No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    লিঙ্গ-ধর্ম পরিচয়ের ঊর্ধ্বে শিল্পীর সাধনা, সাক্ষাৎকারে বোঝালেন সংগীতশিল্পী অন্বেষা মণ্ডল

    লিঙ্গ-ধর্ম পরিচয়ের ঊর্ধ্বে শিল্পীর সাধনা, সাক্ষাৎকারে বোঝালেন সংগীতশিল্পী অন্বেষা মণ্ডল

    Story image

    কবিংশ শতাব্দী। আধুনিক হয়েছে বিশ্ব, আধুনিক হয়েছে সমাজ। তবুও সমাজে ট্যাবুর ‘অন্ত নাই গো নাই’। আর তা যদি হয় সমাজের রূপান্তরকামী মানুষদের নিয়ে, তাহলে তো আর কথাই নেই। সমাজের যে অংশের জন্য এখনও বৃহৎ অর্থে কোনও সামাজিক এবং আর্থিক সুরক্ষা নেই, যাদের জন্য বরাদ্দ সমাজের জ্যাঠাদের বাঁকা চোখ, তাচ্ছিল্য আর টিটকারি; যাতে বহুক্ষেত্রেই স্বাচ্ছন্দ্যে অংশ নিতে বাঁধে না পাড়া-প্রতিবেশী, এমনকি নিজের আত্মীয়দেরও। সেখানে তাঁদের একজনের লড়াই, জেদ, সাফল্য, আলাদা উল্লেখের দাবি রাখে বৈকি! তিনি অন্বেষা মণ্ডল (Anwesha Mondal)। সদ্য সমাপ্ত একটি বাংলা গানের রিয়েলিটি শোতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন তিনি। সুপার সিঙ্গার-এর প্রতিযোগী অন্বেষা মণ্ডল সংগীতচর্চার সঙ্গে যুক্ত বহুদিন থেকেই। কিন্তু এই সাফল্য তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে। ফোনালাপ করেছিলাম তাঁর সঙ্গে। বিষয় তাঁর জীবন, তাঁর গান, লড়াই। অন্বেষার সমস্ত কথার মধ্যে ঝরে পড়ছিল নম্রতা, জেদ, আত্মবিশ্বাস, আর নিজের সাধনার প্রতি শ্রদ্ধা। কথা বলতে বলতে মনে হল, ‘ভালো-মন্দ যাহাই আসুক, সত্যরে লও সহজে’ আর ‘উত্তিষ্ঠতঃ, জাগ্রতঃ, প্রাপ‍্যবরাণ নিবোধতঃ’। একইসঙ্গে অনাবিল সহজতায় খেলা করে সুপার সিঙ্গার অন্বেষা মণ্ডলের (Super Singer Anwesha Mondal) বোধের ভিতরে।

    আপনি তো এখন বাংলার ঘরে-ঘরে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু যাত্রাপথ তো সহজ ছিল না নিশ্চয়ই! ছোটোবেলা থেকে কীভাবে শুরু হয়েছিল পথচলা?

    অন্বেষা: দেখুন, সে তো অনেককেই লড়াই করেই এগোতে হয়। একেকজনের এক এক রকমের লড়াই। আমার জন্ম আদ্রাতে। বাবার চাকরিসূত্রে পাঁচ বছর বয়সে পুরুলিয়া চলে যাই। সেখানেই প্রথমে শিশুশিক্ষাকেন্দ্র বলে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হই। তারপর পুরুলিয়া জেলা স্কুলে পড়েছি ক্লাস ১২ অবধি। সেই সময়ে ফিচার ফিল্মের জন‍্য ভিডিও এডিটিং শিখতাম। তারপর মিডিয়া স্টাডিজ নিয়ে কল‍্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন করি। এসব তো পড়াশোনার কথা। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ছোটোবেলা থেকেই হাওয়াইয়ান গিটার বাজাতাম। সেই থেকেই গানের চর্চা শুরু। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, মঞ্চে গাইতাম। 

    গান নিয়ে থাকবো। মানুষকে নতুন নতুন গান, নতুন নতুন আঙ্গিকে শোনাবার চেষ্টা করবো। বেশিরভাগ মানুষ বাংলার লোকসংগীত বলতে গোটা পঞ্চাশ-একশো গানকেই চেনেন। কিন্তু বাংলা লোকসংগীতের ভাণ্ডার বিপুল। তার মধ‍্যে এমন অনেক ধরনের গান আছে, এমন অনেক আঙ্গিক আছে, যা বেশিরভাগ মানুষ কখনও শোনেননি, এমনকি হয়তো নামই জানেন না। আমি মানুষকে সেই ধরনের গানের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই। যেমন, লালন সাঁইয়েরই ২০০০-এর মতো গান আছে।

    আপনি তো অনেক বিষয়েই দক্ষ। তাহলে বাকি সব ছেড়ে গানকেই বেছে নিলেন কেন?

    অন্বেষা: আমি গাওয়ার সময় গানের কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করি। প্রথম থেকেই তাই করতাম‍। বাউল গান, ফকিরি গান, বাংলার লোকগীতি যদি মন দিয়ে শোনা যায়, কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করা যায়, তাহলে আত্মদর্শনে সুবিধা হয়। এইসব গানের মাধ‍্যমে গভীর আত্মোপলব্ধি সম্ভব। তা বুঝতে পারার পর থেকেই গানগুলো আরও কাছে চলে এসেছিল। দীর্ঘ ৭-৮ বছর বাউল-ফকির সঙ্গ করেছি, আখড়ায় ঘুরেছি, তাঁদের জীবনদর্শনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। তারপর আমার গুরু রূপক ভট্টাচার্যের কাছে এক-দেড় বছর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিখেছিলাম। আত্মদর্শনের জন‍্যেই গান গাই।

     

    গান ছেড়ে অন‍্য কিছু করার কথা মনে হয় না কখনও? বা গানের সঙ্গেই অন‍্যকিছু করার কথা?

    অন্বেষা: করেছি তো। কিন্তু গান ছাড়া কোনোকিছুই শেষপর্যন্ত হয়ে ওঠে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে মাস্টার্স করতে ঢুকেছিলাম। তারপর IGNOU থেকে ডিসট‍্যান্স কোর্সে ফিলোজফি পরতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু শেষ করতে পারিনি। ফিলোজফি পড়তে গিয়ে গানের কথাগুলোই ঘুরতো মাথার ভিতরে। সেই সব কথার তত্ত্ব নিয়েই মগ্ন থাকতাম। তাই এখন মনে হয়, গান ছাড়া আর কিছুই ভালো পারব না।

    আপনি নিজের রূপান্তরকামী সত্ত্বাটা লুকোন না কখনও। এর জন‍্য কী ধরনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে?

    অন্বেষা: আমার আশেপাশের মানুষদের মধ‍্যে দুই ধরনের মানুষই ছিল বা আছে। ছোটো থেকেই যাদের সঙ্গে মিশতাম, তাদের অনেকের থেকেই খারাপ কথা, টিটকারি শুনতে হয়েছে। আবার অনেকেই আছেন, যারা আগলে আগলে রাখতেন, এখনও রাখেন। এই দুটো ভাগ তো চিরকালই ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। নেগেটিভ না থাকলে আর পজিটিভের মাহাত্ম্য কোথায়? আমার জীবনে এমন দু-একবছর গেছে, যেখানে কিছু সমস‍্যার কারণে আমাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। বিহারে চলে যাই, সেখানে কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। তারপর বুঝতে পারি, আমার কাজ কী? কেন এসেছি এই জগতে? ধীরে ধীরে জীবনের মূলস্রোতে ফিরে আসি।

    আত্মোপলব্ধি, আত্মবিশ্বাস এগুলো তো খুবই জরুরি জিনিস। লড়াই করার সাহস জোগায়। কিন্তু সমাজ দূরে সরিয়ে দিলে লড়াইটা অনেক কঠিন হয়ে যায় না কি?

    অন্বেষা: আমি তো সমাজের মানসিকতা বদলাতে পারব না। শুধুমাত্র নিজের মানসিকতাই বদলাতে পারি। সমাজ ঠিক করবে সে কাকে কীভাবে গ্রহণ করবে। তার লিঙ্গপরিচয়কে প্রাধান্য দেবে, না তার কর্মদক্ষতাকে। আমি নিজের কাজটুকু মনযোগ দিয়ে করে যেতে চাই। এই ব‍্যাপারটা তো সক্রেটিস, কোপারনিকাসেরও ছিল। এগুলো তো মানুষের সাধারণ মানসিকতা। ভাঙতে সময় লাগবে। কিন্তু অনেক মানুষ তো এমনও ছিলেন বা আছেন যাঁরা ভালো রাখেন, ভালো রাখতে চান, আগলে রাখতে চান, সম্মান-ভালোবাসা দেন। আমি তাঁদের জীবন থেকে অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ হই। জীবনে ভালো থাকার জন‍্য কোন রাস্তা বেছে নেব তা তো আমারই সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয়, দিনের শেষে মানুষ একজনের কাজকেই মনে রাখে।

    আপনি নিজের লিঙ্গপরিচয়ের সত্ত্বাটি কবে থেকে উপলব্ধি করলেন?

    অন্বেষা: ছোটোবেলা থেকেই আমার সঙ্গে কিছু কিছু ঘটনা ঘটতো। আমরা যেখানে থাকতাম, সেখানে তো মানসিকতা এখনও তেমন আধুনিক হয়নি। তবে ঝাঁ-চকচকে বড়ো শহরেই বা কতটা হয়েছে? আবার দু’জায়গাতেই অনেক উদার মনের মানুষ আগেও ছিলেন, এখনও আছেন। যাইহোক, বিভিন্ন ঘটনার মধ‍্যে দিয়ে আমি নিজের ভালোলাগাটা বুঝতে পারি। 

    খ‍্যাতি পাওয়ার আগে আপনার গানকে মানুষ কীভাবে গ্রহণ করতো? একজন রূপান্তরকামী মানুষ মঞ্চে উঠে গাইছেন, দুর্ভাগ‍্য হলেও এটা তো এখনও সমাজের নিয়মিত দৃশ‍্য নয়।

    অন্বেষা: গান ছিল, আর আমি ছিলাম, আর মানুষ পাশে পাশে ছিল। ছোটোবেলা থেকেই আমি যেখানে যেখানে গান করতাম, সবাই আমাকে আগলে আগলে রাখতো। গান করতাম বলে অনেক মানুষের ভালোবাসা, আশীর্বাদ পেয়েছি। সারা বাংলা আমাকে চেনার আগে থেকেই। আমার বাবা-মাও সংগীতপ্রেমী ছিলেন। আমার দিদিও গান শিখতেন। তাই বোধহয় গানের প্রতি ভালোবাসা জন্মে গিয়েছিল ছোটো থেকেই।

    আপনি ছোটো শহরে বেড়ে উঠেছেন। তারপর কলকাতায় এসেছেন। এখন থাকেনও কলকাতায়। গ্রাম বা ছোটো শহর আর বড়ো শহরে আপনার লিঙ্গপরিচয় নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়ায় কোনও পার্থক্য করতে পারেন?

    অন্বেষা: কোনও পার্থক্য নেই। পার্থক্য মানুষের শিক্ষার এবং মানসিকতার। উদার এবং উচ্চমনস্ক মানুষ দু’জায়গাতেই আছেন, যাঁরা মনে করেন, কর্মই আসল। আবার দু’জায়গাতেই এমন অনেক নিচু মনের, প্রাচীন মানসিকতার মানুষ আছেন, যাঁদের কাছে মানুষের লিঙ্গপরিচয়, জাত, ধর্ম এসবই আসল। এইসব নিয়ে মানুষকে হেয় করে মজা পান এঁরা। দু’জায়গাতেই ভালো-খারাপ একসঙ্গে রয়েছে।

    রিয়েলিটি শো-এর পরে জীবন কতটা বদলেছে? সুপার সিঙ্গারে তৃতীয় স্থানাধিকারী অন্বেষা মণ্ডলের কাছে এই সদ‍্যপ্রাপ্ত খ‍্যাতির জীবন কীভাবে ধরা দিচ্ছে?

    অন্বেষা: আমি ঠিক ঐভাবে ভাবতে পারি না। ভাবতে চাইছিও না। রিয়েলিটি শো-টা আমার কাছে খুব ভালো একটা অভিজ্ঞতা। এর ফলে অনেক মানুষ আমাকে চিনেছেন, হয়তো আমার গান শুনছেনও। এখানে আমি গানের অনেক টেকনিক্যাল ব‍্যাপার সম্বন্ধে জেনেছি। কিন্তু রিয়েলিটি শো তো আমি করেছি ৬ মাস। তার আগেও তো গানবাজনা করতাম। তখনও অনেক মানুষ ছিলেন, যাঁরা আমাকে জড়িয়ে ছিলেন, ঘিরে ছিলেন। এখনও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। আর বাকি যাঁরা আমাকে এখন চিনছেন, অনেকে ভালোবাসছেন। কিন্তু এটা নিয়ে বেশি ভাবতে চাই না। অনেক অসম্মান পেয়েছি, এখন সম্মান পাচ্ছি। পরে কোনও কারণে আবার অপমানিত হতে পারি। সুবিধাবাদী অনেক মানুষও আছে, যারা ভালো সময়ে সুযোগ নিতে চায়। এসবে ভয় পাচ্ছি না। কিছু মানুষ ভালো ভাববেন, কিছু মানুষ খারাপ ভাববেন। সেসব নিয়ে বিচলিত না হয়ে নিজের কাজ নিয়েই মনযোগী হতে চাই। তবে যাঁরা আমাকে মন থেকে ভালোবাসছেন বা ভালোবাসেন, তাঁদের আঘাত দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয় কিন্তু। আমি মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে, গানবাজনা করে সময় কাটাতেই পছন্দ করি।

    দেখুন, সে তো অনেককেই লড়াই করেই এগোতে হয়। একেকজনের এক এক রকমের লড়াই। আমার জন্ম আদ্রাতে। বাবার চাকরিসূত্রে পাঁচ বছর বয়সে পুরুলিয়া চলে যাই। সেখানেই প্রথমে শিশুশিক্ষাকেন্দ্র বলে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হই। তারপর পুরুলিয়া জেলা স্কুলে পড়েছি ক্লাস ১২ অবধি। সেই সময়ে ফিচার ফিল্মের জন‍্য ভিডিও এডিটিং শিখতাম। তারপর মিডিয়া স্টাডিজ নিয়ে কল‍্যাণী ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র‍্যাজুয়েশন করি।

    গানকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যেতে চান?

    অন্বেষা: গান নিয়ে থাকবো। মানুষকে নতুন নতুন গান, নতুন নতুন আঙ্গিকে শোনাবার চেষ্টা করবো। বেশিরভাগ মানুষ বাংলার লোকসংগীত বলতে গোটা পঞ্চাশ-একশো গানকেই চেনেন। কিন্তু বাংলা লোকসংগীতের ভাণ্ডার বিপুল। তার মধ‍্যে এমন অনেক ধরনের গান আছে, এমন অনেক আঙ্গিক আছে, যা বেশিরভাগ মানুষ কখনও শোনেননি, এমনকি হয়তো নামই জানেন না। আমি মানুষকে সেই ধরনের গানের সঙ্গে পরিচিত করাতে চাই। যেমন, লালন সাঁইয়েরই ২০০০-এর মতো গান আছে। মনমোহন দত্ত নামে একজন গীতিকার ছিলেন। জালালগীতি আছে। উত্তরবঙ্গের লোকসংগীতের অনেকরকমের প্রকারভেদ আছে, চার-পাঁচ রকমের ঝুমুরগান হয়। এগুলো নিয়ে কাজ করবো। জানতে চাই জীবনে। সেটা বন্ধ করতে চাই না। না জেনে মরতে চাই না। 

    আপনার ভালোবাসার জায়গা কি শুধুই লোকসংগীত?

    অন্বেষা: আমি নিজের শিকড়ের সন্ধান করতেই বেশি উৎসাহী। 

    সিনেমাতে প্লে-ব‍্যাক করার সুযোগ পেলে করবেন?

    অন্বেষা: যদি তাঁরা আমাকে সুযোগ দেন, যোগ‍্য মনে করেন তাহলে নিশ্চয়ই করবো। তবে যে গান তাঁরা আমাকে গাইতে দেবেন, আমার নিজেকেও সেই গান গাওয়ার যোগ‍্য হতে হবে। তবে আমি গলা খুলেই গাইতে পারি, চেপেচুপে গাইতে পারি না। আধুনিক গান গাইতে গেলে সেগুলো বাউল গানের মতো শোনাবে (হাসি)। এটা একটা সমস‍্যা আধুনিক গান গাওয়ার ক্ষেত্রে।

    আপনি নারীসত্ত্বার প্রকাশ ঘটাতে চান। কিন্তু আপনার গলার স্বর পুরুষালি। আপনার কি মনে হয় এটা আপনার ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা? নায়িকাদের গলায় প্লেব‍্যাকে আপনাকে কতটা মানাবে? 

    অন্বেষা: এসব নিয়ে আমি ভাবিই না। আমার কাজ গান করা। যাঁদের আমার গান পছন্দ হবে, তাঁরা আমার গান শুনবেন, বাকিরা শুনবেন না। আমি তো কাউকে ধরেবেঁধে আমার গান শোনাতে যাচ্ছি না। ঐ যে বললাম, যদি কারও আমাকে যোগ‍্য মনে হয়, তিনি আমাকে দিয়ে গান গাওয়াবেন। আমার কাছে গান আছে, আর ভালোবাসা আছে, যা আমি মানুষের মধ‍্যে বিলোতে পারি।

    এরমধ‍্যে কি কোনও অনুষ্ঠান বা প্রজেক্ট রয়েছে?

    অন্বেষা: কিছু মিউজক ভিডিওর কাজ চলছে। সেগুলো আমাদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ‍্যানেল থেকে আপলোড করা হবে। শ্রোতারা খুব শিগগিরই আপডেট পাবেন।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @