একে মালাই, তাই রোস্ট—জিভে জল আনা ফিউশন

একে মালাই তায় রোস্ট। এটুকু শুনেই জিভে জল থইথই একেবারে। নামের ভিতরেই ফিউশন থুড়ি সম্মিলনের রেশ। মালাই রোস্ট বলে কথা। কিন্তু, এরপরেও স্বাদে বাঙালিয়ানা ভরপুর। বড়ো বড়ো হোটেল-রেস্তোরায় এই রেসিপি বিকোয় দেদার দরে। এবার বাড়িতেই ঝটপট বানিয়ে ফেলুন দেখি!
আজকের রেসিপি ‘ফুলকপির মালাই রোস্ট’। কাজুবাটা, নারকেলের দুধ আর পোস্তবাটা এই পদের তিনটি প্রধান স্তম্ভ। সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে ঝাল ও মিষ্টির সঠিক ব্যালেন্স। রান্নাটা ঠিকঠাক হলে রাজকীয় স্বাদে অবগাহনের জন্য আর তর সইবে না। তাহলে, আর দেরি কেন?
উপকরণ:
ফুলকপি- ১টা। (ছোটো ছোটো টুকরোয় কাটা)
গোটা গরমমশলা- দারুচিনি, এলাচ(৪টে), তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা।
পোস্তবাটা- ২ চামচ
কাজুবাটা- ২ চামচ
টক দই - ৩ চামচ
আদা ও কাঁচালঙ্কা বাটা- ১ চামচ
ধনেগুড়ো- ১ চামচ
শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো- ১ চামচ
জিরে গুঁড়ো- ১ চামচ
মটরশুঁটি- পরিমাণ বুঝে সিদ্ধ করা
নারকেলের দুধ- ১ কাপ
নুন, চিনি- পরিমাণ বুঝে
সাদা তেল ও ঘি ।
আরও পড়ুন
'লাউয়ের কত মধু'র হদিশ জানে যে রেসিপি
প্রণালি :
ফুলকপির টুকরোগুলোতে নুন মাখিয়ে মিনিট দশ রেখে, কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে সাঁতলে নিতে হবে। সাঁতলানোর পর ফুলকপির টুকরোগুলো একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে।
ওই কড়াইতেই প্রয়োজন বুঝে সাদা তেল ও ঘি দিতে হবে। তেল ও ঘি গরম হয়ে এলে গোটা গরম মশলা দিয়ে ৩-৪ সেকেন্ড নেড়ে নিয়ে তাতে একে একে আদা-কাঁচালঙ্কা বাটা, পোস্তবাটা, কাজুবাটা, টকদই ও বাকি গুঁড়ো মশলাগুলো, নুন ও চিনি দিয়ে দিতে হবে। এরপর সমস্ত মিশ্রনটিতে সামান্য জল দিয়ে তেল না ছাড়া অবধি কষাতে হবে।
মিশ্রণ থেকে তেল বেরিয়ে এলে সেদ্ধ করা মটরশুঁটি ও ফুলকপির টুকরোগুলো দিয়ে মিনিট তিনেক নেড়ে তাতে দুধটা ঢেলে দিন। এরপর ঢাকা-চাপা দিয়ে মিনিট ৭-৮ রান্না করতে হবে। ফুলকপি সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে গরমমশলা গুঁড়ো আর কসৌরী মেথি ছড়িয়ে দিয়ে গ্যাস বন্ধ করে দিলেই তৈরি ফুলকপির মালাই রোস্ট।
এবার শুধু হাত চাটার পালা!