। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা মাথা উজিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। বলবে ১৯মে-র রক্তাক্ত ইতিহাসের কথা। বলবে মাতৃভাষাকে লালনের কথা, বাংলা ভাষায় স্বপ্ন সৃজনের কথা। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়, করিমগঞ্জ, লক্ষীপুর, শিলচর রেল স্টেশন, রাঙ্গিরখাড়ি তরণী রোড এবং উধারবন্দে ভাষা আন্দোলনকে জ্বলন্ত রেখেছে তাঁর ভাস্কর্য। তিনি স্বপন পাল।

বড়দা মাধবচন্দ্র পাল ছিলেন ভাষা আন্দোলনের যোদ্ধা। ছোট থেকেই তাঁর মুখে মুখে আন্দোলনের গল্প শুনে বড় হয়ে ওঠা। কখন যে সংগ্রামী ঐতিহ্যের শিকড় চেতনা স্পর্শ করেছে জানতে পারেননি স্বপন। তাই ২০০০ সালে যখন প্রথম ভাষা স্মারক গড়ার ডাক পান, ঠিক করেন আন্দোলনের গতিময়তাকে চারিয়ে দেবেন তাঁর কাজের ভিতরে।
তবে কেবল ১৯৬১ নয়, ১৯৭২ এবং ১৯৮৬ সালেও শিলচর সাক্ষী থেকেছে ভাষা আন্দোলনের। তাই বরাকের এই সার্বিক ভাষা আন্দোলনকে নিয়েই কাজ করেছেন স্বপন।
কোথাও মায়ের মুখের আদল আবার কোথাও পাখি হয়ে উঠেছে মাতৃভাষা। তাঁর ভাস্কর্যগুলির সঙ্গে জড়ানো বরাক উপত্যাকার মানুষের আত্মপরিচয়।