No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট

    ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট

    Story image

    ইও চিউ( Eau Chew) কলকাতার সবচেয়ে পুরনো চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। তবে এই নিয়ে মতভেদ আছে। অনেকের মতে চুং ওয়া (Chung Wah) সবচেয়ে পুরনো। এর বয়স প্রায় ১২৬ বছর। তবে বর্তমানে এই রেস্টুরেন্টের মালিক চাইনিজ নয়। তাই ভারতীয় চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ‘ইও চিউ’-কেই সবচেয়ে প্রাচীন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে এই রেস্টুরেন্টের তৈরির সময় সম্পর্কেও মতভেদ আছে। অনেকের মত এটি শুরু হয়েছিল ১৯২২ সালে, আবার কেউ বলেন ১৯২৭ সাল থেকে। যাই হোক বর্তমানে এইখানে এসে পাওয়া যাবে অথেন্টিক চাইনিজ খাবারের স্বাদ।

     

    টেরিটিবাজার পশ্চিমবঙ্গের পুরনো চায়নাটাউন। চীন থেকে আগত বাসিন্দারা এখানে বসবাস শুরু করে। চাইনিজরা নিজেদের দেশের মত করে কলকাতার বুকে তৈরি করে ছোট চীন। চাইনিজদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন এখানে পাওয়া যেত তেমনি একের পর এক চাইনিজ খাবারের দোকানও গজিয়ে ওঠে এখানে।

     

    এই সব দোকানের মাধ্যমে দেশছাড়া চাইনিজরা তাদের নিজেদের খাবারের স্বাদ পেত। জোসেফ ও আছুম্পাও একটি চাইনিজ খাবারের দোকান খোলেন। প্রথমে এখানে খাবার তৈরি করা হত চাইনিজদের জন্যই। এইসব খাবারের দাম ছিল খুব কম। আছুম্পা হংক চীনের মোই ইয়েন(Moi Yen village) গ্রাম থেকে কলকাতায় আসেন। ধীরে ধীরে এই চাইনিজদের খাবার কলকাতাবাসীদের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে অথেন্টিক চাইনিজ খাবার বলতেই ইও চিউ-এর নাম সবার আগে। শুরু থেকেই পরিবারের সদস্যরাই একত্রিত হয়ে রান্না করত। এই ধারা এখনও বজায় আছে। এই ব্যাপারে দোকানদার বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমাদের সিক্রেট রেসিপিকে লুকিয়ে রাখতে পেরেছি। এখানে অন্যান্য কাজের জন্য কর্মচারী রাখা হলেও রান্না করেন আমাদের পরিবারের সদস্যরাই।’

     

    জোসেফ নুডুলস এখানকার সিগনেচার খাবার। প্যান ফ্রাইড নুডুলসটি তৈরি করা হয় মাছ, মাংস, সবজি এবং সিক্রেট মশলা দিয়ে। জোসেফ হংক এই অভিনব খাবারটি তৈরি করেন তাই এর নাম জোসেফ নুডুলস। জোসেফ নুডুলস এর সঙ্গে অবশ্যই নিতে হবে চিমনি সুপ। সুপটি গরম রাখার জন্য পাত্রের মাঝখানে একটি চিমনি থাকে যার মধ্য থাকে কাঠকয়লা। আগে সুপপাত্রটি চীন থেকে আনা পিতলের হত। এইসব বাসন আছুম্পা ১৯২৭ সালে চীন থেকে আসার সময় নিয়ে আসে। এখন অবশ্য সেইগুলি ব্যবহার করা হয় না। সুপটি খাবার সময় মুখে পড়বে চিকেনের ছোট টুকরো, চিংড়ি, পর্কের টুকরো, মাছ, ডিম এবং সবজি।

    এখানকার আরেকটি বিখ্যাত খাবার হল রোস্টেড চিলি পর্ক উইথ স্মোকি ফ্লেবার। খাবারের শেষে অবশ্যই টেস্ট করে দেখার চাইনিজস জাসমিন টি। এটি একটি অথেন্টিক চাইনিজ চা।

     

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @