No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনন্দধারা-য় তাঁকে ঘিরে মিউজিয়াম, শতবর্ষে নানা অনুষ্ঠান

    কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনন্দধারা-য় তাঁকে ঘিরে মিউজিয়াম, শতবর্ষে নানা অনুষ্ঠান

    Story image

    বীন্দ্রনাথের গান আমাদের গভীরতম আনন্দের এবং নিবিড়তম বেদনার সঙ্গী। তাঁর গান যেন এই বিশ্বের সকল আলো অন্ধকার, বিরহ মিলন, জীবন-মৃত্যুর একমাত্র অবলম্বন যা আমাদের পৌঁছে দেয় সেই ‘বহু জনতার মাঝে অপূর্ব একা’র কাছে । ‘বাহিরের প্রকাশের অন্তরালে যে একটি অন্তরের প্রকাশ আছে’ সেই অন্তরের প্রকাশের কথাই বারবার ফিরে ফিরে এসেছে তাঁর গানের কথায় এবং সুরে। ‘সংগীত’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ‘আমাদের সঙ্গীত মানুষের প্রমোদশালার সিংহদ্বারটা ধীরে ধীরে খুলিয়া দেয় এবং জনতার মাঝখানে অসীমকে আহ্বান করিয়া আনে। আমাদের সংগীত একের গান একলার গান – কিন্তু তাহা কোণের এক নহে, তাহা বিশ্বব্যাপী এক’। এই ‘একের গান’ ‘একলার গান’-কে যে অসংখ্য কণ্ঠ রূপদান করেছে – যাঁদের অসামান্য কণ্ঠমাধুর্যে রবিবাবুর গান ক্রমশ হয়ে উঠেছে রবীন্দ্রসংগীত, তাঁদের মধ্যে অন্যতম আশ্রমকন্যা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কণিকার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান উৎসারিত হত ঝরনার মত স্বতস্ফূর্ত ভাবে। কণিকা ছিলেন সেই বিরলতম শিল্পী যিনি শুধুমাত্র গান পরিবেশন করতেন না, নিবেদন করতেন। রবীন্দ্রনাথকে ঘিরেই ছিল তাঁর আজীবনের জীবনচর্যা ও সাধনা। সে সাধনা একান্ত নিভৃতের। রবীন্দ্রগানের ‘বিশ্বরূপের অন্তরতর এই অপরূপকে’ প্রকাশ করাই যেন ছিল তাঁর একমাত্র কৃত্য। তাই সহজেই একাকার হয়ে গিয়েছিল কণিকার জীবন এবং শিল্প। কণিকার কাছে ছিল ‘গানগুলি নৈবেদ্য আর গাওয়াটা নিবেদন’। এই আত্ম-নিবেদনের পথ ধরেই রবীন্দ্রনাথের গান হয়ে উঠেছিল তাঁর কাছে একান্ত আপনার গান। 

    মাসির সঙ্গে ছোটোবেলা

    আর পাঁচটা মিউজিয়ামের মতো এটি হবে না। শান্তিনিকেতন আশ্রমের খোলামেলা পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এর পরিকল্পনা। আমরা চাই বাড়িটির ভেতরে যে আবেগ রয়েছে, যে সুরের আবহ রয়েছে, আজও-সেটাই অনুভব করুক আপামর জনসাধারণ।

    ১৯২৪ সালের ১২ অক্টোবর বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী গ্রামে কণিকার জন্ম। ২০২৩-এর ১২ অক্টোবর তাঁর ৯৯ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং এবছরের ১২ অক্টোবর তাঁর ১০০তম জন্মদিন। কণিকা যখন শান্তিনিকেতনে আসেন তখন তাঁর বয়স তিন/চার। বাবা সত্যচরণ এবং মা অনিলা এসে সংসার পাতলেন শান্তিনিকেতন আশ্রমে। আশ্রমপিতা রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যে বেড়ে উঠলেন কণিকা, প্রতিদিনের জীবনযাপনে স্নাত হতে থাকলেন সুরে ছন্দে। আমৃত্যু শান্তিনিকেতন তথা এই আশ্রমই ছিল তাঁর অন্তরের অন্তঃস্থলে। তাঁর গান শেখা স্বয়ং গুরুদেব সহ অসামান্য সব গুরুদেবের কাছে। গুরুদেব চেয়েছিলেন কণিকার কণ্ঠ হোক তাঁর গানের বাহক। রবীন্দ্র প্রয়াণের পর থেকে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ পর্যন্ত এই কুড়ি বছরে গুরুদেবের আশীর্বাদে কণিকা হয়ে উঠেছিলেন রবীন্দ্রসংগীত প্রচার এবং প্রসারের অন্যতম কান্ডারী। মনে প্রাণে শান্তিনিকেতনি এই শিল্পীর একমাত্র প্রতিষ্ঠান ছিল বিশ্বভারতী। পরবর্তীকালে আমার বাবা নবকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেমে পড়েন সমাজ সংস্কারের কাজে। প্রতিষ্ঠা করেন এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিজ। ৯০-এর দশকে কণিকার বাসভবন ‘আনন্দধারা’ বাড়িতে গোরা সর্বাধিকারী, কণিকার ছোটো বোন আশ্রমিক বীথিকা মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ভাবে একটি গানের ক্লাস শুরু করেন। ২০০০ সালের ৫ এপ্রিল কণিকা আমাদের সকলকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই আমাদের মনে হয়, একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার কথা।

    আনন্দধারা

    শান্তিনিকেতনের গায়নশৈলী, নৃত্যধারা, নাট্যধারা প্রসার ও প্রচারের লক্ষ্যে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত ‘কণিকাধারা’র প্রাথমিক ভাবনা শুরু হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো বিশুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত চর্চা ও যাপনের অভ্যাসটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়া। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশিষ্ট গায়নশৈলি বা বলা ভালো, রবীন্দ্রনাথের পর শৈলজারঞ্জন মজুমদারের যে গায়নধারা বা শান্তিদেব ঘোষের কাছ থেকে যে শৈলিতে শিক্ষালাভ করেছিলেন কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সেই ধারায় রবীন্দ্রগান গাওয়ার চর্চা করা, সেই শৈলীকে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রবীন্দ্রসংগীত গবেষণা ও শিক্ষণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করা – এটাই মুখ্যত কণিকাধারার উদ্দেশ্য ছিল।

    শিল্পী যোগেন চৌধুরীর করা ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’-এর লোগো

    কণিকাধারার ক্রম-অগ্রগতির প্রাথমিক পর্বে ‘কণিকাধারা’ একটি সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে যেখানে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, গোরা সর্বাধিকারী, ঋতপা, আমি গান শেখাতাম। ২০২০-তে আনন্দধারা বাড়ি সংলগ্ন স্পেসটির নামকরণ করা হয় ‘মোহর বীথিকা অঙ্গন’। এন্ড্রুজপল্লিতে অবস্থিত এই বাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বীরভূমের অগ্রগণ্য সমাজসেবী প্রতিষ্ঠান এলমহার্স্ট ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি স্টাডিজ়-ও। কণিকাধারার সদস্যদের বরাবরের ইচ্ছা ছিল, আনন্দধারা ও তার সংলগ্ন প্রাঙ্গণকে বিভিন্ন শিল্প-পরিবেশনার একটি সুসংহত মঞ্চ হিসেবে গড়ে তোলার। ২০২০ সালের বসন্তোৎসবের সময় সেই ভাবনার বাস্তব রূপায়ণ ঘটে এবং বহু গুণীজনের পদস্পর্শে ধন্য এই প্রাঙ্গণ ‘মোহর বিথীকা’ নামে নবরূপে আত্মপ্রকাশ করে। মোহর বিথীকা প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন শিল্পধারা ও চর্চার (Multi-disciplinary Art) একটি স্পেস এবং প্ল্যাটফর্ম যেখানে রবীন্দ্রচর্চার পাশাপাশি যে কোনও ধরনের নাটক, গান, সাহিত্যসভা, সেমিনার, কর্মশালা, ইনস্টলেশন বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে। 

     

    আমাদের গুরু গোরা সর্বাধিকারীর প্রয়াণ, আনন্দধারা বাড়িটির ক্ষয়, মানুষের সমালোচনার ঝড়, অর্থনৈতিক উত্থান পতন ইত্যাদি নানান প্রতিকূলতার পর ২০২০ সালের ৬ মার্চ আমরা গঠন করলাম ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ (Kanika Bandyopadhyaya Memorial Trust)। ছোটো থেকে এই বাড়ির সদস্য আমি। মাসির চলে যাওয়ার পর সুপ্ত ইচ্ছা ছিল এই আনন্দধারা বাড়িতে যে আনন্দ ধারা প্রবাহিত হতো তাকে রক্ষা করব। কোভিড আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে গেছে। সারা পৃথিবী যখন থমকে আছে যখন বাইরে কোথাও বের হতে পারছেন না তখন দেখতাম বা আগেও দেখেছি রিক্সা করে বা টোটো করে বহু মানুষ বাইরে থেকে এই আনন্দধারা বাড়ি দেখে ফিরে যেতেন। আমরা বাড়িতে থাকলে কেউ কেউ প্রবেশ করতেন এবং জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে খুবই দুঃখ প্রকাশ করতেন। ওঁদের যা কষ্ট হতো তার থেকে বেশি কষ্ট হতো আমাদের। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল এই আনন্দধারা বাড়ির দরজা খুলে দেবো আমরা সাধারণ মানুষের জন্য, যাঁরা কনিকার গানে স্নাত হতে চান। বড়ো মাসির ইচ্ছাপত্র অনুযায়ী এই বাড়িটির আইনসিদ্ধ দায়িত্ব এসে পড়ে আমার কাঁধে। সেই মুহূর্ত থেকে এবছরের মধ্যে সম্পূর্ন বাড়িটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছি আমরা। সম্পূর্ন ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় এই বাড়িটিকে সংরক্ষণ করা গেল, সত্যিই এটি ছিল একটি অত্যন্ত বড়ো চ্যালেঞ্জ। সারা দেশে যখন বিভিন্ন শিল্পীর বাসস্থান অবহেলায়, অর্থনৈতিক অনটনে ভেঙে পড়ছে, স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস মুছে যাচ্ছে প্রতিদিন, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আজ এই বাড়িটি সংরক্ষিত। 

    কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মশ্রী’ 

    আমার মনে হয় যিনি সৃষ্টি করেন, সৃষ্টি করার পেছনে তার যেমন অক্লান্ত পরিশ্রম থাকে, শিল্পী চলে যাওয়ার পর তার সৃষ্টিকর্মকে রক্ষা করার জন্য, অক্ষত রাখার জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হয় পরম্পরাকে প্রজন্মের পর প্রজন্মের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। পরম্পরা তো আসলে শুধুমাত্র শিল্পের হয় না, হয় কণিকার মত একজন অসামান্য মানুষের শিল্পীর আধার-এর ধারাকে বইয়ে নিয়ে যাওয়ার পরম্পরাও। ২০২৩-এর ১২ অক্টোবর ভারত-বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীদের উপস্থিতির মাধ্যমে সূচনা হয়েছে কণিকার শতবর্ষের। এই অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, কণিকার সহকর্মী, কণিকার প্রিয় ছাত্রছাত্রী, তাঁর পরিবারের মানুষজন, রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ, চিত্রপরিচালক, চিত্রশিল্পী এবং অসংখ্য গুণমুগ্ধ শ্রোতারা। এই অনুষ্ঠানে কণিকার অপ্রকাশিত গান সহ একটি স্মারক স্বর্ণমোহর প্রকাশ করা হয়েছিল। কবিতায়, স্মৃতিচারণায়, গানে গানে সেদিন ভরে উঠেছিল শান্তিনিকেতনের ‘আনন্দধারা’ প্রাঙ্গণ।

    কণিকার গ্রামোফোন রেকর্ড ও তাঁর ব্যবহৃত তানপুরা 

    ওইদিন আমরা ঘোষণা করেছিলাম আর্কাইভের সম্ভাব্য ভাবনা। আর পাঁচটা মিউজিয়ামের মতো এটি হবে না। শান্তিনিকেতন আশ্রমের খোলামেলা পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এর পরিকল্পনা। আমরা চাই বাড়িটির ভেতরে যে আবেগ রয়েছে, যে সুরের আবহ রয়েছে, আজও-সেটাই অনুভব করুক আপামর জনসাধারণ। তাই এবছর জুড়ে কাজ চলবে আর্কাইভের। কণিকার ব্যবহৃত শাড়ি, বটুয়া, পানের বাটা, চশমা, পারফিউম ইত্যাদি সব থাকবে এই সংগ্রহশালায়। কোনও একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে উনি যে শাড়ি বা চশমা পরেছেন, সেগুলিকে একসঙ্গে রাখা হবে যাতে সময়টাকে অনুভব করা যায়। কণিকার এবং তার পরিবারের ব্যবহৃত বিভিন্ন মিউজিকাল ইনস্ট্রুমেন্ট থাকবে এখানে। কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে-তাই আশ্রমের ইতিহাসে যাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তাঁদের ছবি এবং জিনিসপত্রও থাকবে এখানে। এছাড়া থাকবে একটি অডিও-ভিস্যুয়াল ইউনিট। আমার সংগ্রহে থাকা কণিকাসহ অন্যান্যদের ভিডিও দেখানো হবে এই ঘরে। 

    এই ঘরেই সংগীতচর্চা করতেন, রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত হারমোনিয়াম, চেয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী 

    কণিকার শতবর্ষ জুড়ে দেশে, বিদেশে নানান অনুষ্ঠান, গ্রন্থ প্রকাশ, কর্মশালা, স্মারক বক্তৃতা প্রভৃতি আয়োজনের ভাবনা রয়েছে। ‘কণিকাধারা’ প্রতিষ্ঠানটিতে পুনরায় প্রাণসঞ্চার হবে এই শতবর্ষে। কণিকাকে নিয়ে আমার গবেষণাপত্রটিও প্রকাশ পাবে এই সময়। আমাদের সাহায্য করতে ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছেন বহু রবীন্দ্রপ্রেমী গুণীজন এবং সংস্থা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৫ এপ্রিল কণিকার ২৫তম প্রয়াণ দিবসে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিবেদন প্রথম ‘কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার বাংলা আকাদেমিতে বিকেল ৫:৩০ টায়। বক্তা বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। এদিন সন্ধ্যায় সভামুখ্য হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট চিত্র-পরিচালক গৌতম ঘোষ। এই আয়োজনে সেদিন সুরে-কথায়-স্মরণে হবে কণিকা-যাপন। এছাড়া কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিবেদনে কণিকা-স্মরণে আরও একটি বিশেষ সংগীতসন্ধ্যা আয়োজিত হতে চলেছে ৭ এপ্রিল, শান্তিনিকেতনে, আনন্দধারা-য় ‘মোহর বীথিকা অঙ্গন’- এ। এটি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশের সুরেরধারা প্রতিষ্ঠান-এর যৌথ অনুষ্ঠান। সংগীত পরিবেশন করবেন শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন ছাত্রী, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বন্যাদি মাসীর কাছে দীর্ঘদিন গান শিখেছেন। এছাড়াও থাকছেন বাংলাদেশের রবীন্দ্রসংগীত প্রতিষ্ঠান ‘সুরের ধারা’র শিল্পীরা এবং ‘কণিকাধারা’-র ছাত্রছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সুপ্রিয় ঠাকুর, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতী সংগীতভবনের অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব দাস প্রমুখ বিশিষ্ট জনেরা। 

    সেইসব সোনা ঝরা দিন

    বিভিন্ন অনুষ্ঠান, শান্তিনিকেতনে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি অভিলেখাগার নির্মাণ ছাড়াও আমরা এবছরই কোনো সময়ে প্রকাশ করব তাঁর দুটি গানের খাতার প্রতিকৃতি সংস্করণ। এইদিনের অনুষ্ঠানে, শান্তিনিকেতনে ‘কণিকাধারা’ সংগীত প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় শুরু করার কথা ঘোষণা করা হবে। এখানে শুদ্ধ রবীন্দ্রসংগীত ও রবীন্দ্রসংস্কৃতির পাঠ নিতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। এবছর জুড়ে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন এই সংগীত শিক্ষায়তনে।

    এই দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন সর্বসাধারণের জন্য। সকলের আশীর্বাদ এবং শুভকামনা থাকলে আমরা সকলের সামনে তুলে ধরতে পারব কণিকার পরম্পরাকে। 

    ছবি : প্রিয়ম মুখার্জি

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @