প্লাস্টিক-বর্জ্যে মৃতপ্রায় জলাশয়কে প্রাণ ফিরিয়ে দিল স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা

শেওড়াফুলি স্টেশন লাগোয়া জিআরপি-র ‘সরকারি সম্পত্তি’ পুকুরটি ক’দিন আগেও ভরে ছিল প্লাস্টিক বর্জ্যে। জলই দেখা যাচ্ছিল না ভালো করে। অথচ, এই পুকুরেই মাছ আছে। ফোটে শালুকও। থার্মোকলের থালা, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিকের বর্জ্য, বিড়ির প্যাকেট-সহ হাজারো আবর্জনায় ঢেকে গেছিল এই পুকুর। দুর্গন্ধ বেরোত জল থেকে। প্রশাসন কিংবা স্থানীয় মানুষ—কেউই খুব একটা হেলদোল দেখাননি পুকুরকে দূষণমুক্ত করার ব্যাপারে। এবং, অবহেলায় দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছিল এই জলাশয়।
রোববার ভোরে এই জলাশয়কেই প্লাস্টিকমুক্ত করে আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিতে জড়ো হয়েছিলেন তন্দ্রিল, শুভঙ্কর, বিজন, সৌমেন, ইপ্সিতা-র মতো তরুণ-তরুণী, এমনকি রুমজানের মতো ৭-৮ বছরের একটি ছোট্ট ছেলেও। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় পুকুর থেকে তুলে আনা হয় সমস্ত বর্জ্য। জলকে দূষণমুক্ত করারও চেষ্টা হয় যথাসম্ভব। প্রশাসন, রাজনৈতিক দল বা এনজিও-র উদ্যোগ ছাড়াও যে নিজের এলাকার জলাশয়টিকে বাঁচিয়ে তোলা যায়, তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করল শেওড়াফুলির এই নতুন প্রজন্ম।
জলাশয় ‘প্রকৃতির বৃক্ক’। সেই বৃক্কের আয়তন ক্রমশ কমছে। যেটুকু আছে, তাও দূষণে ভর্তি। জলাশয়কে পরিচ্ছন্ন, দূষণমুক্ত করে বাঁচিয়ে তোলার বার্তাই দিচ্ছেন বিভাস, তন্দ্রিল, শুভঙ্কর, বিজন, সৌমেন, ইপ্সিতা-রা। বার্তা দিচ্ছেন, নিজেরা চেষ্টা করলেই বাঁচিয়ে তোলা যায় অনেককিছু, জলাশয়ও।
ছবিঃ বিভাস গুপ্ত-র ফেসবুক দেওয়াল থেকে।