জয়ল্যান্ড : পাকিস্তানি সিনেমার রেভোলিউশন, স্বাগত জানাল কলকাতা

সাইম সাদিক পরিচালিত পাকিস্তানের ছবি ‘জয়ল্যান্ড’-কে পাকিস্তান সরকার এগারোটি রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সেই ছবিকেই স্বাগত জানাল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। পিতৃতন্ত্র, ট্রান্সফোবিয়া, মেয়েদের অবস্থান — প্রশ্ন তুলল হাজারও।
সময় বড়োই ক্ষুব্ধ। সে যেন গলা টিপে মারতে চাইছে মানুষের চিৎকার, আন্দোলন, লড়াইয়ের। তবুও মানুষের চোখে ঘুম নেই। সে ছুটছে। পিছনে ধাওয়া করছে সময়। এমন এক সময়ে আমরা দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে মানুষের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে লোকদেখানো অহং, সে বিখ্যাত হতে চাইছে, সে অন্যের দাস হতে চাইছে, সে ভুলে যাচ্ছে তার শিকড়, হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ – এই এত নেতির ভিড় থেকে কিছুজন খুঁজে নিতে চাইছে ইতির দুনিয়া। যেখানে সততা আছে, সত্যি আছে। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য যেখানে কোনও ভান নেই। মানুষ আর সময় তখন মিলেমিশে একাকার। সময়ের সাধ্য নেই তাকে থামানোর।
এই এত কথা বলার প্রয়োজন পড়ছে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ছবি ‘জয়ল্যান্ড’ (Joyland) দেখে। সেখানেও পরিচালক সাইম সাদিক (Saim Sadiq) এক সত্যির কথা বলেছেন। তা শুধুমাত্র পাকিস্তানের জন্যই নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সত্যি। এই সত্যি থেকে প্রকাশিত হয়েছে মুক্তির সংজ্ঞা। রচিত হয়েছে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার সামগ্রিক প্রয়াস। পাকিস্তানে এখনও নিষিদ্ধ ভারতীয় টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। ২০১৬ সালের পর ২০১৯-এও ভারতীয় ছবি ও টিভি-শোয়ের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে লাহোর হাইকোর্ট। কিন্তু কলকাতার বাঙালি পাকিস্তানি সিনেমা চলচ্চিত্র উৎসবে এনে যে উদারতার পরিচয় দিল, তা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। কলকাতা জানান দিল, শিল্প কখনওই নির্দিষ্ট দেশ-দশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। শিল্প সর্বজনীন। সে কারণেই কলকাতার বাঙালি কিম কি-দুকের মৃত্যুতে কাঁদে, জাফার পানাহির বন্দিজীবন নিয়ে চিন্তিত হয়, বাংলাদেশের ‘হাওয়া’ নিয়ে মেতে থাকে মাসের পর মাস। এই উদারতা সমগ্র বাঙালির মধ্যে নতুন আঙ্গিকে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে। সাইম সাদিক পরিচালিত পাকিস্তানের ছবি ‘জয়ল্যান্ড’-ও তার ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তান সরকার (Pakistan Govt.) সেখানকার এগারোটি রাজ্যে যে ছবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে (পরে যদিও সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়), গত দুইদিন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে উদযাপিত হয় সেই ছবি।
এই ছবিতে পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে আক্রমণ করা হয়েছে। বেআব্রু করে দেওয়া হয়েছে সমাজে পিতৃতন্ত্রের জুলুম। তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিতর্ক। অতএব মুক্তির আগেভাগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ‘জয়ল্যান্ড’-কে।
পাকিস্তানে কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল ‘জয়ল্যান্ড’
পাকিস্তানে গত ১৮ নভেম্বর ‘জয়ল্যান্ড’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১১ নভেম্বর পাকিস্তান সরকারের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘এই ছবির বিষয়বস্তু অত্যন্ত আপত্তিকর। তা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। ১৯৭৯ সালের মোশন পিকচার অর্ডিন্যান্সের ৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী শালীনতা এবং নৈতিকতার স্বাভাবিক নিয়মেরও পরিপন্থী এই ছবি।’’ বিবৃতিতে এ-ও জানানো হয় যে, এই ছবিতে পিতৃতান্ত্রিক সমাজকে আক্রমণ করা হয়েছে। বেআব্রু করে দেওয়া হয়েছে সমাজে পিতৃতন্ত্রের জুলুম। তা নিয়েই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিতর্ক। অতএব মুক্তির আগেভাগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ‘জয়ল্যান্ড’-কে। অথচ এই ছবি পাকিস্তান থেকে ২০২৩ সালের অস্কারের মঞ্চে অফিশিয়াল এন্ট্রি নিয়েছে। নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারল পাকিস্তান। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের (Cannes Film Festival) ‘অঁ সতেঁ রিগা’ বিভাগের প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান পেয়েছিল ‘জয়ল্যান্ড’। বস্তুত, এই ছবির হাত ধরেই কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাকিস্তানের অভিষেক হয়। পাকিস্তান সরকার গত ১৭ অগাস্ট ‘জয়ল্যান্ড’ ছবিটিকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিককালে ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে দেশজুড়ে। অতএব তাকে নিষিদ্ধ করে দাও। ছবি মুক্তির কিছুদিন আগে যদিও এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সেখানকার সেন্সর বোর্ড।
কী আছে ‘জয়ল্যান্ড’-এ
‘জয়ল্যান্ড’ একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা বলে। যেখানে পুরুষদের কথাই শেষ কথা। কন্যাসন্তান হলে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না, পুত্রসন্তানের জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন সবাই। পরিবারের এই গোঁড়া মানসিকতায় জল ঢালেন সে বাড়ির পুত্রবধূ মুমতাজ। মুমতাজের স্বামী হায়দার একটি এরোটিক ডান্সগ্রুপের নেপথ্য নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করে। সেখানে হায়দার প্রেমে পড়ে রূপান্তরকামী নৃত্যশিল্পী বিবার। পরিবারের এই ছোটো ছেলে হায়দারকে নিয়েই শুরু হয় ঝামেলার সূত্রপাত। এ ছবির কাহিনি এগিয়েছে হায়দারকে কেন্দ্র করেই। উল্লেখ্য, এ ছবিতে হায়দার একজন রূপান্তরকামী মহিলার প্রেমে পড়লেও, এখানে প্রধান হয়ে উঠেছে হায়দারের স্ত্রী মুমতাজের মুক্ত মানসিকতা। সে সামান্য গৃহবধূ। চাইলেও রোজগার করতে পারে না পরিবারের নিষেধে। তার ফ্যাকাসে জীবন থেকে সে একটু একটু করে তুলে আনে স্বপ্নের রং। নতুন করে নিজেকে চিনতে পারে সে। হায়দারের খারাপ ব্যবহার আর তাকে আঘাত দেয় না। বরং সে পালাতে চায়। যেখানে আরাম করে একা বাঁচা যায়, শাসন করার কেউ নেই, ধমকিয়ে আটকে রাখারও কেউ নেই।
হায়দারের সঙ্গে বিবার বিচ্ছেদের পর কী চমৎকারভাবে পরিচালক প্রধান করে তুললেন মুমতাজ চরিত্রটিকে। শুধুমাত্র কুয়্যার ইস্যুর মধ্যে আর বন্দি রইল না ছবি। বরং হাত ধরাধরি করে চলল দুই নারীর দুই ভিন্ন জীবন৷
ব্যক্তিগতভাবে আমার ‘জয়ল্যান্ড’ ছবিটিকে দেখতে ইচ্ছে করেছে মুমতাজের চোখ দিয়ে। ছবিটিকে আক্ষরিক অর্থে একটি কুয়্যার ছবি হিসেবে মান্যতা দিলেও, মুমতাজের ঘর আর বাইরের দ্বন্দ্ব অত্যন্ত জীবন্ত করে তোলা হয়েছে কুয়্যারনেসকে ছাপিয়ে৷ ঘোষণা করা হয়েছে পাকিস্তানের মতো প্রাচীনমনস্ক দেশের নারীদের অবস্থান। পরিচালক অত্যন্ত যত্ন নিয়ে প্রত্যেকটি চরিত্রে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছেন। ছবিটিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমার্ধ হায়দার ও বিবার প্রেম-মিলন-বিচ্ছেদ, দ্বিতীয়ার্ধ হায়দার ও মুমতাজের বৈবাহিক টানাপোড়েন। হায়দারের সঙ্গে বিবার বিচ্ছেদের পর কী চমৎকারভাবে পরিচালক প্রধান করে তুললেন মুমতাজ চরিত্রটিকে। শুধুমাত্র কুয়্যার ইস্যুর মধ্যে আর বন্দি রইল না ছবি। বরং হাত ধরাধরি করে চলল দুই নারীর দুই ভিন্ন জীবন৷ দুজনের লড়াই যতখানি সমাজের সঙ্গে, ততটাই নিজের সঙ্গেও।
সমাজের চাপিয়ে দেওয়া নিষিদ্ধ আকাঙ্ক্ষাগুলি খোলামেলা পরিসরে আবির্ভূত হয়েছে ‘জয়ল্যান্ড’ ছবিতে, এ সবকিছুই অস্থায়ী। হায়দার, বিবা, মুমতাজ — সকলের সামনে একটা অনিশ্চিত পৃথিবী। ওদের পৃথিবীর অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করেছে সমুদ্রের বিশালতা। একটি দৃশ্যে দেখা যায় বিবা এক আলো-আঁধারি ঘরে হায়দারকে জিজ্ঞাসা করছে, ‘‘তুমি সমুদ্র দেখেছ কোনোদিন?’’ হায়দার ‘না’ বলে। তখন বিবা বলে, ‘‘আরও একটু রোজগার করে টাকা বানিয়ে নাও। তারপর আমরা একদিন সমুদ্র দেখতে যাব করাচিতে।” হায়দার-বিবার একসঙ্গে সমুদ্র দেখা হয় না আর। অথচ ছবির শেষদৃশ্যে পরিচালক চমৎকারভাবে সমুদ্রের অনুষঙ্গ টেনেছেন। মুমতাজের মৃত্যুর পর হায়দার একা বেরিয়ে পড়ে বিস্তৃত সমুদ্র দেখতে। পাড়ে ফেলে রাখে সমস্ত পিছুটান (ব্যাগ, জামা)। এগিয়ে চলে সমুদ্রের গভীরতায়। সমুদ্রের ঢেউয়ে আছাড় খেতে থাকে মুমতাজ আর বিবা।
পিতৃতন্ত্র, ট্রান্সফোবিয়া, স্বাধীন দেশে মেয়েদের অবস্থান — সবকিছুই অত্যন্ত সূক্ষভাবে এ ছবিতে উঠে এসেছে৷ অথচ তা উচ্চকিত নয়৷ বক্তৃতার মতো কোনো সংলাপও নেই। পিতৃতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক হায়দার চরিত্রটিকে অত্যন্ত ধীর স্থির নম্র করে তুলেছেন। পরিবারের বাকি পুরুষদের থেকে সে বিচ্ছিন্ন।
লিঙ্গসাম্যের কথা বলতে গিয়ে পরিচালক সমস্ত সম্ভাবনার ছবি এঁকেছেন। যা আপনাকে শান্ত হয়ে থাকতে দেয় না, অস্থির করে তোলে। পাকিস্তানি সিনেমার রেভোলিউশন এখানেই। ‘জয়ল্যান্ড’ ইতিহাস হয়ে থাকবে।
কলকাতায় ‘জয়ল্যান্ড’
দুই দেশের মাঝে কাঁটাতার। চব্বিশ ঘণ্টা পাহারাদার। দুই দেশ – যেন একে অপরের ‘ঘোষিত শত্রু’। কিন্তু এর মাঝেও পড়ে রয়েছে বহু যুগের প্রেম। ভারত আর পাকিস্তানকে এক সুতোয় মিলিয়ে দিয়েছে বহু চলচ্চিত্র, বহু সংগীত, বহু কবিতা। রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া ‘নিয়ম’-এর কাছে জিতে গিয়েছে মানবতা। পশ্চিমবাংলার সঙ্গেও পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে নিয়মিত। পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলা বিভাগ, ফ্যাকাল্টি এবং ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বিভাগ। যদিও ব্যাচেলর’স ডিগ্রি থেকে পিএইচডি পর্যন্ত ভর্তি নেওয়া হয়। বাংলা বিভাগের সিলেবাসে জায়গা করে নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ। করাচি-সহ সমগ্র পাকিস্তানে বাঙালি বসবাসকারীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এখন ‘জয়ল্যান্ড’ ছবির আলোচনায় হঠাৎ বাংলা ভাষার উত্থান অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে৷ তবুও এ কথা বলতেই হল, কারণ যে ছবি পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, সেই ছবিকে মহাসমারোহে উদযাপন করে কলকাতার বাঙালি।
গত সোমবার নন্দনে এ ছবির প্রদর্শনে যে উপচে পড়া ভিড় কলকাতা দেখল, তা অভাবনীয়। এ ছবি দেখলেন কারা? সমাজের বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কলকাতার হাজার হাজার দর্শক সামিল হলেন পাকিস্তানি সিনেমার রেভোলিউশনে। সিনেমা শেষে কেউ বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরলেন, আবার কোনো বয়স্কের চোখে ভিজে গেল। না, ‘জয়ল্যান্ড একমাত্র আবেগকে গুরুত্ব দিল না, গুরুত্ব দিল যুক্তিকে। কঠোর রাষ্ট্রব্যবস্থার জাঁতাকলে পিষতে পিষতে মানুষের একসময় দম বন্ধ হয়ে আসে৷ সে তখন মুক্তি চায়। শিল্পেও সে মুক্তির আভাস পাওয়া যায়। নির্মমতা ও গোঁড়া মানসিকতার মধ্যে থেকেও কোরিয়া, ইরান, প্যালেস্টাইন, ইরাক, সিরিয়া শক্তিশালী সিনেমা বানিয়ে বারবার আমাদের অবাক করেছে। সেই তালিকায় জুড়ল পাকিস্তানের নাম। ‘জয়ল্যান্ড’ ইতিমধ্যেই ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ ছবির তকমা পেয়েছে। সেই ছবিকে স্বাগত জানাল কলকাতা। আসলে রাষ্ট্রব্যবস্থা আমাদের অনেকগুলো নিয়মের মধ্যে ফেলে দেয়। কেউ বেরিয়ে আসি, কারোর উপায় থাকে না। কিন্তু একবার যে বেরিয়ে আসতে পারে, সে ভেসে চলে অসীমে। তাকে আটকাবে কে!
গত সোমবার নন্দনে এ ছবির প্রদর্শনে যে উপচে পড়া ভিড় কলকাতা দেখল, তা অভাবনীয়। এ ছবি দেখলেন কারা? সমাজের বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কলকাতার হাজার হাজার দর্শক সামিল হলেন পাকিস্তানি সিনেমার রেভোলিউশনে।
‘জয়ল্যান্ড’ ছবিতে হায়দারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আলি জুনেজো। তাঁর বিপরীতে বিবার ভূমিকায় রয়েছেন আলিনা খান এবং মুমতাজের চরিত্রে রাস্তি ফারুক। সকলেই পাকিস্তানি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সরওয়াত গিলানি, সলমন পীরজ়াদা, সোহেল সমীর এবং সনিয়া সইদ। সেই সঙ্গে অসামান্য আবহ সংগীত করেছেন আবদুল্লাহ সিদ্দিকি। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পরিচালক সাইম সাদিকের প্রথম কাজ। ‘জয়ল্যান্ড’ যে মুক্তির হাওয়া তুলেছে, তার বেগ যে আরও বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
____
জয়ল্যান্ড (রিভিউ)
দেশ: পাকিস্তান
পরিচালক: সাইম সাদিক
অভিনয়: আলি জুনেজো, আলিনা খান, রাস্তি ফারুক