বঙ্গদর্শন ইনফরমেশন ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ০৫:৫৬:১১
মায়া আর্ট ফেয়ারে চলছে সৃজনের বর্ণাঢ্য উদযাপন– পড়ুন সারাদিনের বাছাই খবর

মায়া আর্ট ফেয়ারে চলছে সৃজনের বর্ণাঢ্য উদযাপন
গত সাত বছর ধরে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানীতে সৃজন ও মননের নতুন নতুন দিগন্তে আবিষ্কার করে চলেছে মায়া আর্ট স্পেস। এবার, তাঁদের সপ্তম জন্মদিনে শিল্প ও নান্দনিকতার সমারোহে আয়োজিত হচ্ছে ‘মায়া আর্ট ফেয়ার’। রাজডাঙার মায়া আর্ট স্পেসে আজ এবং আগামীকাল, দুপুর ২টো থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলায় আপনি সংগ্রহ করতে পারেন বিশিষ্ট শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, রোহিত চৌধুরী, পার্থ দাশগুপ্ত, সৌরভ ঘোষ প্রমুখের সৃষ্টিকর্ম। পাশাপাশি, সেরামিকস, টেরাকোটা, পোস্ট কার্ড, ফুলদানি, পটচিত্র, মুখোশের বিচিত্র সম্ভারও মুগ্ধ করার মতো। রয়েছে অনবদ্য সব ছবি ও স্থাপত্যকর্ম। সত্যজিৎ রায়ের ‘দেবী’, ‘তিন কন্যা’, ‘পথের পাঁচালী’-র আসল পোস্টারও সংগ্রহ করতে পারেন সিনেপ্রেমীরা। ফুড স্টল আছে খাদ্যরসিকদের জন্য। সংগীতানুষ্ঠান ছাড়া কোনো মেলাই সম্পূর্ণ নয়। আজ মেলায় বীণা পরিবেশন করবেন রেবতী সদাশিবম। আগামীকাল ‘হোয়েল ইন দ্য পন্ড’ ব্যান্ডের সঙ্গীতে মুখরিত হয়ে উঠবে এই মেলা।
২০০ বছরে পা দিল কলকাতার ঐতিহ্যবাহী কলিঙ্গ ব্যাপটিস্ট চার্চ
কলিঙ্গ ব্যাপটিস্ট মণ্ডলী কলকাতার প্রাচীনতম বাংলা মণ্ডলী। চারজন বাঙালি খ্রিস্ট অনুসরণকারী উপাসনার মাধ্যমে এই মণ্ডলীর পথচলা শুরু হয়েছিল ১৮২১ সালে। অধুনা রিপন স্ট্রিটের এই এলাকাটির পূর্ব নাম ছিল কালেঙ্গা। সেই কালেঙ্গাই পরবর্তীতে কলিঙ্গ হয়ে যায়। শুধুমাত্র বাংলাভাষী খ্রিস্টান নয়, তামিল ও তেলেগু ভক্তরাও এখানে উপাসনা করেন। বাঙালি খ্রিস্টান ছাড়াও এখানে মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ও উপাসনা করেন। এছাড়াও মূক–বধিররা উপাসনায় অংশ নেন প্রতি রবিবার। এই কলিঙ্গ ব্যাপটিস্ট চার্চের ২০০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হল। চারদিন ধরে অনুষ্ঠান চলবে। অংশগ্রহণ করবেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বরা।
আজ থেকে শতাধিক লিটল ম্যাগাজিনের জমায়েত জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে
বাংলা লিটল ম্যাগাজিন ফোরামের এই লিটল ম্যাগাজিন মেলা সর্বৈব প্রতিবাদের। ঠিক দুইবছর আগে কয়েকজন লিটল ম্যাগাজিন কর্মীদের উদ্যোগে এই মেলার সূত্রপাত হয়েছিল। ২০১৮ সালে এই মেলা হয় কলকাতার ভারতসভা হলে। ২০১৯ সালে স্থান পরিবর্তিত হয়ে আসর বসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির দ্বারকানাথ মঞ্চে। এবছরেও জোড়াসাঁকো জমে উঠছে লিটল ম্যাগাজিনের জমায়েতে। আজ এবং আগামিকাল (২৫ ও ২৬ জানুয়ারি) এই মেলা চলবে বেলা ১২টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত। ‘ঐহিক’, ‘সাহিত্যের ইয়ারবুক’, ‘আঙ্গিক’, ‘মাস্তুল’, ‘তবুও প্রয়াস’, ‘একশো আশি ডিগ্রি’, ‘ইতিকথা’, ‘বোধশব্দ’-সহ শতাধিক পত্র-পত্রিকা-প্রকাশন এখানে অংশগ্রহণ করবে। মূল মঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে নবনীতা দেবসেনকে স্মরণ করে। পোস্টার সৌজন্যে- সম্বিত বসু।
সত্যজিতের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হল তাঁরই শিল্পকর্মে সেজে ওঠা ক্যালেন্ডার
আগামী বছর সত্যজিৎ রায় জন্মশতবর্ষে পা রাখছেন। সেই উপলক্ষ্যে মহানগরে একটি আলোচনাসভা আয়োজিত হয়েছিল বুধবার। ‘কালচারাল রিলেশনস’-এর ‘স্পাইসেস অ্যান্ড সসেস’ ক্যাফেতে সত্যজিৎ রায় স্মারক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলেন তাঁর পুত্র সন্দীপ রায়। ক্যালেন্ডারটির নাম রাখা হয়েছে ‘একশোয় বারো’। ১২ সংখ্যাটি সত্যজিতের নানা বইয়ের নামকরণে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, ‘এক ডজন গপ্পো’, ‘বাছাই বারো’, ‘আরো বারো’। এই ক্যালেন্ডারের ১২ মাসে পৃষ্ঠাগুলি সত্যজিতের বানানো সিনেমার পোস্টার, বইয়ের প্রচ্ছদ, ডাকটিকিট এবং এই মহান চলচ্চিত্রকার, সাহিত্যিক, শিল্পীর আরও কিছু শিল্পকর্মে সেজে উঠেছে। ‘দ্য ড্রিমারস’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মল্লার ঘোষ, দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্টজনেরা।