কলকাতায় গ্রিন করিডর: প্রতিস্থাপনযোগ্য হৃৎপিণ্ড পৌঁছল মাত্র ১৬ মিনিটে

গ্রিন করিডরের সঙ্গে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে শহর। কখনো মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য, কখনো বা প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছনোর জন্য। কাল ফের জীবনদায়ী গ্রিন করিডর দেখল কলকাতাবাসী। সৌজন্যে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
মুম্বইতে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মুম্বইয়ের গ্লোবাল হসপিটালে ভর্তি ছিল একজন কিশোর। গতকাল ‘ব্রেন ডেড’ ঘোষণা করা হয় তাঁকে। এদিকে কলকাতার ফোর্টিস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন দমদমের বাসিন্দা অনুষা অধিকারী। মৃত কিশোরের পরিবারের সম্মতি নিয়ে তাঁর হৃৎপিণ্ডটি প্রতিস্থাপনের জন্য বের করে উড়িয়ে আনা হয় দমদম এয়ারপোর্টে। রাত ১০.১৫ নাগাদ হৃৎপিণ্ড এসে পৌঁছলেই কলকাতা পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়ে যায়।
বিমানবন্দর থেকে ফোর্টিস পর্যন্ত গ্রিন করিডর তৈরি করা হয় দ্রুতই। ১০.২২-এ এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিয়ে হৃৎপিণ্ড হাসপাতালে পৌঁছে যায় মাত্র ১৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে। হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়াও শুরু হয় যথাসময়েই।
মানবিকতার এইসব দৃষ্টান্ত যেন চিরস্থায়ী হয়, এটাই এখন চাইছে শহরবাসী।