No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    বকখালিতে বেড়ানোর সাথে পুজোর প্যান্ডেল ভ্রমণ 

    বকখালিতে বেড়ানোর সাথে পুজোর প্যান্ডেল ভ্রমণ 

    Story image

    প্রত্যেক বছর বকখালি পল্লি সমাজ দুর্গোৎসবের আয়োজন করে হ্যাপি ক্লাব। ২০১৮ সালে ওই পুজো ২৫ বছরে পা দিল। 

    বকখালি ও তার আশেপাশে তিনটে বড়ো পুজো আয়োজিত হয় 

    প্রবর্তক আশ্রম দুর্গাপুজো উদযাপন করে থাকে শতাব্দীপ্রাচীন আশ্রম। অনাথ ছেলেদের সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে সেটির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২৭ সালে। নামখানার এক প্রধান আকর্ষণ এই পুজো। 

    জেটি ঘাটে ফ্রেজারগঞ্জ ফিশারমেন’স অ্যাসোসিয়েশন দুর্গোৎসব ধুমধাম করে আয়োজন করেন মৎস্যজীবীরা, যাঁরা ওই অঞ্চলে অর্থনীতির মেরুদণ্ড।

    বকখালির অবস্থান 

    কেন এসব খবর আপনাদের জানাচ্ছি? কারণ, বালুতট ট্যুরিজম প্রপার্টি (পূর্বতন বকখালি ট্যুরিস্ট লজ)-এর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে – ৫০০ মিটার থেকে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে এই পুজোগুলি অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউনের পর সম্প্রতি বালুতট ট্যুরিজম প্রপার্টির দরজা পর্যটকদের জন্য আবার খোলা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি এখানে কঠোরভাবে পালন করা হয়। এবারের পুজোয় সড়কপথেই চলে যেতে পারেন বকখালি। রাস্তার দু’ধারে প্রকৃতির অপরূপ শোভা উপভোগ করতে পারবেন। আমরা গ্যারান্টি দিতে পারি, বকখালি ও তার আশেপাশে তিনটে বড়ো পুজো থাকায় কোনোভাবেই অষ্টমীর অঞ্জলি এবং নবমীর ভোগ আপনি মিস করবেন না। 

    ভ্রমণে দুর্গাপুজো 

    এখানে ট্যুরিজম প্রপার্টি সম্পূর্ণভাবে স্যানিটাইজ করা। অতিথিদের নিরাপদে রাখার সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণমুখী বাঁকা চাঁদের মতো বিস্তীর্ণ বেলাভূমিতে হেঁটে বেড়ানোর মজাই আলাদা। বকখালির সৈকত তার অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের খুব অল্প কিছু সৈকতে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য একই রকম মায়াবী হয়ে ধরা দেয়। এটি তার মধ্যে অন্যতম। প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত বকখালি থেকে ফ্রেজারগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। আগে দু’টি জায়গায় আলাদা জনবসতি গড়ে উঠেছিল। এখন মিশে গিয়ে একই সঙ্গে নগরায়নের দিকে এগিয়েছে।

    অষ্টমীর অঞ্জলি এবং নবমীর ভোগ মিস করবেন না 

    এই তিনটে জমজমাট পুজো ছাড়া আরও কিছু ছোটো ছোটো পুজো হয়। সেগুলোতেও ঘুরতে পারেন। যেতে পারেন আশেপাশের দ্বীপগুলিতে। সেগুলোর বেশিরভাগই সুন্দরবনের অংশ। বঙ্গোপসাগরের বদ্বীপের মধ্যেই বকখালির অবস্থান। অক্টোবর-ডিসেম্বর সেখানে ভ্রমণের সবথেকে উপযোগী সময়। আর সপ্তাহের শেষে তিনদিনের টানা ছুটিতে আপনি ঘুরে আসতে পারবেন হেনরি’জ আইল্যান্ড, বেনফিস হারবার, ফ্রেজারগঞ্জ সৈকত, ক্রোকোডাইল পার্ক। বকখালি বাস স্টপের খুব কাছেই ম্যানগ্রোভ অরণ্য। 

    আরও কিছু ছোটো ছোটো পুজো হয়, সেগুলোতেও ঘুরতে পারেন

    কীভাবে যাবেন
    সড়কপথে কলকাতা থেকে বকখালির দূরত্ব ১২২ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে নামখানা যাবেন। তারপর হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী পেরিয়ে বকখালি পৌঁছবেন। ধর্মতলা থেকে বাসে করেও বকখালি যাওয়া যায়। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিবহন নিগমের বাস ধরুন। সময়সূচির পরিবর্তন হতে পারে। ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে গিয়ে কনফার্ম করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। ট্রেনে যেতে চাইলে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার নামখানা লোকাল ধরতে হবে। সময়সূচির পরিবর্তন ঘটলে রেলের ওয়েবসাইটে দেখে নিন। নামখানা থেকে বাস অথবা টোটো করে বকখালি চলে যান।
    কোথায় থাকবেন
    বকখালিতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব বালুতট ট্যুরিজম প্রপার্টি। পরিবার অথবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সেখানেই থাকতে পারেন।ফোন নম্বর - ৯৭৩২৫১০১৫০। বিস্তারিত জানতে চাইলে যোগাযোগ করুন –
    West Bengal Tourism Development Corporation Ltd
    DG Block, Sector-II, Salt Lake
    Kolkata 700091
    Phone: (033) 2358 5189, Fax: 2359 8292
    Email: visitwestbengal@yahoo.co.in, 
    mdwbtdc@gmail.com, 
    dgmrwbtdc@gmail.com

     

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @