কলকাতার রাস্তায় চার্লির সঙ্গে আধটি ঘণ্টা

কলকাতায় এসেছেন চার্লি। চার্লি চ্যাপলিন। একটি শিশু তাঁর হাত ধরে কলকাতা দেখতে বেরিয়েছে। শিশুটির পরিবার অবস্থাপন্ন, স্বচ্ছল। বাড়িতে ভালো খাবার আসে। কিন্তু সেইসব লোভনীয় খাবার কচি ছেলেটাকে টানে না। বরং তাকে এক অমোঘ আকর্ষণে টানেন চার্লি চ্যাপলিন। চ্যাপলিনের হাত ধরে বাচ্চা ছেলেটি ঘোরে কলকাতার পথে-ঘাটে। দেখে, তারই বয়সী ছেলে-মেয়েরা বাঁচছে রাস্তায়। বাঁচছে বাজে খাবার খেয়ে।
রূপকথার নয়, একটি সিনেমার গল্পের আভাস-মাত্র। সিনেমার নাম ‘হাফ অ্যান আওয়ার উইথ চার্লি’। ছোটো ছবি। মাত্র ১৩ মিনিটের। ছোটোদের ছবিও বলা চলে। যদিও নিছক ছোটোদের নয়। একটি সংস্থা বিভিন্ন রেস্তরাঁ, অনুষ্ঠান-বাড়ি থেকে বাড়তি খাবার সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় পথশিশুদের কাছে। সেই সূত্র ধরেই সিনেমাটির ভাবনা মাথায় এসেছিল পরিচালক কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের। তারপরই জন্ম নেয় ‘হাফ অ্যান আওয়ার উইথ চার্লি’। ছবিতে সংলাপ নেই। আছে আবহসঙ্গীত। চার্লি আর পুঁচকে ছেলেটির পাশাপাশি সুরও হাঁটে কলকাতার পথ ধরে।
এই সিনেমা নির্মাণের উদ্দেশ্যটাই কিঞ্চিৎ আলাদা ছিল পরিচালক সহ গোটা টিমের। তাই, সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ছবিটি ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে যোধপুর পার্ক গার্লস, এ কে ঘোষ মেমোরিয়ালে। ইচ্ছে আরো অসংখ্য ছাত্রছাত্রীকে ছবিটি দেখানোর। পাশাপাশি কিছু চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হবে ছবিটি। তারপরে হয়তো মুক্তি পাবে ইউটিউবে বা অন্য কোনো ওয়েব মিডিয়া।
‘হাফ অ্যান আওয়ার উইথ চার্লি-তে অভিনয় করেছে পথশিশুরাও। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে রয়েছেন আরজে মানালি (বিশ্বাস), ইমন চক্রবর্তী এবং রাজ। ছবিটির প্রযোজক শুভঙ্কর বিশ্বাস।
ছবি কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধায়ের ফেসবুক থেকে গৃহীত।