এনামুল কবীরের ছবিতে মানুষ ও জীবজন্তুর সহাবস্থান – যেন নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন

এনামুল কবীর। বাস বাংলাদেশের ঢাকা শহরে। নিজের ফটোগ্রাফি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে এনামুল বলেন, “ফটোগ্রাফি যে আমার শখ ছিল, বিষয়টা কিন্তু তেমন না। ২০১২ সালের শেষের দিকে, আমি তখন একটা চাকরি খুঁজছি। এক বিকেলে সময় কাটাতে একা বের হই। হাঁটতে হাঁটতেই নিজের ফোনে একটা ছবি তুলি। ছবির দৃশ্যটা আমার চোখে এতটাই ভালো লেগে যায় যে, ওখান থেকেই আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে আগ্রহের শুরু।”
আলোকচিত্রী ইমতিয়াজ আলম বেগ তাঁর কাজের অনুপ্রেরক। যে বিষয়গুলো সচরাচর আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, বা আমরা খেয়ালই করি না, সেইসব মুহূর্তকে এক বা একাধিক ছবিতে দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি। এমানুল জানান, “আমি দীর্ঘদিন ধরে ‘Co-Existence’ নামে একটা প্রজেক্টে কাজ করছি, যেখানে মূলত মানুষের সঙ্গে প্রাণীর, বিশেষত কুকুর এবং বিড়ালের যে সম্পর্ক রয়েছে, তাকে ভিন্ন একটি রূপে দেখানোর চেষ্টা করছি। এমন অনেকেই আছেন যারা কুকুর-বিড়াল পছন্দ করেন না বা ভুল ধারণা থেকেই এদের প্রতি বিরূপ আচরণ করেন। আমার কাজকে ইতিবাচক দিক থেকে দেখানোর চেষ্টা করি। আমার বিশ্বাস কেউ না কেউ এই কাজের ভালো দিকটা নেবেন এবং একদিন হয়তো সমাজে পরিবর্তন আসবে। মানুষ এই প্রাণীগুলোর প্রতি অমানবিক আচরণ বন্ধ করবেন। আর এভাবেই হয়তো মানুষ আর জীবজন্তুর সহাবস্থান নিশ্চিত হবে।”
আজ ছবিমহলের ৬৫তম পর্বে রইলেন বাংলাদেশের তরুণ আলোকচিত্রী মহঃ এনামুল কবীর। গ্যালারি জুড়ে রইল তাঁর বাছাই করা ছবি।
ক
খ
গ
ঘ
ঙ
চ
ছ
আলোকচিত্রী- এনামুল কবীর