No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    বিশ্ব আদিবাসী দিবস : ধামসা-মাদলের তালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মেতে উঠলেন ঝাড়গ্রামের মানুষ

    বিশ্ব আদিবাসী দিবস : ধামসা-মাদলের তালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মেতে উঠলেন ঝাড়গ্রামের মানুষ

    Story image

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জননেত্রী। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তায় নেমে আমজনতার সঙ্গে মিশে যেতে তাঁর কোনো অসুবিধা হয় না। কারণ মানুষের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে মিশতেই তিনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবসেও তার অন্যথা হল না।

    ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে আজ আদিবাসী শিল্পীদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসীদের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, জেলাশাসক জয়শ্রী দাশগুপ্ত এবং নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে ধামসার তালে পা মেলালেন। নাচের পরে বাজান ধামসা এবং খঞ্জনিও।


    অনুষ্ঠানের পর আদিবাসী শহিদদের আলোকচিত্র ঘুরে দেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিধো কানহোর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। বিশ্ব আদিবাসী দিবসের এই অনুষ্ঠানে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, জয় জোহর প্রকল্পের আওতায় ১৯ জনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতি ১৩ জনকে সংবর্ধনা জানান। বিভিন্ন কাজে নজির গড়ার জন্য জেলার ১৭ জনকে বিশেষ সংবর্ধনাও জানিয়েছেন।

    বিশ্ব আদিবাসী দিবসের ইতিহাস পড়লে জানা যায়, ৫টি মহাদেশের ৪০টির বেশি দেশে বসবাসরত ৫ সহস্রাধিক আদিবাসী জনজাতি মানুষের সংখ্যা ৩০-৩৫কোটি। এঁদের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচয় প্রথম জাতি, উপজাতি, আদিবাসী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠি, ক্ষুদ্র-জাতিসত্ত্বা পরিচয় পাওয়া যায়। তবে আদিবাসী শব্দের সুর্নিদিষ্ট সংজ্ঞা ও তাঁদের অধিকার নিয়ে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক তর্ক-বিতর্ক। জাতিসংঘে দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন আলোচনা-পর্যালোচনায় আদিবাসী সংজ্ঞা নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি। তবে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার আদিবাসী জাতিসত্ত্বার আত্ম-পরিচয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে অধিকার সংরক্ষণের জন্য আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৫৭(১০৭) ও পুনসংস্করণ আদিবাসী ও ট্রাইবেল জনগোষ্ঠি কনভেনশন-১৯৮৯(১৬৯) দুটি ধারা গৃহীত হয়।

    এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস। আজ আবার ভারত ছাড়ো আন্দোলনও শুরু হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে আদিবাসী ভাই-বোনদের অবদান ভোলার নয়। তাঁদের প্রণাম জানাই।”

    সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়গ্রামের ৯৫ শতাংশ মানুষকে সুবিধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে। সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তোলা হয়েছে। মাওবাদী হামলায় মৃতদের পরিবারের অনেকেই সরকারি চাকরি পেয়েছেন। আদিবাসীদের জন্য ২০১৩ সাল থেকে আলাদা বিভাগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আদিবাসীদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। তাঁদের জমিও হস্তান্তর করা যাবে না।”

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @