No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    জার্মানির চিঠি ৫ : “প্যাশান প্লে” আর রবি ঠাকুরের চিত্রনাট্য      

    জার্মানির চিঠি ৫ : “প্যাশান প্লে” আর রবি ঠাকুরের চিত্রনাট্য      

    Story image

    ওবারঅ্যামারগাউ নামক দক্ষিণ জার্মানির একটি গ্রামকে নিয়ে লিখতে বসে একটু দিকভ্রষ্ট হয়ে অক্টোবর ফেস্ট যাচ্ছি। কারণ, রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন অক্টোবর ফেস্ট মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। ৬০ লক্ষাধিক মানুষ আসে প্রতিবছর। মিউনিখের থেরেজিয়েনওয়েইসে নামক যে ময়দানে হয়, সেটিতে পিলপিল করে মানুষ। সেই ২১০ বছরের প্রাচীন অক্টোবরফেস্ট এবছর বাতিল হয়েছে । অনেকটা কলকাতায় যদি এবছর দুর্গাপুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেরকম । অষ্টমীর দিন ফাঁকা দেশপ্রিয়, ম্যাডক্স কিংবা কলেজ স্কোয়ার ভেবে নিন, এরকমই শুনশান থাকবে এই থেরেজিয়েনওয়েইসে। আর সেই সূত্র ধরেই গুরুদেবকে আবিষ্কার করলাম একদম নতুন আঙ্গিকে। রবিঠাকুরের একমাত্র ইংরেজি চিত্রনাট্যের প্রেরণার উৎস জার্মানির একটি গ্রাম – ওবারঅ্যামারগাউ। দক্ষিণ বাভারিয়ায়, মিউনিখ থেকে স্রেফ নব্বই কিলোমিটার দূরে। 

    অক্টোবর ফেস্টের শহরে ১৪ বছর কাটিয়েও হাতে গুণে বোধহয় বার পাঁচেক গিয়েছি। তাই সেই মেলা পিছলো কি বাতিল হল সে প্রসঙ্গে ভাবিত না হয়ে আমার কৌতূহলের শুরু কবিগুরু কি কোনদিন অক্টোবর ফেস্টে পদার্পণ করেছিলেন? রবিঠাকুর আর বিয়ারফেস্ট ব্যাপারটা বেশ পরস্পরবিরোধী মনে হলেও, এটির উৎস কিন্তু একটি রাজার বিবাহ অনুষ্ঠান হিসেবে - দুই শতাব্দীর বিবর্তনে যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম আনন্দমেলায় - ফোক্সফেস্ট। তাছাড়া রবিঠাকুর নিয়ে এটি ভীষণ নির্বিঘ্ন একটি আলোচনার বিষয়, কারণ এখানে গানের গলা চাই না, আবৃত্তির উচ্চারণ চাই না আর এই ভয় পেতে হবে না যে, এই বোধহয় শান্তিনিকেতনের নামধারী কোন কুশীলব খ্যাঁক করে ভুল ধরে সমালোচনা করে দিল। গত চিঠিতে ফেলুদার কপিরাইট তুলে দেওয়ার আবেদনে আমার এক বিশেষ বন্ধু তো বলেই দিল, ফেলুদার নাকি ওপেনসোর্স আর গণতান্ত্রিকভাবে প্রয়োগ চলবে না, ‘ফেলুদা ফেরত'-এর পরে সৃজিত মুখার্জিই নাকি হবেন ফেলুদার ধারক এবং বাহক। হায়রে বাঙালি, তাহলে গুমনামী সিকুয়াল দ্যাখার জন্য তৈরি হোন সবাই, আসু কোনো পুজোয় গল্পের গরু গাছে উঠে ফেলুদাকে নিয়ে ধাওয়া করবে ফয়জাবাদ, সেখানে বেনারসের মতো একটি ক্লাইম্যাক্সে ফেলুদা গুমনামীবাবার আসল রহস্য উন্মোচন করবে। আর পাতানো ফ্যানবয়রা তিন মাস আগে থেকে সেটা টুইটারে গোগ্রাসে ভক্ষণ করে ধন্য ধন্য করবে। সেই কদিন বাংলা সিনেমায় দর্শক পাওয়া যায় না কেন, ডিজিটাল রাইটস বেচতেও কাটখড় পোড়াতে হয় কেন, সেটি নিয়ে গলা ফাটানো বন্ধ রাখবে।  শুধু "কনান্ড্রাম"-এর মতো আষাঢ়ে গল্পের এই রিসার্চটি কে করবেন সেটি জানলে বিশেষ আমোদিত হব।

    ফিরে আসি রবীন্দ্রনাথে। গবেষণাটা যতটা সহজ ভেবেছিলাম, ততটা ঠিক নয়। রবীন্দ্রনাথের ‘ইউরোপ প্রবাসীর পত্র‘ আর ‘ইউরোপ যাত্রীর ডায়ারি‘ ঘেঁটে কিছুই বেরোল না। কারণ সে দুটি তাঁর প্রথম দুই বিদেশযাত্রা, সম্পূর্ণভাবে ইংল্যান্ডকেন্দ্রিক। দুইবারই প্যারিস হয়ে লন্ডন পৌঁছলেও মেনল্যান্ড ইউরোপে আসেননি। বিখ্যাত সেই দুটি গ্রন্থে জার্মানির আশেপাশেও নেই, অক্টোবর ফেস্ট তো দুরস্ত । অগত্যা মার্টিন কেম্পশেনের শরণাপন্ন হতে হল। এঁর নাম সাধারণ বাঙালি কতটা জানে আমার জানা নেই, কিন্তু রামকৃষ্ণ রবীন্দ্রনাথ নিবেদিত মন এই জার্মান সাহিত্যিক জার্মানি আর রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যা আলোকপাত করেছেন, সেটি জন্মগত অধিকার নিয়ে অধিকাংশ বাঙালি করেনি। ১৯৮০ থেকে শান্তিকেতনকেও বাসস্থান বানিয়ে ফেলেছেন। তাঁর বিস্তারিত কর্মকাণ্ডের ভাণ্ডার আমার আয়ত্বের বাইরে। হাতের কাছে কিছু প্রবন্ধ; সেখানেও এই উত্তর অধরা । অবশ্য রবীন্দ্রনাথ যে নোবেল পাওয়ার অনেক পরেই প্রথম জার্মানি আসেন সেটি মার্টিন কেম্পশেনের এক তথ্য থেকেই জানতে পারি। তিনবার – ১৯২১, ১৯২৬ এবং ১৯৩০ সালে, শেষবার। নোবেল পরবর্তীসময়ে তাঁকে বারবার বিদেশযাত্রার আমন্ত্রণে সাড়া দিতে হয়েছে, আর প্রায় শেষবয়েসে ষাটোর্দ্ধ কবি জার্মানি আসতে শুরু করেন দুয়ের দশকে। দুয়ের দশক মানে, জার্মানি তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর হিটলার উত্থানের মধ্যবর্তী সময়ে ।      

    রবীন্দ্রনাথের ভ্রমণ বিষয়ক গবেষক ডঃ সন্তোষ কুমার মণ্ডল এরপর কাজটা আরও সহজ করে দিলেন। বেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তিনি কবিগুরুর বারোটি বিদেশযাত্রার চালচিত্র তৈরি করেছেন, কবে কোন দেশে, কোন শহরে, কার কার সঙ্গে দ্যাখা হয়েছে তার খতিয়ান আছে। সেই সূত্র ধরে এগোতেই, অনেকটা পথ মসৃণ হল।  তার আগে, অক্টোবর ফেস্টের একটি বিশেষত্ব বলে রাখা জরুরি। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে দু-সপ্তাহ পর অক্টোবরের প্রথম রবিবার সমাপ্ত হয় । অর্থাৎ ১৯২১ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর, ১৯২৬ সালে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর এবং ১৯৩০ সালে ২০সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর — এর কোনো একদিন কবিগুরুর অবস্থানের ওপরেই নির্ভর করছে আমার অনুসন্ধানের প্রথম ধাপ। এবং সেই অবস্থান মিউনিখে কিনা সেখানেই লুক্কায়িত তাঁর অক্টোবর ফেস্টে পদার্পণের অনাবিষ্কৃত ঘটনা।  
    ১৯২১ প্রথমেই নাকচ হয়ে গেল । প্রথমবার জার্মানি সফরে তিনি মিউনিখ আসেন ঠিকই, তবে মে-জুন নাগাদ। আর জুলাই মাসেই দেশে ফেরার জাহাজে ওঠেন । অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর – ২ অক্টোবর ১৯২১, তিনি ইউরোপ মহাদেশেই ছিলেন না।

    এরপর ১৯২৬, অষ্টমবারের বিদেশ সফর বেশ গোলমেলে। হয়তো বা রবীন্দ্রনাথের ব্যস্ততম বিদেশ সফর। মে থেকে ডিসেম্বর সেই সাত মাসকে ঝটিকাসফর বলা কম হয়ে যাবে। মুসোলিনির আমন্ত্রণে প্রথমে ইটালি এসে মধ্য, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ এবং পূর্ব ইউরোপের পনেরটি দেশ ভ্রমন করেছেন। সেই সূচি অনুযায়ী ইটালি থেকে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক হয়ে সেপ্টেম্বরে বার্লিন এসে প্রায় পুরো মাসটাই জার্মানিতে থাকেন। এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা এটি যে ৯ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বরের সময়গুলি তিনি ছিলেন দক্ষিণ জার্মানিতে - মিউনিখ, নুরেমবার্গ এবং স্টুটগার্টে। অর্থাৎ, সেবছর অক্টোবর ফেস্টের প্রথম সপ্তাহটিতে কবিগুরু এই অঞ্চলেই । অথচ তারিখ অনুযায়ী কোনো তথ্য না থাকায় ফলাফল ঝুলে থাকল।     

    তারপর, ১৯৩০। এটিতে কিঞ্চিৎ ধোঁয়াশা। নয়মাসের সেই ইউরোপ-আমেরিকা ট্রিপে, জার্মানি আসেন দুবার, জুলাই মাসে এবং সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখে বার্লিনে। তারপর ৩ অক্টোবর জার্মানির উত্তরে ব্রেমারহাবভেন বন্দর থেকে ব্রেমেন জাহাজে করে পাড়ি দেন নিউইয়র্ক। অর্থাৎ, জাহাজে ওঠার আগে সেপ্টেম্বরে বার্লিন থেকে এতদূর দক্ষিণে এসেছিলেন কিনা এটির সত্যতা অনিশ্চিত। তখন অক্টোবর ফেস্টের সময়, তাই সম্পূর্ণ নস্যাৎ করাও যাচ্ছে না ।  

    ঘরে বসে খুচরো এই গবেষণায় প্রশ্নের সঠিক উত্তর এল না। মার্টিন কেম্পশেন কিংবা মণ্ডলমশাই ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কোথাও আলোকপাত করেছেন কিনা জানা নেই, তবু বাভারিয়ান আর্কাইভে খোঁজ করেছি, তথ্য থাকলে এই বিষয়ে সুনিশ্চিত জানা যাবে ভবিষ্যতে এবং এই লেখা মারফৎ সেটি জানাতে পারব এই আশা রাখি।

    আমাদের মতো অপেশাদার একজনের এই জার্মানির চিঠি লেখার একটিই উদ্দেশ্য – বিদেশে বাঙালিয়ানার অকৃত্রিম স্বাদ। ঠিক যে স্লোগানের ভিত্তিতে মিউনিখে তৈরি হয়েছিল বাঙালি সংগঠন “সম্প্রীতি”, ২০১৪ সালে। সংস্কৃতি, কলা, পর্যটন, শিল্প এবং পারস্পরিক আদানপ্রদানের বাইরেও আমার ব্যক্তিগত উৎসাহ বাঙালি মনিষীদের সঙ্গে জার্মানি তথা ইউরোপের সম্পর্ক। 

    করোনাক্রমণের কবলে বিশ্বায়ন আজ হয়তো সাময়িক লকডাউনে আছে, কিন্তু একশো বছর আগে বাঙালির বিশ্বকবিকে যদি স্প্যানিশ ফ্লু আটকাতে না পেরে থাকে, তাঁর অনাবিষ্কৃত ইতিহাস যে এই ইউরোপে আটকে থাকবে না সেই একটা ছোটো প্রয়াস নিয়েই এবারের এই অক্টোবর ফেস্ট সন্ধান।

    অনেক আবিষ্কারই যেমন অ্যাক্সিডেন্ট, সেরকমই এই অক্টোবর ফেস্টের সন্ধান আমাকে নিয়ে গিয়ে ফেলল দক্ষিণ বাভারিয়ায়, মিউনিখ থেকে স্রেফ নব্বই কিলোমিটার দূরের সেই গ্রামে - ওবারঅ্যামারগাউ।

    জনপ্রিয়তার নিরিখে, অক্টোবরফেস্ট বাতিলের গল্পটা বিশ্ববাসী জেনে গেলেও, ওবারঅ্যামারগাউ নিয়ে তেমন চর্চা হয়নি। যদিও হওয়াটা উচিৎ ছিল, কারন এই ওবারঅ্যামারগাউ-এ এমন এক সনাতনী অনুষ্ঠান হয় যা এই করোনাকবলে পড়া বিশ্ববাসীর কাছে এক সমাপতনের মতো ঘটনা। 

    প্রায় চারশো বছর আগে প্লেগের মহামারীতে যখন ইউরোপের জনসংখ্যা নির্বিচারে গত হচ্ছিল, ভীত সন্ত্রস্ত এই গ্রামের মানুষ চেকপোস্ট পাহারায় সংক্রমণ আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ক্যাসপার শিসলার নামক এক সংক্রমিত ব্যক্তি তবু বয়ে আনে প্লেগ। দুর্দশার সেই প্রহরে ১৬৩৪ সালে গ্রামের মানুষ ঈশ্বর আরাধনায় যীশুর ক্লেশ, মৃত্যু আর পুনরুজ্জীবন মঞ্চস্থ করে শুরু করে “প্যাশান প্লে”। প্রথমবার সেটি হয় প্লেগাক্রান্তদের সমাধির ওপর মঞ্চ বেঁধে । ক্রিস্টিও ধর্মালম্বীদের কাছে “প্যাশান প্লে”র এই নাটকীয় উপাস্থাপনা ততটাই জীবনের সঙ্গে জড়িত যতটা আমাদের রামলীলা । শুরু হওয়ার পর ওবারঅ্যামারগাউ-এ আর কোনও প্লেগ সংক্রমণের ঘটনা নেই। প্রতি দশ বছর গ্রামের আড়াই হাজার মানুষের যোগদানে এই “প্যাশান প্লে” রীতি বয়ে চলেছে শতাব্দীর পর শতাব্দী।  আজ স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ আর জগতজোড়া খ্যাতি। গ্রীষ্মের গোড়ায় মে মাসে শুরু হয়ে শেষ হয় গিয়ে হেমন্তের শুরুতে, অক্টোবরে। শেষবার ২০১০ সালে এমনই এক সময় ওবারঅ্যামারগাউতে একদিন কাটিয়ে দেখেছি সেই গ্রামের সর্বজনীন আয়োজন। যা প্রত্যক্ষ করতে প্রতিদিন ৫০০০ দর্শকাসন ভর্তি থাকে, প্রতি মরসুমে একশোটির বেশি শো দেখেন পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। আর সেই দর্শকাসন উজ্জ্বল করেছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব – আইসেনহাওয়ার, জাঁ পল সার্ত্রে, হেনরি ফোর্ড প্রমুখ।

    Rabindranath attending Passion Play on20.07.1930 in Oberammergau, near Munich.
    https://www.passionsspiele-oberammergau.de/en/play/history/2


    তাই রবীন্দ্রনাথের মতো নাট্যকার, গীতিকার, সুরকারের কাছে এহেন উপস্থাপনা যে অমোঘ এক আকর্ষণ সেটি আমার আগেই আন্দাজ করা উচিত ছিল। অক্টোবর ফেস্টের ইতিহাসে প্রতি বছরের বিশিষ্ট অতিথিদের নাম প্রকাশ হয় না, কিন্তু কবিগুরু যে “প্যাশান প্লে” দেখতে ২০ জুলাই ১৯৩০ সালে ওবারঅ্যামারগাউ গিয়েছিলেন, তা ছবি সহকারে লভ্য এবং অমিয় চক্রবর্তীর লেখাতেও প্রকাশিত।

    গল্পের নটে গাছটি এখানেই মুড়োতে পারত। কিন্তু, রবীন্দ্রনাথ মানে অশেষ – তাই শেষ হয়েও হইবেন না শেষ। 

    সেইবারের ইউরোপ সফরে কবির সঙ্গী অমিয় চক্রবর্তী। শোনা যায় বিখ্যাত জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতার থেকে সিনেমার একটি চিত্রনাট্যের প্রস্তাব আসে তাঁর কাছে। এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দেবিকা রানি, যিনি রবিঠাকুরের ভাগ্নির মেয়েও বটে। অমিয় চক্রবর্তী লেখেন, ২০ জুলাই “প্যাশান প্লে” দেখার পরেই, মিউনিখে গৃহবন্দি হয়ে একদিনে সম্পূর্ণ ইংরেজি চিত্রনাট্যের একটি খসরা লিখে ফেলেন। খুব সম্ভবত এই-ই ছিল সেই ফিল্মের স্ক্রিপ্ট যা কোনো কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। The Child  নামে সেই খসড়া ২০-২৪ জুলাই নাগাদ বেরোয় এবং পরে  কবিতা হয়ে প্রকাশ পায় সেটি। এটাই সম্ভবত কবিগুরুর মূল ইংরেজিতে লেখা একমাত্র কবিতা। The Child পরে বাংলায় অনুবাদ করে লেখেন “শিশুতীর্থ”। 

    অক্টোবর ফেস্টের সন্ধানে “প্যাশান প্লে” পৌঁছে যা আবিষ্কার হল তার সঙ্গে এই সমাপতনটাও জানানো জরুরি — এবছরের “প্যাশান প্লে” ২০২২ অবধি স্থগিত, যেমন ঠিক একশো বছর আগেও স্থগিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। 
     

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @