গঙ্গাপাড়ের ভাঙন রুখতে প্রিন্সেপ ঘাটে লাগানো হল ম্যানগ্রোভ

ভাঙন রুখতে কলকাতার গঙ্গাপাড়ে ম্যানগ্রোভ লাগানো হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি। এবার কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের উদ্যোগে নতুন করে ‘কাঁকড়া’ প্রজাতির ম্যানগ্রোভ লাগানো হল নদীর ধারে। বিশেষ করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নিচে প্রিন্সেপ ঘাট চত্বরে।
কাঁকড়া হল এক ধরনের বড়ো পাতার কমলা ম্যানগ্রোভ, যা ‘প্রাচ্য ম্যানগ্রোভ’ নামেও পরিচিত। এটি সহজেই বাঁচবে ও বেড়ে উঠবে। তবে শুধু এই প্রজাতির নয়, সুন্দরী এবং বাইন মিলিয়ে মোট ৭৫০টি ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ খবর। এ-ও জানানো হয়েছে যে, চলতি অর্থবর্ষে গঙ্গার ধারে যেখানে যেখানে ফাঁকা জমি পাওয়া যাবে, সেখানেই এমন গাছ লাগানো হবে। এতে ভূমিক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে, গঙ্গাপাড়ের মাটি শক্ত থাকবে। আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই গাছগুলি পোঁতা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুরসভার আধিকারিকরা।
ছবি সৌজন্যে - ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এর আগে গঙ্গাপাড়ের বিভিন্ন জায়গায় কেরলের বিশেষ প্রজাতির নারকেল গাছ পুঁতেছিল পুরসভা। বাবুঘাটের বাজেকদমতলা ঘাট সংলগ্ন গঙ্গাপাড়ে কিংবা দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নিচের জমিতে প্রায় শ-খানেক নারকেল গাছ লাগানো হয়েছিল। এই গাছের শিকড়ও মাটির অনেকটা গভীরে পৌঁছায়। ফলে, তা মাটি শক্ত করে ধরে রাখে। ওইসব চত্বরে গেলে এখনও গাছগুলি দেখা যায়। উদ্ভিদবিদরা জানাচ্ছেন, এতে ভূমিক্ষয় রোধ কড়া সম্ভব হবে। নারকেল গাছগুলি যেখানে লাগানো হয়েছিল, সেখানেই ৭৫০টি ম্যানগ্রোভ পোঁতা হল।
কাঁকড়া হল এক ধরনের বড়ো পাতার কমলা ম্যানগ্রোভ, যা ‘প্রাচ্য ম্যানগ্রোভ’ নামেও পরিচিত। এটি সহজেই বাঁচবে ও বেড়ে উঠবে। তবে শুধু এই প্রজাতির নয়, সুন্দরী এবং বাইন মিলিয়ে মোট ৭৫০টি ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ খবর।
উল্লেখ্য, গত দশ বছরে ম্যানগ্রোভ রোপণে নজর কাড়া সাফল্য পেয়েছে বাংলা। ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য (সুন্দরবন) রয়েছে এখানেই। ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ (Mangrove Conservation) এবং ম্যানগ্রোভ অরণ্য (Mangrove Forest) বিস্তারেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে রাজ্যের বনদপ্তর। সুন্দরবন ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য উপকূলবর্তী অঞ্চলেও ম্যানগ্রোভ গাছ রোপণে উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে রাজ্যে। কেন ম্যানগ্রোভ গাছ গুরুত্বপূর্ণ? কারণ, ম্যানগ্রোভ গাছগুলি, উপকূলবর্তী এলাকায় ভূমিক্ষয় রোধে অত্যন্ত কার্যকরী। আর বিভিন্ন ঝড়ঝঞ্জা, টাইফুন থেকে সংলগ্ন অঞ্চলকে রক্ষা করতেও ম্যানগ্রোভের জুড়ি মেলা ভার। ম্যানগ্রোভ অরণ্য বহু প্রজাতির প্রাণীর বসবাসস্থলও। তাছাড়া, বাতাস থেকে বিপুল পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশ দূষণকে নিয়ন্ত্রণও করে ম্যানগ্রোভ গাছগুলি।