ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষে গৌতম ঘোষের তথ্যচিত্র, ধোনিকে ক্লাব ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব

ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ সামনেই। তার উদযাপন নিয়ে ব্যস্ততা তুঙ্গে। ৮০ মিনিটের তথ্যচিত্র বানাচ্ছেন জাতীয় পুরস্কার-বিজয়ী গৌতম ঘোষ। শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলতে প্রস্তাব দেওয়া হবে মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও। সঙ্গে আরো একগুচ্ছ পরিকল্পনা।
শতবর্ষে পা রাখতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। আর, ইস্টবেঙ্গলের এই একশো বছরের যাত্রাপথকেই ৪০ মিনিটের তথ্যচিত্রে ধরে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে তথ্যচিত্রের কাজ। ১৬ ডিসেম্বর ইস্টবেঙ্গলের হোম ডার্বিতে চুপিচুপি শ্যুটিং-ও করেছেন তিনি। কলকাতা লিগের ফিরতি ডার্বিতেও ফের শ্যুটিং করবেন। তথ্যচিত্রের চিত্রনাট্য লিখছেন শরণ দত্ত। রীতিমতো গবেষণা সেরেই তথ্যচিত্র নির্মাণে হাত দিয়েছেন গৌতম ঘোষ। ইস্টবেঙ্গলের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, দেশভাগ, ডার্বির উন্মাদনা—সবটাই ফুটিয়ে তোলা হবে ডিটেলিং-এর মাধ্যমে।
শতবর্ষ নিয়ে আরো বিস্তৃত পরিকল্পনা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তাদের। শতবার্ষিকীর জন্য বিশেষ সোনার মুদ্রা তৈরির কথাও চলছে। শোনা যাচ্ছে, মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও নাকি কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে অনুরোধ জানানো হবে। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে ভাবনা-চিন্তা তো চলছেই। কোন কোন মহাতারকাকে ডাকা হবে, তাও নির্দিষ্ট করা চলছে পুরোদমে।
কলকাতা শুধু নয়, আপামর বাঙালি ফুটবল-প্রেমীদের কাছেই ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান তীব্র আবেগের নাম। ১৯২০ সালে ইস্টবেঙ্গলের জন্মের নেপথ্যেও পরোক্ষ ভূমিকা ছিল মোহনবাগানের। জন্মের পর-পরই অবশ্য ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি নিয়ে এত উন্মাদনা ছিল না। ইস্টবেঙ্গল তখনো বড়ো ক্লাব নয়। তাছাড়া, তখন ‘ডার্বি’ শব্দটাই আসেনি। হাওয়ায় ঘুরত ‘বড়ো ম্যাচ’ কথাটা। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ম্যাচ ‘বড়ো’ হয়ে ওঠার পিছনে আছে দেশভাগের ইতিহাস, ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষদের অস্তিত্ব খুঁজে নেওয়ার গল্প। সেই অর্থে দেখলে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বির জন্মদাতা ভারতবর্ষের স্বাধীনতাই। এরপর, ধীরে ধীরে বড়ো ক্লাব হয়ে ওঠা শুরু ইস্টবেঙ্গলের। গৌরবের অসংখ্য চুড়ো ছোঁয়া হয়েছে, শুধু আই লিগ একবারও ঘরে তুলতে পারেনি তারা।
শতবর্ষের আগে আই লিগ ক্লাব তাঁবুতে ঢুকলে, সেটাই সবচাইতে বড়ো পুরস্কার হবে সমর্থকদের কাছে। সেই অতৃপ্ত স্বপ্নকে সফল করতে পারেন কি না ফুটবলাররা, সেটাই এখন দেখার।