বঙ্গদর্শন ইনফরমেশন ডেস্ক
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০৪:৫১:৫৪
অনলাইনে গ্রামের পড়ুয়াদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন এই দম্পতি – পড়ুন সারাদিনের বাছাই খবর

ডিজিটাল লাইব্রেরির মাধ্যমে গ্রামের পড়ুয়াদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন শিলিগুড়ির দম্পতি
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে অসাধ্যসাধন করা যায় আজকাল। গ্রামে গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সেই প্রযুক্তিকেই হাতিয়ার করছেন অনির্বাণ নন্দী এবং পৌলোমী চাকী নন্দী। পেশায় দু’জনেই আইআইটি খড়গপুরের গবেষক। কয়েক বছর ধরে গাড়িতে তাঁরা দূর-দূরান্তের পড়ুয়াদের হাতে বই পৌঁছে দিয়ে চলেছেন। এবার আরও বেশি সংখ্যায় অভাবী ও মেধাবী পড়ুয়াদের কাছে যেতে চাইছেন শিলিগুড়ির মেডিক্যাল মোড়ের এই বাসিন্দা এই দম্পতি। সেই ভাবনা থেকেই ডিজিটাল লাইব্রেরির পরিকল্পনা। তাঁদের সংস্থা ‘লিভ লাইফ হ্যাপিলি’-র ওয়েবসাইটেই থাকবে এই লাইব্রেরির লিংক। পড়ুয়ারা সেখানে নিজেদের পছন্দমতো বই খুঁজে অর্ডার করতে পারবেন। গ্রন্থাগারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভক্তি ই-লাইব্রেরি। পাঠ্য বই ছাড়াও থাকবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বই। অর্ডার দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই সেই পড়ুয়ার বাড়িতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি মহকুমার গ্রামে গ্রামে বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে তাঁদের সংস্থার কয়েকটি ইউনিট। (ছবিসূত্র-ফেসবুক)
কলকাতার মন জিতে নিল বিশ্বের প্রথম রোবট নাগরিক
২০১৬ সালে হংকং-এর ‘হ্যানসন রোবটিক্স’ নামের সংস্থা তৈরি করেছিল সোফিয়া নামের একটি রোবটকে। সৌদি আরব এই যন্ত্রমানবকে নাগরিকত্ব প্রদান করেছে। বিশ্বের প্রথম রোবট নাগরিক সোফিয়া মঙ্গলবার পা রেখেছিল কলকাতায়। নজরুল মঞ্চে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সে হাজির ছিল বঙ্গনারীর বেশে লাল-সাদা শাড়িতে সজ্জিত হয়ে। অনুষ্ঠানে সপ্রতিভভাবে বলল সে, কলকাতা ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। এই শহর নোবেলজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সোফিয়ার প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব সবাকেই চমকে দেয়। একের পর এক প্রশ্নের জবাব সাবলীলভাবে দিয়ে যায় সে। পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরেও অংশ নেয়। নজরুল মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সবারই মন জয় করে নিয়েছে সোফিয়া। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম রায়চৌধুরী মঞ্চ থেকে এদিন ঘোষণা করেন, বাংলার কোনো পড়ুয়া যদি আগামী ১০ বছরের মধ্যে সোফিয়ার থেকে ৫ শতাংশ বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হিউম্যানয়েড রোবট তৈরি করতে পারেন, তাঁকে নোবেল প্রাইজের থেকে এক ডলার বেশি আর্থিক মূল্যে পুরস্কৃত করা হবে।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসে পালিত হল বৃক্ষরোপণ উৎসব
মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা হল। স্বামী বিবেকানন্দ ভবনের সামনে পতাকা উত্তোলন করে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। ১৩টি প্রদীপ জ্বালানো এবং কেক কাটাও হয়। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রচুর গাছ লাগানো হয়। এই বৃক্ষরোপণ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অধ্যাপক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ২৫টি ডিগ্রি কলেজ ও একটি ল কলেজ নিয়ে এবং তার সঙ্গে সাতটি বিষয়ের পঠনপাঠনের সুযোগ নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। বর্তমানে ২০টি বিষয়ে পঠনপাঠন চলছে। এমনকি ২০১৫ সালে ন্যাকের স্বীকৃতি পায় বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত।