অপু, যাই বলতে নেই, বলো আসি– দুগ্গা দুগ্গা...
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৬তম সংস্করণে নতুনভাবে রইলেন কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সুদীর্ঘ জীবনের নানান মণিমুক্তোকে একজায়গায় করল উৎসব কর্তৃপক্ষ। সাতদিনের সিনে-কার্নিভালে এই কিংবদন্তির সৃষ্টি নিয়ে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র সৌমিত্রর সিনেমা বা থিয়েটার নয়, তাঁর লেখা, পেইন্টিং, নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে ব্যবহৃত পোশাক সবকিছুকেই জায়গা দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বর মাসেই প্রয়াত হয়েছেন এই কিংবদন্তি। বিপুল দর্শকমহল তাঁর অকস্মাৎ প্রয়াণে প্রস্তুত ছিলেন না একেবারেই। আমরা দেখেছি তাঁর শেষকৃত্যে জনকল্লোল। তাঁর শহর কলকাতা। এই কলকাতাতেই কাজ করে গেছেন একের পর এক কালজয়ী ছবিতে। হয়ে উঠেছেন বাঙালির অপু থেকে ফেলুদা। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করছে এই কিংবদন্তিকে। এমন বিশেষ প্রদর্শনীর পাশাপাশি সৌমিত্র অভিনীত ৯টি ছবিও দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন সিনেমাহলে৷
দেখানো হচ্ছে- ‘অপুর সংসার’ (সত্যজিৎ রায়), ‘দেখা’ (গৌতম ঘোষ), ‘গণদেবতা’ (তরুণ মজুমদার), ‘হুইলচেয়ার’ (তপন সিন্হা), ‘আকাশ কুসুম’ (মৃণাল সেন), ‘ময়ূরাক্ষী’ (অতনু ঘোষ), ‘কোনি’ (সরোজ দে), ‘পদক্ষেপ’ (সুমন ঘোষ) এবং ‘বহমান’ (অনুমিতা দাশগুপ্ত)। থাকছে আলোচনা সভা। এদিন প্রদর্শনী উদ্বোধন করতে হাজির ছিলেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলোমী চট্টোপাধ্যায়। বাবার পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গদর্শনের ক্যামেরায় ছবিও তোলেন।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দর্শকদের মনে থেকে যাবেন আজীবন। যেভাবে প্রতিটা তারা থাকে দিনের আলোর গভীরে। আরও একবার, স্যালুট স্যার!