No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন : স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘মিডল ইংলিশ স্কুল’ 

    দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন : স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ‘মিডল ইংলিশ স্কুল’ 

    Story image

    ময়টা ১৯৪০। দেশ তখন ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯২৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের দশগ্রামে একটি ‘এম ই’ স্কুল অর্থাৎ মিডল ইংলিশ স্কুল চালু হয়। লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য কিছু তরুণকে ভালো ভাবে তৈরি করা। বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী সতীশ চন্দ্র দাসের উদ্যোগেই এই মিডল ইংলিশ স্কুলটি শুরু হয়। ১৯৪৮ সালে প্রয়াত হন তিনি। তারপর তাঁর ভাই গোপাল চন্দ্র দাস অধিকারী, যিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতা এবং গান্ধিজি ও জওহরলাল নেহরুর ঘনিষ্ট ছিলেন, তিনি ১৯৪০ সালে, দাদার স্মৃতিতে দশগ্রাম হাইস্কুল নামে একটা স্কুল তৈরি করেন।

    ১৯৪২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর, মাতঙ্গিনী হাজরার নেতৃত্বে যখন তমলুক থানা ঘেরাও হল, তার সাতদিন আগে দশগ্রাম হাইস্কুলের ছাত্ররা সবং থানা ঘেরাও করতে যায়। তখন ব্রিটিশ পুলিশের লাঠিচার্জে অনেক ছাত্র জ্ঞান হারায়। সবং থানার পুলিশ রেকর্ডে এই তথ্য পাওয়া যায়। ১৯৪০ সালকেই আজকের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনের প্রতিষ্ঠা দিবস ধরা হয়, স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক ছিলেন ঈশ্বর চন্দ্র প্রামাণিক। তিনিও ছিলেন বিখ্যাত গান্ধিবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী।

    ১৯৫৯ স্কুলটা হায়ার সেকেন্ডারি হয়। মাল্টিপার্পাস স্কুল হিসাবে কাজ শুরু করে। ‘মাল্টিপার্পাস’-এর বাংলা হল সর্বার্থ সাধক।  তখনই, অর্থাৎ ১৯৫৯ সালেই স্কুলের নাম হয় দশগ্রাম সতীশ চন্দ্র সর্বার্থ সাধক শিক্ষা সদন। সেই থেকে এই নামেই স্কুলটি আজও চলছে। ১৯৪০ সালের সেই মিডল ইংলিশ স্কুল, যেটা পরে সেকেন্ডারি স্কুল হলো, তার জন্য ঈশ্বর চন্দ্র প্রামাণিক, স্থানীয় মানুষদের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়ে, খাতা-বই কিনে, ১৯৪০-এর ১৮ জানুয়ারি, ১ জন ছাত্র নিয়ে স্কুলটি শুরু করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গান্ধিজি, রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দর আদর্শকে সামনে রেখে স্কুলটি চলছে। এই হল পশ্চিম মেদিনীপুরের দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন সৃষ্টির ইতিহাস, বলছিলেন স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত যুগল প্রধান।

    মহাত্মা গান্ধির সর্বদয় শিক্ষা বা গ্রাম স্বরাজ ভাবনা নিয়েই স্কুলটি চলছে। অর্থাৎ গান্ধির ভাবনা অনুযায়ী নিজের জিনিস নিজে তৈরি করে নেওয়ার শিক্ষা দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদনে প্রথম থেকেই দেওয়া হচ্ছে, যা আজও চলছে। সেই থেকে স্কুলে চাষের জমিতে চাষ, পুকুরে মাছ চাষ, মৌমাছি চাষ, কাগজ তৈরি, কাঠের জিনিস তৈরি করার কাজ হয়ে আসছে। সাবলম্বনের জন্য গান্ধিজির যে শিক্ষা, বুনিয়াদি শিক্ষার স্তর থেকেই সেই শিক্ষা দেওয়ার কাজ চলছে এই স্কুলে। এর পাশাপাশি গুরুদেব রবীন্দ্রনাথের আশ্রমিক শিক্ষারও প্রভাব আছে স্কুলের শিক্ষাদানে। এই প্রচেষ্টায় সাফল্য পেয়েছে বলেই  এই স্কুলটিকে অনেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ‘ছোটো শান্তিনিকেতন’ বলে থাকেন। “আমরা রবীন্দ্রনাথের পরিবেশ কেন্দ্রীক ও গুরুকূল ভিত্তিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা স্কুলে চালু রেখেছি”, বলছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দর মানুষ গড়ার ভাবনাকে সম্বল করে চলে শিক্ষাদান। 

    অনেক আগে থেকেই স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত, ল্যাবরেটরি প্রথম থেকেই উন্নতমানের ছিল বলে দীর্ঘদিন আগে থেকেই দশগ্রাম সতীশ চন্দ্র সর্বার্থ সাধক শিক্ষা সদনের ছাত্রছাত্রীরা এখন সমাজে উল্লেখযোগ্য কাজের নজির রাখতে পেরেছে। অনেক ছাত্র এখনও দেশ-বিদেশের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত, ৫০ জন ছাত্র এমবিবিএস পাশ করে সফল চিকিৎসক হয়েছেন। বহু ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন দেশ, বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন যিনি উপাচার্য সেই শুভেন্দু বিকাশ গোস্বামী এই স্কুলের ছাত্র। লন্ডনের ইল্পিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ডঃ বিকাশ পাল এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়াতে অ্যাডভান্স রিসার্চ করছেন শিশির চৌধুরী, ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করছেন সুশান্ত দে, আইআইএসটি বেঙ্গালুরুতে গবেষণা করছেন পুষ্পেন্দু বিকাশ দাস, আইআইএম - শিলংয়ের অধিকর্তা ছিলেন অমিতাভ দে, আইপিএস ও বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবির এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র। এই সমস্ত কৃতীরা কখনও মেধা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, কখনও কোনও স্কুলের প্রকল্পে আর্থিক ভাবেও সহায়তা করেন স্কুলের কৃতী প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।  

    অতীতে বহুবার এই স্কুলের ছাত্ররা মাধ্যমিকে প্রথম স্থান লাভ করেছে। সাম্প্রতিক অতীতে এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে স্থান না পেলেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে প্রথম স্থান পেয়ে আসছে। প্রথম থেকেই পড়ুয়াদের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই স্কুল এগিয়ে চলেছে। বর্তমান স্কুল পড়ুয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধাভিত্তিক সহায়তা দেওয়ার জন্য অনলাইন, অফলাইনে পরামর্শ দেন এই সমস্ত কৃতী স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।

    এখন স্কুলে আর্টস, সায়েন্স, কমার্স ও ভোকেশনাল পড়ান হয় উচ্চনাধ্যমিকে। পাশাপাশি অষ্টম মান উত্তীর্ণ ভোকেশনাল শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু আছে এখানে। স্কুলের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে এখনও ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের জমিতে সবজি চাষ, মৌমাছি পালন, মাশরুম উৎপাদন, কিচেন গার্ডেন করে৷ মাধ্যমিকে ৯০% এর বেশি নম্বর ১০ জনের মতো প্রতি বছর পায়৷ পাশ করে ১০০%, উচ্চমাধ্যমিকেও একই ভাবে সফল হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। গত বছরও একজন এমবিবিএস-এ ভর্তি হয়েছে। এই বছর জেইই অ্যাডভান্স, জেইই মেইনে অনেকে সফল হয়েছে।

    উচ্চমাধ্যমিকের পর ছাত্রছাত্রীদের স্বাবলম্বী করার জন্য স্কুল থেকেই উচ্চ শিক্ষায় যাওয়ার জন্য কাউন্সেলিং হয়। এর ফলে মেধাবী ছেলেমেয়েরা যেমন ভালো জায়গায় উচ্চশিক্ষার জন্য যায়, তেমনই সাধারণ মানের পড়ুয়াদের জন্য ভোকেশনাল কোর্স  করানো হয় স্কুল থেকে। যেমন, ফায়ার ফাইটিংয়ের ট্রেনিং নিয়ে সম্প্রতি দুই ছাত্র রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগে ফায়ার ফাইটারের কাজ পেয়েছেন। কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য এখান খেকে ছাত্রদের বেলুড়, নরেন্দ্রপুরে পড়তে পাঠানো হয়। প্রধান শিক্ষক বলছিলেন, “স্কুল স্তরে প্লেসমেন্টের ব্যবস্থা কেথাও হয় না। কিন্তু আমরা চেষ্টা করি স্কুলের পড়া শেষে ছাত্রছাত্রীরা স্বনির্ভরতার স্বাদ পাক, যাতে ভবিষ্যতে কাজ পেতে সুবিধা হয়।”

    বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন যিনি উপাচার্য সেই শুভেন্দু বিকাশ গোস্বামী এই স্কুলের ছাত্র। লন্ডনের ইল্পিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ডঃ বিকাশ পাল এই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়াতে অ্যাডভান্স রিসার্চ করছেন শিশির চৌধুরী, ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করছেন সুশান্ত দে, আইআইএসটি বেঙ্গালুরুতে গবেষণা করছেন পুষ্পেন্দু বিকাশ দাস, এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র।

    স্কুলের দুই প্রাক্তন শিক্ষকের নামে মেমোরিয়াল ক্লাস আছে। শিক্ষকদের উৎসাহিত করার জন্য আদর্শ শিক্ষক পুরস্কার দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, ঈশ্বরচন্দ্র প্রামাণিকের নামে। গত ২০২০ সালে স্কুলের এক শিক্ষক, কোভিডে প্রয়াত হন। তাঁর নামে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা ‘কাজলবাবু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট’ করেছেন। সেই ট্রাস্টের মাধ্যমে ৬ হাজার বর্গফুটের একটি ক্লাস রুম তৈরি করে দিয়েছেন তাঁরা, এখানে জেইই মেইন, জেইই অ্যাডভান্স, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠক্রমে ভর্তির পরীক্ষাগুলোর কোচিং, কাউন্সেলিং দেওয়া হয়। পাশাপাশি এখানে স্কুল ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয় উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের ডাব্লুবিসিএস এবং অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় নামমাত্র অর্থের বিনিয়মে। স্কুলটা যেহেতু প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত, তাই প্রাক্তন ছাত্ররা অর্থ সাহায্য করছেন স্কুলটির শিক্ষাগত পরিকাঠামো উন্নতস্তরে পৌঁছে দিতে। এই কাজে স্কুলের প্রাক্তনরা এখনও পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। কাজলবাবু, অর্থাৎ যে প্রয়াত শিক্ষকের নামে এই ক্লাসের ব্যবস্থা, সেই কাজলবাবুর আসল নাম বিশ্বরঞ্জন দাস অধিকারী। 

    ১৪ একর জায়গার উপর এই স্কুলটি অবস্থিত। পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১২০০ ছাত্রছাত্রী। একাদশ-দ্বাদশে কো-এড।  পঞ্চম থেকে দশম পর্যন্ত পড়ে শুধু ছেলেরা। স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ছাত্রছাত্রীর তুলনায় কম বলে জানালেন প্রধান শিক্ষক যুগল প্রধান। তাঁর কথায়, স্কুলে টিচিং স্টাফ খুবই কম। ২৫ জন। আমাদের এখনও শূন্যপদ ৯টি। ক্লাস চালাতে আমাদের বাইরে থেকে পার্টটাইম টিচার হায়র করে কাজ চালাতে হয়। অত্যাধুনিক ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি আছে। এগুলো পুনর্গঠনের জন্য স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা সহায়তা করেছেন, করছেন। ফুটবলে সুব্রত কাপের সেমিফাইনাল খেলেছে দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন। হকি খেলায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা কৃতিত্বের স্থান রেখেছেন। এই স্কুলের কিছু মেয়ে জাতীয়স্তরে হকি টিমে খেলেছেন। স্কুলে ছেলে, মেয়েদের আলাদা হস্টেল আছে। ছেলেদের হস্টেলে ২০০ জন থাকে, মেয়েদের হস্টেলে ২০ জন। স্কুলে বেশিরভাগ সাধারণ বাড়ির ছেলে-মেয়েরা পড়তে আসে। কিছু এমন অভিভাবকও আছেন, যাঁরা মনে করেন সাধ্য আছে বলেই সন্তানদের দামি ও নামকরা স্কুলে না পড়িয়ে সাধারণ স্কুলে, সাধারণ বাড়ির ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে পড়াবেন, তাই তাঁরা সন্তানদের এই স্কুলে ভর্তি কারান। তবে, সংখ্যাটা কম। স্কুলে এসসি, এসটি, মাইনরিটি পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়তে আসে। এর মধ্যে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াই বেশি।

    “সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে পড়তে আসাদের মধ্যে ড্রপ আউট বেশি, তারা পড়তে আসছে কিন্তু সেটা চালিয়ে নিতে পারছে না নানা আর্থ-সামাজিক কারণে। অনেকেই কাজের সন্ধানে বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে আমরা এই সব এসসি, সংখ্যালঘু এলাকায় গিয়ে পড়াশোনা করার উপযোগিতা বোঝাচ্ছি, তাতে সব ক্ষেত্রে না হলেও কিছুটা কাজ হচ্ছে, উপায়হীন ছেলেদের হস্টেলে রেখে পড়াচ্ছি”, বলছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

    মূলত গান্ধিজির সর্বদয় শিক্ষা, রবীন্দ্রনাথের আশ্রমিক শিক্ষা ও বিবেকানন্দর মানুষ গড়ার শিক্ষা- এই তিনটি বিষয়কে নির্ভর করেই এগিয়ে চলেছে দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন। 

    তথ্যসূত্র : যুগল প্রধান, প্রধান শিক্ষক, দশগ্রাম সতীশচন্দ্র সর্বার্থসাধক শিক্ষাসদন
    ছবি: সংগৃহীত
    *কলকাতা, শহরতলি বা জেলার কোনও না কোনও স্কুলের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে গর্বের ইতিহাস রয়েছে, রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বুনিয়াদি গল্প। এবার সেদিকেই ফিরে তাকিয়ে চলছে নতুন ধারাবাহিক ‘আমাদের ইস্কুল’। সমস্ত পর্ব পড়তে
    এখানে ক্লিক করুন। চোখ রাখুন প্রতি বুধবার সন্ধে ৬টায়, শুধুমাত্র বঙ্গদর্শনে।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @