কলকাতার নতুন অতিথি দু’চাকার বাইক ট্যাক্সি

খুব ব্যস্ততার মধ্যে আপনি হন্যে হয়ে খুঁজছেন ট্যাক্সি। পাচ্ছেন না। এদিকে অ্যাপ নির্ভর ক্যাব সংস্থাদের দর দেখে চক্ষু চড়কগাছ। এমন সময়ে যদি মিলত কম খরচের কোনো ভালো সমাধান। ধরা যাক দু’চাকার বাইক। যা পৌঁছেও দেবে তাড়াতাড়ি অথচ পকেট থেকে টাকাও খসবে না বেশি। সেই ইচ্ছেপূরণের জন্যই এবারে শহরে হাজির দু’চাকার বাইক ট্যাক্সি। কলকাতা শহরে এই প্রথম। সৌজন্যে অ্যাপ নির্ভর বেসরকারি ক্যাব সংস্থা ‘ওলা’।
অ্যাপের মাধ্যমে চারচাকার ট্যাক্সি বুকিং রীতিমতো অভ্যসে পরিণত হয়েছে শহরবাসীর। চাহিদা এমন জায়গাতে পৌঁছেছে যে ব্যবসার হাল খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে শহরের সাবেক হলুদ ট্যাক্সিরও। স্মার্টফোন থাকলেই চটজলদি বুকিং-এর সুবিধে সঙ্গে ভালো পরিষেবাই এই চাহিদাবৃদ্ধির কারণ বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু চাহিদাবৃদ্ধির পাশাপাশি দিন-দিন ভাড়াও আকাশচুম্বী হচ্ছে ক্যাবের। তা সাধারণ মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরেও বেরিয়ে যাচ্ছে অনেকসময়। নতুন এই বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা সেই সমস্যার সমাধান করবে বলেই অভিমত ‘ওলা’ কর্তৃপক্ষের।
আপাতত, কিলোমিটার প্রতি সাত টাকা মাশুল ধার্য করা হবে এই বাইক ট্যাক্সিতে। সাত কিলোমিটারের পরে তা বেড়ে যাবে স্বাভাবিক নিয়মেই। শহর ও শহরতলিতে দেখা মিলবে এই বাইক ট্যাক্সির। বিশেষ জোর দেওয়া হবে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, রাজারহাট নিউ টাউনের মতো অফিসপাড়াগুলিতে। ‘ওলা’ সূত্রে জানা গেছে, এই চত্বরেই একক অফিসযাত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে। ফলে, বাইকের চাহিদাও বেশি থাকবে।
দিল্লি, মুম্বই, কর্ণাটকের মতো মেট্রোপলিসে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে এই পরিষেবা। কর্ণাটক সরকার ‘ওলা’-র বাইক পরিষেবাকে বন্ধও করে দিয়েছে। কিন্তু, কলকাতায় তেমন কিছু ঘটবে না বলেই আশাবাদী ওলা কর্তৃপক্ষ।