KIFF : ৪২টি দেশের প্রায় ১৫০টি ছবি দেখানো হবে ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে

অবশেষে আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৭তম সংস্করণ। ওইদিন নজরুল মঞ্চে চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ উদ্বোধন করবেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উৎসব চলবে আগামী ১ মে পর্যন্ত।
এবছর চলচ্চিত্র উৎসবের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ছিল সিনেপ্রেমীরা। এমনকি গত ৪ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার পরেও চলচ্চিত্র উৎসব স্থগিত হয়ে যায় করোনা পরিস্থিতির জন্য। সাম্প্রতিক একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন KIFF চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakravarty), পরিচালক অরিন্দম শীল, পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের সেক্রেটারি শান্তনু বসু এবং অন্যান্যরা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মহাসমারোহে শহরে শুরু হচ্ছে বিশ্বমানের এই চলচ্চিত্র উৎসব।
৪২টি দেশের প্রায় ১৫০টি ছবির ২০০টি প্রদর্শন হবে এ বছর। রয়্যাল বেঙ্গল গোল্ডেন টাইগার ট্রফি, হীরালাল সেন মেমোরিয়াল ট্রফি, নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড-সহ আরও নানান পুরস্কার থাকছে অন্যান্যবারের মতোই। এছাড়াও থাকছে ফিনল্যান্ডের মোট ৬টি ছবি।
মিকলোস জ্যাঁসো পরিচালিত 'ইলেকট্রা, মাই লাভ' (১৯৭৪)
পরিচালক অরিন্দম শীল বলেন, “এমন মাপের চলচ্চিত্র উৎসব সারা ভারতে বিরল। এই উৎসবের পুরস্কার মূল্যও সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।” উল্লেখ্য, এবছর সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচার দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার।
এবছর চলচ্চিত্র উৎসবের থিম কান্ট্রি ফিনল্যান্ড (Fineland)৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর (75th Independence Day of India) উপলক্ষে বিশেষ বিভাগে প্রদর্শিত হবে নেতাজির উপর নির্মিত দুটি ছবি — পীযূষ বোসের ‘সুভাষচন্দ্র’ এবং শ্যাম বেনেগালের ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’। ‘মধুমতি’, ‘সাগিনা মাহাতো’ এবং ‘মুঘল-ই-আজম’ প্রদর্শিত হবে দিলীপ কুমারের (Dilip Kumar) প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে (Buddhadeb Dasgupta) ট্রিবিউট জানিয়ে বড়োপর্দায় প্রদর্শিত হবে ‘উত্তরা’, ‘গৃহযুদ্ধ’ এবং ‘আনোয়ার কা আজব কিসসা’। জঁ লুক গোদারের (Jean-Luc Godard) ‘পিয়ের লে ফু’, পিটার ব্রুকের (Peter Brook) ‘দ্য মহাভারত’ হতে চলেছে অন্যতম বড়ো আকর্ষণ।
চিদানন্দ দাশগুপ্ত নির্মিত 'আমোদিনী' (১৯৯৫)
এবছর চলচ্চিত্র উৎসবের থিম কান্ট্রি ফিনল্যান্ড৷ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে বিশেষ বিভাগে প্রদর্শিত হবে নেতাজির উপর নির্মিত দুটি ছবি — পীযূষ বোসের ‘সুভাষচন্দ্র’ এবং শ্যাম বেনেগালের ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো’। ‘মধুমতি’, ‘সাগিনা মাহাতো’ এবং ‘মুঘল-ই-আজম’ প্রদর্শিত হবে দিলীপ কুমারের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ। বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ট্রিবিউট জানিয়ে বড়োপর্দায় প্রদর্শিত হবে ‘উত্তরা’, ‘গৃহযুদ্ধ’ এবং ‘আনোয়ার কা আজব কিসসা’।
বিশেষ বিভাগে থাকছে অপর্ণা সেনের (Aparna Sen) ‘দ্য রেপিস্ট’, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee) এবং নাসিরুদ্দিন শাহ্ অভিনীত শৈবাল মিত্রের ‘আ হোলি কনস্পিরেসি’, গৌতম ঘোষের ‘সময়ের স্মৃতিমালা’। এশিয়ান NETPAC বিভাগে থাকছে ব্রাত্য বসু অভিনীত জীবনানন্দ দাশের বায়োপিক ‘ঝরাপালক’। এবছর অনেক বাঙালি স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা, তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ছবি জায়গা করে নিয়েছে। অন্যান্য দেশের সিনেমা দেখা যাবে প্রতিবারের মতোই। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, বাইজেনটাইন, গ্রিস, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইজরায়েল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ইত্যাদি দেশের নানান নতুন ও পুরোনো ছবি। স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রদর্শিত হবে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ধর্মযুদ্ধ’।
এবছর অনেক বাঙালি স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা, তথ্যচিত্র নির্মাতা এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ছবি জায়গা করে নিয়েছে। অন্যান্য দেশের সিনেমা দেখা যাবে প্রতিবারের মতোই। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, বাইজেনটাইন, গ্রিস, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ইজরায়েল, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ইত্যাদি দেশের নানান নতুন ও পুরোনো ছবি।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের 'উত্তরা' (২০০০)
এবছর অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সত্যজিৎ রায় শতবর্ষ (100 Years of Satyajit Ray)। ২৫ তারিখ নজরুল মঞ্চে বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ দেখানো হবে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে। এছাড়াও সত্যজিৎ পরিচালিত নানান ছবি এবং তাঁকে নিয়ে নির্মিত নানান তথ্যচিত্র দেখানো হতে চলেছে। ট্রিবিউট জানানো হচ্ছে চিদানন্দ দাশগুপ্তকেও (Chidananda Dasgupta)। অন্যান্য সভাগৃহগুলিতে থাকবে নানান সিনে-বিষয়ের উপর সেমিনার ও ওয়ার্কশপ।
সত্যজিৎ রায়ের 'অরণ্যের দিনরাত্রি' (১৯৭০)
একশো শতাংশ দর্শক নিয়েই অনুষ্ঠিত হবে এবারের চলচ্চিত্র উৎসব। মোট ১০টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা প্রদর্শিত হবে। এবছর ৪২টি দেশের মোট ১৬০টি ছবির ২০০টি প্রদর্শন হতে চলেছে। চলচ্চিত্র জগতের তিন কিংবদন্তি - সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত এবং মিকলোস জ্যাঁসো (Hungarian Director Miklos Jancso)-র জন্মশতবর্ষ ছিল গত বছর। তাই তাঁদের তৈরি ছবি-তথ্যচিত্র দেখানো হবে এবার। প্রদর্শিত হবে তাঁদের ওপর তৈরি ছবি এবং তথ্যচিত্র।