কলেজস্ট্রিটের স্বপ্নের বইঘর ‘ধ্যানবিন্দু’র আজ ৮তম জন্মদিন

একটা সময় ছিল, যখন বইপ্রেমীদের বিশেষত লিটল ম্যাগাজিনপ্রেমীদের একমাত্র ঠিকানা ছিল কলেজস্ট্রিটের পাতিরাম। দিন যত গেছে পাতিরামের পাঠকসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে৷ শুধুমাত্র তাদের খারাপ ব্যবহারে। এরপর ঠিক ৮ বছর আগে গুটি গুটি পায়ে পথচলা শুরু করল ধ্যানবিন্দু৷ গুটিকয়েক পত্র-পত্রিকা আর দুর্মূল্য কয়েকটি বই নিয়ে অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় শুরু হল কলেজস্ট্রিটের এই বই-দোকান। প্রথম থেকেই যুক্ত হলেন সুধন্য সরকার। সবার প্রিয় সুব্রত। অভীক-সুব্রত জুটিকে আপন করে নিল বইপাড়া।
আজ ধ্যানবিন্দু ৮ বছর পূর্ণ করে ৯-এ পড়ল। নবীন ও প্রবীণদের আড্ডা দেওয়ার অন্যতম জায়গা এই দোকান। দূর কোনো মফঃস্বল থেকে লিখতে আসা তরুণ ধ্যানবিন্দুতে এলেই খুঁজে নেয় কবিতার পত্রিকা। আবার প্রবীণ লেখক পত্রিকার পাতা উল্টে উল্টে দেখে নেন কোন কবিরা নতুন এলেন! কারা কেমন লিখছেন!
আজকের এই বিশেষ দিনে ধ্যানবিন্দুর অন্যতম দোসর সুধন্য সরকার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লিখেছেন, “আজ শুরুর দিন। এই মন্দিরের। আর পাঁচজনের মতো আমিও ভাবি। নিজের বলে কাকে? মন জানান দেয়। তোমার কিছু নাই। আর পাঁচটা আছের মধ্যে আমার তবে আছে কী? মন জানান দেয় আছে। আত্মার স্পন্দন। অনুভব করি।
কীভাবে যেন জড়িয়ে গেলাম। আট বছর, দেখতে দেখতে আপনারাও।... এই দিনটা এলেই আমার খুব আনন্দ হয়। জন্মদিন বিলাসিতা হতে পারে ভেবে, চুপিসারে কিনে আনি লজেন্সের প্যাকেট। লেনদেন মিটলে মুঠোয় লুকোনো আশ্চর্য এক খুশি মেলে দিই অপর এক খোলা করতলে।... হাঁক দিয়েও ডাকি লোকজনেরে, তাঁরা জানেন মধুর এক কথা আবারো বলবো আজ। প্রিয়জনে মনে মনে জনে জনে আজব সে বিস্তার ছড়ায় দেখি খুশির মতো। আমার খুব আনন্দ হয়।”
শুভ জন্মদিন ধ্যানবিন্দু।