No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    কার্ল মার্কস-এর প্রেমের কবিতা

    কার্ল মার্কস-এর প্রেমের কবিতা

    Story image

    জেনির প্রতি
    শব্দরা-মিথ্যে আর অগভীর ছায়া ছাড়া আর কী!
    চারপাশে জাগছে জীবন ...
    তোমার ভিতর- মৃত ক্লান্ত এই আমি বইয়ে দেব
    আমার ভিতরের সবটুকু শক্তি।
    যদিও বিশ্বের ঈর্ষণীয় ঈশ্বর বহু আগে থেকেই
    গভীর দৃষ্টিতে পরখ করে চলেছেন মানুষের অভ্যন্তরীণ আগুন
    এবং চিরদিন দরিদ্র মানব
    ঈশ্বরের বুকের জ্যোর্তিময় সাংঘর্ষিক শব্দে আহত;
    যেহেতু, আত্মার মধুর আলোকের প্রতি বন্য গতিতে নির্গত হয় আবেগ;
    প্রিয়তমা, এসবই হতে পারে তোমার মুক্ত পৃথিবী
    যা তোমাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তোমাকে টেনে নামাবে ধূলায়
    নাচগান সব করে দেবে ভণ্ডুল ...
    জীবন বিকাশমান হলেও- জীবনকে কর্ষিত কর!


    রাস্তার ওপারে আমার প্রতিবেশি
    দূর থেকে সে আমাকে দেখে
    ঈশ্বর, আর আমি সইতে পারছি না।
    একজন বেঁটেখাটো মানুষ, হলুদ একটি বাড়ি ...
    ফ্যাকাশে নারীর বমির শব্দ
    যেহেতু প্রেরণার রয়েছে ডানা
    অন্ধজনকে আমি শক্ত করে টেনে নামাব নিচে।


    সান্ধ্যভ্রমণ  
    কি দেখছ পাহাড়ের কিনারে দাঁড়িয়ে
    কেন ফেলছ ওই নম্র দীর্ঘশ্বাস
    সূর্য আলো ছড়িয়ে বাতাসের ভিতর ডুবে যাচ্ছে
    পাহাড়ের চূড়াকে চুম্বন করে জানাচ্ছে বিদায়।
    এইসব তুমি আগে কখনও দেখনি।
    সূর্যের পরিধি ধীরে ধীরে বেড়েছে,
    ভোরের আকাশ; তারপর দুপুর ...
    এখন উপত্যকায় ডুবে যাচ্ছে।

    সত্যিই ঐ আলো
    ক্রিমসন রঙের ভাঁজ যেন।
    তারপর তার অনিচ্ছুক চোখ চায় না যেতে
    বাস করতে চায় নারীর কামনায়।

    আমরা শান্তিতে হাঁটি। জেনির পায়ের শব্দে
    খাড়ির কিনারায় প্রতিধ্বনি জাগে।
    হালকা বাতাস চুমু দেয় ওর শালে;
    ওর চোখ মধুর মেদুর।

    আহ, প্রেম! আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলি।
    জেনি কাঁপছে রক্তিম গোলাপের মত,
    আমি ওর হৃদয় স্পর্শ করি, নিচে অস্তমিত সূর্য -
    প্রেক্ষাপট নক্ষত্রখচিত ...

    এই জন্যই খাড়ির কাছে এসেছি,
    এ জন্যই দীর্ঘশ্বাস ফেলি;
    সন্ধ্যের আলো জ্বলে উঠলে ও ভেসে যায়
    তারপর, ওপর থেকে ইশারায় ডাকে।


    গান
    ঝোপগুলি দুলছে কেন
    কেন ফুলের মালা ধুলোয় লুটায়
    কেন স্বর্গীয় দ্বার সর্বদা উপরে
    উপত্যকায় কেন মেঘলা চূড়া

    যদি ডানা মেলে উড়ে যাই
    বাতাসের ভিতর পাথরের প্রতিধ্বনি
    চোখ কেন সহজ সুখ পায় না
    আমার দৃষ্টির পথ মেঘাচ্ছন্ন

    জীবনের ঢেউ গড়িয়ে চল
    পথের বাধা গুঁড়িয়ে দাও
    সোনালি স্বাধীনতার প্রেরণায়
    যখন শূন্য থেকে আত্মশূন্য এসেছিলে।


     Karl Marx Frederic Engels Collected Works. গ্রন্থ থেকে। ( Volume 1, Progress Publishers. 1975. page, 531/616 )

    অনুবাদ- ‘বাঁধ ভাঙার আওয়াজ’- এর ইমন জুবায়ের-এর ব্লগ থেকে

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @