নজরুলের স্মৃতিতে ঘেরা আসানসোলের এই বেকারিকে হেরিটেজ ঘোষণার ডাক

বর্ধমান জেলার (অধুনা পশ্চিম বর্ধমান) আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বর্তমানে এই চুরুলিয়া গ্রামটি আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া ব্লকে অবস্থিত। এখানেই দীর্ঘদিন কেটেছে দুখু মিঞার। ছোটোবেলা থেকেই কাজ করেছেন কখনও মসজিদে, কখনও বেকারি দোকানে। বালক অবস্থায় আসানসোলের এক বেকারিতে কাজ করতেন নজরুল। সেই বেকারি এখনও জীবিত। কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত আসানসোল বাজারের এই বেকারিকেই হেরিটেজ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বহু কবি, গবেষক, শিক্ষকদের একাংশ পথে নামলেন।
ওই বেকারির সামনে এদিন তাঁরা একটি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠানও করেন। দাবি তোলেন, এই বেকারিটিকে হেরিটেজ তকমার আওতায় নিয়ে এলে কবিকে সম্মান জানানো হবে। নাগরিক হিসাবে যা প্রত্যেকের কর্তব্য। এদিন লেখক-কবিদের সঙ্গে হাজির ছিলেন আসানসোল হেরিটেজ রিসার্চ গ্রুপের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিন এডওয়ার্ড হিলস।
নজরুল গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। মসজিদ পরিচালিত স্কুল কোরান, ইসলাম ধর্ম, দর্শন এবং ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন। বাবার মৃত্যুর পর পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তাঁর শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য কাজে নামতে হয় নজরুলকে। সেসময়ই একবার এই বেকারিতে যুক্ত হন কবি।