No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    রামকৃষ্ণ মিশনে তৈরি সেফ হোম, সঙ্গে দুঃস্থদের জন্য কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রও

    রামকৃষ্ণ মিশনে তৈরি সেফ হোম, সঙ্গে দুঃস্থদের জন্য কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রও

    Story image

    করোনা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষ থেকে অধিকাংশ সরকারি বেসরকারি সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তেমনই এবার সামিল হয়েছে বেলুড় মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। মিশন পরিচালিত পলিটেকনিক কলেজ শিল্পমন্দিরে কয়েকটি ক্লাসরুম ও প্রার্থনা কক্ষ খুলে দেওয়া হল কোভিড চিকিৎসার জন্য। সেখানে তৈরি হয়েছে ৫০ শয্যার সেফ হোম। স্বল্প লক্ষণযুক্ত কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় এই সেফ হোমের ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ কর্তৃপক্ষ। নূন্যতম পরিকাঠামো গড়তে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তাঁরা। রোগীদের পরিষেবায় সেই সেফ হোমে থাকবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

    বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী দিব্যানন্দ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের উদ্যোগে ৫০ শয্যার নিখরচার সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স, অক্সিজেন, ওষুধ ও অন্যান্য সুবিধা যুক্ত এই সেফ হোমে অল্প মাত্রায় সংক্রমিত রোগীদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিশেষত বালি, বেলুড় ও আসপাশের এলাকায় যাদের বাড়িতে সম্পূর্ণ আইসোলেশনের সুবিধা নেই, এমন রোগীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।” বেলুড়মঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঠের পলিটেকনিক কলেজের ক্যাম্পাসে এই সেফ হোম চালু হবে। সেখানে কয়েকটি ক্লাস রুম ও প্রার্থনা কক্ষকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে। সেমিনার হলকেও এই কাজে লাগানো হবে।

    এদিকে এই অতিমারিতে দুঃস্থদের পাশেও দাঁড়িয়েছে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন। কম খরচে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে মিশনের তরফে। এখানে কম খরচে করানো যাবে আরটিপিসিআর পরীক্ষা। এমনটাই জানা গিয়েছে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষণ মন্দির সূত্রে। এই পরিষেবা দিতে মঠের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। জানা গিয়েছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি প্রতি টেস্ট পিছু ৮০০ টাকা নেবে। তবে সাধারণ মানুষ ৩০০-৩৫০ টাকায় করাতে পারবেন ওই পরীক্ষা। ভর্তুকি বাবদ বাকি টাকা দেবে বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন।

    বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে শিক্ষণ মন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী দিব্যগুণানন্দ বলেছেন, ‘‘প্রথমে সপ্তাহে দু’দিন এই পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে তা বাড়িয়ে সপ্তাহে ৪ দিন করা হবে। প্রথমে ৫০-৭০ জন মানুষ পরীক্ষা করাতে পারবেন। পরবর্তী পর্যায়ে তা বাড়িয়ে ১০০ জনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।”

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @