ঠিকানাহীন বা ঠিকানার উদ্দেশ্যে ওরা হাঁটছে মাইলের পর মাইল, সনাতন দিন্দা আঁকলেন ঘরে ফেরার ছবি

ওরা হাঁটছে। হাঁটছে মাইলের পর মাইল। ওরা উড়ে যাচ্ছে। ঠিকানাহীন। অথবা ঠিকানার উদ্দেশ্যে। অথবা রাস্তাই একমাত্র ঠিকানা। মাইলের পর মাইল। হাতে পুঁটলি। কোলে শিশু। দূর থেকে হয়তো ভেসে আসছে, “কান্দিয়া আকুল হইলাম ভবনদী পারে/ মাঝি তোর নাম জানি না/ আমি ডাক দিমু কারে/ মন তোরে কে বা পার করে” – গানের এই লাইনের মতোই তারা কেউ একে অপরের নাম জানে না। অথবা হাঁটতে হাঁটতেই পরিচয় হয়ে যাচ্ছে পাশের মানুষটির সঙ্গে। দেশ তাদের নাম দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক। পরিযায়ী। ঠিক পাখির মতোই। ওদের উড়ে যাওয়াও তাই।
নিজের কাজ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলছেন সনাতন দিন্দা
ঠিক এমনই এক চিত্র কয়েকদিন আগে সবার চোখে পড়েছিল। রাতের ঘুম কেড়েছিল। শিল্পীরা সেসব দৃশ্য, যন্ত্রণা নিজেদের মতো নতুনভাবে সৃষ্টি করেছিলেন। কয়েকদিন আগেই আমরা দেখেছি দিল্লি থেকে প্রায় ৫০,০০০ পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন পায়ে হেঁটে। লকডাউন চলাকালীন তাঁরা প্রত্যেকেই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কীভাবে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন, এ কথা বড়োবাবুরা বলে দেননি। অতএব হাঁটাই ছিল তাঁদের একমাত্র পৌঁছানোর উপায়। তাঁরা হাঁটছেন ২০০ মাইল – ৪০০ মাইল – ৭০০ মাইল।
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গদর্শন শুরু করেছিল ‘ঘরে ফেরা’ সিরিজ। গৃহবন্দি অবস্থায় চিত্রশিল্পীরা কীভাবে এই পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন বা মোকাবিলা করছেন, তা তাঁদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। আজ ঘরে ফেরা সিরিজে রইলেন প্রখ্যাত শিল্পী সনাতন দিন্দা। তাঁদের সারাবছরের চিন্তা লকডাউনে দুশ্চিন্তায় পরিণত হয়েছে। তাঁর ছবিতেও ধরা পড়ছে সেইসব দৃশ্য। হতাশার দৃশ্য। দারিদ্র্যের দৃশ্য। যন্ত্রণার দৃশ্য। দৃশ্য হয়তো আশাবাদেরও।
১
২
৩
৪
৫
৬
চিত্রশিল্পী- সনাতন দিন্দা