No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    বাড়ির ছাদে ১০০০ প্রজাতির অর্কিড ফলাচ্ছেন রায়গঞ্জের বধূ

    বাড়ির ছাদে ১০০০ প্রজাতির অর্কিড ফলাচ্ছেন রায়গঞ্জের বধূ

    Story image

    ঘর সাজাবেন বলে মধুচন্দ্রিমার শেষে কালিম্পং থেকে নিয়ে এসেছিলেন কয়েকটি অর্কিডের চারা। বাড়ির ছাদে অর্কিড চাষের ছবি ফেসবুকে দেখে অর্কিডের চারা পরিচিতরাও চাইতেন। তাঁদের বিক্রি করেই অর্কিডের ব্যবসা শুরু। তারপর অনলাইন ট্রেডিং-এর হাত ধরে তাঁর অর্কিড পৌঁছে যাচ্ছে ফ্রান্স, ইতালি, থাইল্যান্ডেও। রায়গঞ্জের বাসিন্দা রুমকি মোদকের কাহিনি যেন একটি রূপকথা।

    সখের অর্কিড রুমকির ঘরের শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায়নি, লক্ষ্মীও এনে দিয়েছে। রায়গঞ্জের এই গৃহবধূ বুঝতে পেরেছিলেন, দেশের মেট্রো শহরগুলো এবং বিদেশেও ভালো চাহিদা রয়েছে অর্কিডের। তাই স্বামী মৃণালের সঙ্গে পরামর্শ করে অর্কিড বিক্রির ওয়েবসাইট লঞ্চ করার পাশাপাশি ইমপোর্ট আর এক্সপোর্টের লাইসেন্সও করে নেন। প্রথমে কার্শিয়াং, কালিম্পং থেকে চারা এনে চাষ করতেন। তারপর বাড়ির ছাদেই বানিয়ে ফেলেন দুখানা গ্রিনহাউজ। এখন থাইল্যান্ড এবং তাইওয়ান থেকেও নিয়মিত চারা আনান। প্রতি মাসে অনলাইনে দুর্লভ ও সাধারণ মিলিয়ে এখন অন্তত ১০০ প্রজাতির অর্কিডের অর্ডার আসে তাঁর কাছে। অসমের কাজিরাঙা ন্যাশানাল পার্ক, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জের সরকারি অডিটোরিয়াম ও বোটানিক্যাল গার্ডেন, তিরুবন্তপুরমের জওহরলাল নেহরু ট্রপিক্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন, হরিয়ানা সরকারের হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে মুম্বাইয়ের বালাসাহেব ঠাকরের পরিবার, অরুণাচল প্রদেশের মন্ত্রী – রুমকির অর্কিড কিনে থাকেন এইরকম তাবড় ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান। রুমকির উদ্যোগপতি হয়ে ওঠার গল্প প্রেরণা জোগাচ্ছে আরও অনেক গৃহবধূকে। 

    ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ইন্টারনেট ঘেঁটেই রুমকি মোদক অর্কিড ফলানোর পদ্ধটি রপ্ত করেছেন। তাঁর কাছ থেকে অর্কিড পাওয়া যায় এখন প্রায় ১০০০ প্রজাতির। রুমকির দুটি গ্রিন হাউসের একটিতে উষ্ণ আর অন্যটিতে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় জন্মানো অর্কিডের চাষ হয়। 
     

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @