No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    নেতাজির জন্মদিবসে পাহাড়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    নেতাজির জন্মদিবসে পাহাড়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

    Story image

    মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উপস্থিতিতে বিগত পাঁচবছরের মতো এবারেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস পালিত হল দার্জিলিং-এ। দার্জিলিং-এর ম্যালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নেতাজিকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাসও করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাং, ভাইস চেয়ারম্যান অনিত থাপা, রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ইন্দ্রনীল সেন, রাজ্যসভার সাংসদ শঙ্কর ছেত্রী প্রমুখরাও।

    দার্জিলিং সুভাষচন্দ্র বসুরও প্রিয় জায়গা ছিল, নেতাজির ১২৩তম জন্মদিবসে পাহাড়বাসীকে সেই কথাই স্মরণ করিয়ে দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতাজি জড়িয়ে নিয়েছিলেন পাহাড়কেও। ১৯৩৬ সালে কার্শিয়াঙেই তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিল ব্রিটিশ সরকার। নেতাজির ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মিতে যোগদান করেছিলেন গোর্খা সৈনিকরাও। নেতাজির সঙ্গে দার্জিলিঙের তথা পাহাড়বাসীর এই নিবিড় সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিগত কয়েক বছর ধরে এখানে নেতাজির জন্মদিবস পালন করছে— সে কথাও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

    দার্জিলিঙের এই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে ছিল গজোলডোবায় হাতি সাফারির সূচনা, ঝালং, চালসা, টংলু, ডেলো, গজলডোবায় পর্যটকদের জন্য কটেজের শিলান্যাসের পাশাপাশি বোদাগঞ্জের একাধিক পর্যটন প্রকল্পের শিলান্যাসও। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং-সহ পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দ্রুত আরো বেশ কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি। দার্জিলিঙের কয়েকটি বেহাল সড়ক মেরামতির জন্য স্থানীয় পৌরসভাকে উদ্যোগী হতে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি দার্জিলিঙের পানীয় জল সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পাহাড়ি আঞ্চলিক গোষ্ঠি বোর্ডের প্রতিনিধিদের হাতে প্রথম কিস্তির এক লক্ষ টাকা করে সরকারি অনুদান তুলে দেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। ‘হিমল তরাই ডুয়ার্স স্পোর্টস মিট’ ফুটবল টুর্নামেন্টের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও তুলে দিয়েছেন তিনি।

    দেশের ঐক্যই যে নেতাজির কাছে প্রাধান্য পেয়েছিল— বক্তৃতায় সেই প্রসঙ্গ তুলে এনে এদিন বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারতেন বলেই যে নেতাজি, মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, বাবাসাহেব আম্বেদকরের মতো মানুষরা ‘প্রকৃত জাতীয় নেতা’ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন—নিজের বক্তব্যে সে কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @