পুঁটিরামের মিষ্টিতে ১৫০ বছরের স্বাদ

কলকাতার পুঁটিরামের (Putiram) মিষ্টির ভক্ত মোটেই হেলাফেলা করার মতো নয়। পুঁটিরামের নামের সঙ্গে বিশেষ ধরনের রাজভোগও সমার্থক শব্দের রূপ নিয়েছে। পুঁটিরাম রাজভোগ ছাড়াও বানাতেন ডালপুরি। একসময় কলেজ স্ট্রিট বললেই পুঁটিরামের ডালপুরির গন্ধ পেতেন লোকজন। আজও সেই রীতি অব্যাহত আছে। দূরদূরান্ত থেকেও লোকজন আসেন পুঁটিরামের ডালপুরির স্বাদ পেতে।
কলকাতার (Kolkata) পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল পুঁটিরাম। প্রায় ১৫০ বছর বয়স অতিক্রম করে এখনও মিষ্টি প্রিয় বাঙালিকে ভুলিয়ে রেখেছে তার স্বাদে। সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হল, প্রজন্মের পর প্রজন্ম, কলেজস্ট্রিটে একবার গেলে পুঁটিরামের মিষ্টি না খেলে সবটাই বৃথা। মিষ্টির যেমন স্বাদ, তেমনই তার বাহারি আকার।
কলেজস্ট্রিট মোড়ের (Collegestreet) এই দোকানে চাইলে একটু ব্রেকফাস্ট করে নিতে পারেন। স্পেশাল কচুড়ির সঙ্গে রাজভোগ, রসগোল্লা, চিত্রকূট সহযোগে সেরে নিতে পারেন আপনার প্রাতরাশ। কচুড়ির সঙ্গে ছোলার ডাল, স্পেশাল মিষ্টি দই, রসগোল্লা; প্রতিদিন হু-হু করে বিক্রি হচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধে, ব্যস্ত এখানকার কর্মীরা।
কলকাতার পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলির মধ্যে অন্যতম হল পুঁটিরাম। প্রায় ১৫০ বছর বয়স অতিক্রম করে এখনও মিষ্টি প্রিয় বাঙালিকে ভুলিয়ে রেখেছে তার স্বাদে।
পুঁটিরামে আগের থেকে মিষ্টির সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে। বাঙালিদের প্রিয় মিষ্টির কথা মাথায় রেখে এখন কর্তৃপক্ষ ট্রাডিশনালের দিকে ঝুঁকেছেন বেশি। ১৫০ বছর ধরে পুঁটিরামে এখনও সমানতালে জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছে শোনপাপড়ি, আবার খাব (এটি একটি বিশেষ সন্দেশ, যেটার মধ্যে কেশর এবং পেস্তার স্বাদ পাওয়া যায়)। এই ‘আবার খাব’ সন্দেশের আমদানি হয়েছিল উত্তর ভারতের মিষ্টি থেকে। মিষ্টির ফ্লেভার এবং আকারের সঙ্গে পুরোনো ভারতীয় ঘরানার ছাপ পাওয়া যায়। পুঁটিরামের সন্দেশ এবং রসগোল্লা, ল্যাংচা বা কমলাভোগ রীতিমতো মুখে লেগে থাকে। এই দোকানে আরও মিষ্টির সন্ধান মিলবে। যেমন, ক্ষীরের চপ, কাজু বরফি এবং দরবেশ। কাজু এবং যাবতীয় শুকনো খাবার দিয়ে মিষ্টি বানানো পুঁটিরামই প্রথম আবিষ্কার করে। এখনও এখানকার মিষ্টি বাংলার মুখে লেগে আছে। বয়স্ক থেকে তরুণ, কলেজস্ট্রিটে গেলে একবার পুঁটিরামে ঢুঁ মারলেই নয়!
১৫০ বছর ধরে পুঁটিরামে এখনও সমানতালে জনপ্রিয়তা বজায় রেখেছে শোনপাপড়ি, আবার খাব (এটি একটি বিশেষ সন্দেশ, যেটার মধ্যে কেশর এবং পেস্তার স্বাদ পাওয়া যায়)। এই ‘আবার খাব’ সন্দেশের আমদানি হয়েছিল উত্তর ভারতের মিষ্টি থেকে। মিষ্টির ফ্লেভার এবং আকারের সঙ্গে পুরোনো ভারতীয় ঘরানার ছাপ পাওয়া যায়।