No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    চালসা – ডুয়ার্সের রানি 

    চালসা – ডুয়ার্সের রানি 

    Story image

    চাপড়ামারি অভয়ারণ্য

    হিমালয়ের পাদদেশে ছোট্ট শহর চালসা। জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্স অঞ্চলে তার অবস্থান। নিরিবিলি ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা। চারদিকে পাহাড়, চা বাগান আর নদী। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। যে কারণে ব্রিটিশরা একে ‘ডুয়ার্সের রানি’ বলে ডাকতেন। নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন এবং বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে সহজেই পৌঁছনো যায়। বর্ষার পর ঘুরতে গেলে সবথেকে বেশি মজা পাবেন। উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ গন্তব্যের থেকে চালসা খানিকটা আলাদা। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ অবধি যে কোনও সময়ে চলে যান।

    সারা ভারতে যত চা উৎপাদন হয়, তার ২৫ শতাংশের বেশি আসে ডুয়ার্স থেকে। বাংলার চা পর্যটনে তাই ডুয়ার্সের গুরুত্ব খুব বেশি। চালসার আশেপাশে দেখতে পাবেন অনেক চা বাগান। আর কাছেই দুটি বিখ্যাত অভয়ারণ্য রয়েছে – গরুমারা জাতীয় উদ্যান এবং চাপড়ামারি অভয়ারণ্য।  

    বিন্দু

    গরুমারা এখন সম্ভবত গোটা পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে জনপ্রিয় অভয়ারণ্য। পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে চাপড়ামারি ঘোরার অভিজ্ঞতাও কম রোমাঞ্চকর নয়। ভারতীয় বন আইন অনুসারে ১৮৯৫ সালে এটিকে জাতীয় সংরক্ষিত অরণ্য বলে ঘোষণা করা হয়। ১৯৩৯ সাল থেকে ‘চাপড়ামারি’ নামটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ‘চাপড়া’ এক ধরনের ছোটো মাছ, যা এখানে পাওয়া যায়। আর ‘মারি’-র অর্থ ‘প্রাচুর্য’। তিস্তা, নেওড়া এবং মূর্তি নদী বয়ে গিয়েছে এই অঞ্চল দিয়ে। ভারত সরকার ১৯৯৮ সালে চাপড়ামারিকে জাতীয় অভয়ারণ্য ঘোষণা করে। 

    বিচিত্র ধরনের গাছ দেখতে পাবেন এখানে। তাছাড়া হাতির জন্যও চাপড়ামারি বিখ্যাত। স্তন্যপায়ীদের মধ্যে আর রয়েছে গৌড় (ভারতীয় বাইসন), গণ্ডার, বিভিন্ন রকমের হরিণ, বুনো শুয়োর এবং লেপার্ড। টিয়া, মাছরাঙা, সবুজ পায়রার মতো নানা প্রজাতির পাখিও থাকে। চাপড়ামারি তাই পাখিপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য।

    বহু রকম প্রাণী এবং উদ্ভিদে সমৃদ্ধ গরুমারা। প্রায় ৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ১৯০-এর বেশি ধরনের পাখি, ২০-র বেশি প্রজাতির সরীসৃপ, ৭ রকমের কচ্ছপ, ২৫-এরও বেশি ধরনের মাছ এবং আরও বিচিত্র সব প্রাণী। বড়ো বেড়ালজাতীয় প্রাণীর অভাব রয়েছে, কেবল লেপার্ডই দেখা যায় এদের মধ্যে। তবে হঠাৎ করে গরুমারা অরণ্যে একটি নিঃসঙ্গ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চলে আসার খবর মিলেছিল।

    চালসা থেকে চাপড়ামারি প্রায় ৩০ কিলোমিটার এবং গরুমারা মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে দেড় ঘণ্টায় চালসা পৌঁছনো যায়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। বাস কিংবা ট্যাক্সি মেলে সহজেই। শীতকালে যদি বেড়াতে যান, পর্যাপ্ত গরম জামাকাপড় সঙ্গে নেবেন। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে চালসার তাপমাত্রা ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ঘোরাফেরা করে। 

    জলঢাকা

    গরুমারা আর চাপড়ামারি ছাড়াও আশেপাশে বেশ কয়েকটি ডেস্টিনেশন রয়েছে। যেমন বিন্দু, ঝালং, জলঢাকা। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব মূর্তি ট্যুরিজম প্রপার্টি (পূর্বতন মূর্তি ট্যুরিস্ট লজ) মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে চালসা থেকে। কয়েকদিন সেখানে থাকতে পারেন স্বচ্ছন্দে। বুকিং এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন – 
    West Bengal Tourism Development Corporation Ltd
    DG Block, Sector-II, Salt Lake
    Kolkata 700091
    Phone: (033) 2358 5189, Fax: 2359 8292
    Website: https://www.wbtdcl.com/
    Email: visitwestbengal@yahoo.co.in, mdwbtdc@gmail.com, dgmrwbtdc@gmail.com


     

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @