No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    রাশিয়া, সাইবেরিয়া থেকে পাখি উড়ে আসে উত্তরবঙ্গে, খোঁজ দিচ্ছেন সৌরভ চক্রবর্তী

    রাশিয়া, সাইবেরিয়া থেকে পাখি উড়ে আসে উত্তরবঙ্গে, খোঁজ দিচ্ছেন সৌরভ চক্রবর্তী

    Story image

    উত্তরবঙ্গের পাহাড়, জঙ্গল তাঁকে সবসময় টানে। হিমালয় পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং বিদেশ থেকে উত্তরবঙ্গে আসা হাজার হাজার পাখির রং সবসময় তাঁর মনকে টানে। পাখিদের ওড়ার ধরন, কোন পাখি অল্পতেই লজ্জা পায়, কোন পাখির লজ্জা কম কিংবা কার কেমন ডাক সমস্ত কিছু নিয়েই চলছে তাঁর গবেষণাধর্মী কাজ। আর পাখিদের ক্যামেরাবন্দি করতেও তাঁর ব্যস্ততার শেষ নেই। তাই বিশ্বভারতীর ফটোগ্রাফিক অফিসার বা মিউজিয়ামের অডিও ভিস্যুয়াল ইনচার্জের দায়িত্ব সামলে একটু সময় পেলেই তিনি উত্তরবঙ্গে ছুটে আসেন।

    সৌরভ চক্রবর্তী। বাড়ি শিলিগুড়ি বাবুপাড়ায়। ছোটো থেকেই তাঁর নেশা ছবি তোলার প্রতি। পড়াশোনা শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলে। তারপর শিলিগুড়ি কলেজ থেকে মাস কম্যুনিকেশনে স্নাতক। পড়াশোনার ফাঁকেই উত্তরবঙ্গের পাহাড়, ডুয়ার্সের জঙ্গল সবসময় তাঁর মনকে টানতো। ক্যামেরা নিয়ে পাখি এবং বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বন্দি করার দিকে তাঁর নেশা বহু দিনের। সঙ্গে চলেছে তাঁর ট্রেকিং। 

    ফটোগ্রাফির সেই নেশা আজ তাঁকে বিশ্ব ফটোগ্রাফি মহলেও স্বীকৃতি দিয়েছে। তাঁর তোলা ছবি কুড়িটি দেশের ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। কোনোটায় পেয়েছেন গোল্ড, কোনোটায় সিলভার। ২৫০টির মতো ছবি তিনি তাতে মেলে ধরেন। 

    ২০১১ সালে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ফটোগ্রাফি থেকে সৌরভ পেয়েছেন ডিস্টিংশন। এভাবেই ২০১২ সালে আন্তজার্তিক ফটোগ্রাফি সংস্থা থেকেও এসেছে তাঁর দুটি স্বীকৃতি। ২০১৭ সালে আবার ফটোগ্রাফি সোসাইটি অফ আমেরিকা থেকে বিশেষ স্বীকৃতি পান, যা ভারত থেকে প্রথম। ২০২১ সালে রয়েল ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অফ লন্ডন থেকে বিশেষ স্বীকৃতি আসে তাঁর প্রতিভার। 

    বিশ্বভারতী থেকেই ফটো জার্নালিজমের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন সৌরভ। তারপর দিল্লিতে স্কুল অফ ফটো টেকনিক থেকে ডিপ্লোমা করতে হয় তাঁকে। সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কিছু দিন তিনি নয়া দিল্লিতে ইউএস দূতাবাসে কাজ করেছেন। 

    তবে ফটোগ্রাফির ওপর যত কাজই তিনি করেছেন, যেখানেই গিয়েছেন, বারবার কিন্তু মন পড়ে থেকেছে উত্তরবঙ্গে। এখন হিমালয়ান বার্ডের ওপর গবেষণাধর্মী কাজ করছেন। সৌরভ বলছেন, “প্রকৃতিতে পাখির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। উত্তরবঙ্গে দু-ধরনের পাখি রয়েছে। একরকম পাখি হিমালয়ের উপরি ভাগ থেকে সমতলের জঙ্গলে নেমে আসে। আর একরকম পাখি রয়েছে যারা রাশিয়া, সাইবেরিয়া-সহ পৃথিবীর অন্য অঞ্চল থেকে আসে উত্তরবঙ্গে। এরা কেউ উত্তরবঙ্গে আসে আবহাওয়ার টানে স্রেফ ডিম পেড়ে বাড়ি তৈরি করতে। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না বা তাদের ওপর কাজ শেষ করা একজন্মে সম্ভব নয়।”

    সৌরভ বলেন, এদের আবার অনেকরকম হরমোনাল পরিবর্তন হয়, হরমোনাল পরিবর্তনের সময় এদের রঙেরও পরিবর্তন হয়। পাহাড় থেকে সমতলে প্রকৃতির বাস্তু তন্ত্রেও এদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @