শ্রমিকের মর্যাদা তুলে ধরা হোক ‘দরদ’ দিয়ে – ঘরে ফেরার ছবি আঁকলেন প্রতাপ চন্দ্র

শ্রমিকরাই সমাজের মেরুদণ্ড। অথচ সমাজের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকেই বঞ্চিত থাকেন তাঁরা। তাঁদের অনেককেই বেঁচে থাকার তাগিদে পাড়ি দিতে হয় দূর-দূরান্তে। কেউ যান ভিনরাজ্যে, কেউ বা ভিনদেশে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির রূপ নিলে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে লকডাউন জরুরি। কিন্তু এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ কী – তা নিয়ে বড়োবাবুরা চিন্তিত নন। আমরা দেখেছি, হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক নিজের ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে পথে নেমেছেন। হাঁটছেন মাইলের পর মাইল। পথেই মৃত্যুর কবলে পড়ছেন কেউ কেউ – তবুও হাঁটা থামছে না।
নিজের কাজ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলছেন প্রতাপ চন্দ্র
ঠিক এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গদর্শন শুরু করেছিল ‘ঘরে ফেরা’ সিরিজ। গৃহবন্দি অবস্থায় চিত্রশিল্পীরা কীভাবে এই পরিস্থিতি দেখতে চাইছেন বা মোকাবিলা করছেন, তা তাঁদের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। আজ ঘরে ফেরা সিরিজে রইলেন বিশিষ্ট শিল্পী প্রতাপ চন্দ্র। ছোটোবেলা থেকে তিনি বিশ্বাস করেন, আমাদের দেশ এবং পৃথিবীর অগ্রগতিতে দরদ সবথেকে বেশি কার্যকরী। আমাদের সিনেমা, সাহিত্য শিখিয়েছে, তথাকথিত নিম্নবর্গের মানুষেরা আমাদের জীবনেরই অংশ। এখন আমরা দরদ জানি না, বা জানলেও অনেক ক্ষেত্রে কার্যকরী করতে পারি না।
প্রতাপ চন্দ্র এবং তাঁর সহশিল্পীরা এক সময়ে শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে কুলি-মজুরদের ছবি আঁকতেন। তাঁদের সঙ্গে গল্প করতেন, একাত্ম হয়ে যেতেন। মণীষীরা বলেছেন, সবার আগে মানুষ সত্য। সব মানুষই দরদে বাঁধা। শ্রমিকরা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন। শ্রমিকের মর্যাদাকে দরদ দিয়ে তুলে ধরা হোক – এই বার্তাই দিতে চান শিল্পী।