গভীরতম পিলারযুক্ত দোতলা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশে পদ্মা নদীর ওপর গড়ে উঠেছে নয়া সেতু। আজ ২৫ জুন, শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM Sheikh Hasina) উদ্বোধন করলেন ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর।
অভিনব এই সেতুটির নকশা করেছে ‘নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক মাউনসেল লিমিটেড’ এবং নির্মাণ করেছে ‘চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি বিদেশি সংস্থা। নদী শাসন সংক্রান্ত দিকটি দেখেছে সিনহাইড্রো কর্পোরেশন। এছাড়াও এই পদক্ষেপের পাশে ছিল কানাডা, নেদারল্যান্ড, তাইওয়ান, ভারত, কলম্বিয়া সহ অন্যান্য দেশের বিশেজ্ঞরা। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০,১৯৩ কোটি টাকা।
দোতলা পদ্মা সেতুর (Padma Bridge) দৈর্ঘ্য প্রায় ৬ কিলোমিটারেরও বেশি। এই সেতুটির প্রথম তলায় চলবে বাস এবং অন্যান্য যানবাহন। দ্বিতীয় তলায় চলবে ট্রেন। এই সেতুটির মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষের যোগাযোগ সহজ হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যেও দূরত্ব কমবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলাদেশ – স্মৃতি এবং স্মৃতির কাঁটা
প্রথমে সড়কপথ দিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে সেতুটির। থাকছে টোল ট্যাক্সের ব্যবস্থাও। বাংলাদেশের সরকারের তরফে সেতু পার হতে কোন গাড়ির কত টাকা টোল ট্যাক্স দিতে হবে তাও জানানো হয়েছে। সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদায় করা হবে ট্যাক্স।
জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন স্থলে নৌকায় গান গেয়ে মাতিয়ে তুলছেন নৌকার মাঝি মাল্লারা। কেউ বৈঠা বইছেন; কেউবা গান পরিবেশন করছেন। প্রায় ৩০ জন মাঝি মাল্লা নৌকায় পদ্মা সেতু নিয়ে বাহারি গান ও নাচের মাধ্যমে মাতিয়ে রাখছেন সভাস্থল। বিনোদন দিয়েছেন মানুষদের।
আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল ৬টা থেকে থেকে জনসাধারণের জন্য দরজা খুলবে এই সেতুর। হয়ে উঠবে বাংলাদেশবাসীর কাছে স্বপ্নের সেতু। পদ্মা সেতুটিকে ঘিরে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষ তো বটেই, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আবেগের বিস্ফোরণ হয়েছে। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, পদ্মা সেতু ঢুকে পড়তে পারে দেশ বিদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সিলেবাসে।