কেন ১৫ অগাস্টের রাত বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি চরম অন্ধকারময় রাত?

শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। যিনি বাঙালির অধিকার রক্ষায় ব্রিটিশ ভারত থেকে ভারত বিভাজন আন্দোলন এবং পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব দেন। যে কারণে তাঁকে 'জাতির জনক' বলা হয়ে থাকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট একদল সেনা রাষ্ট্রপতির ধানমন্ডির বাসভবন ঘিরে ফেলে এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান-সহ তাঁর পরিবার এবং ব্যক্তিগত কর্মচারীদের হত্যা করে। রেহাই পান কেবল তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
মোহিতুল ইসলাম তাঁর জবানবন্দিতে লিখেছেন, "বঙ্গবন্ধু আমার হাত থেকে রিসিভার নিয়ে বললেন আমি প্রেসিডেন্ট বলছি। এসময় দক্ষিণ দিকের জানালা দিয়ে একঝাঁক গুলি এসে ওই কক্ষের দেয়ালে লাগল। তখন অন্য ফোনে চিফ সিকিউরিটি মহিউদ্দিন কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। গুলির তান্ডবে কাঁচের আঘাতে আমার ডান হাত দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। এসময় জানালা দিয়ে অনর্গল গুলি আসা শুরু হলে বঙ্গবন্ধু শুয়ে পড়েন। আমিও শুয়ে পড়ি।"
অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল ফারুক রহমান তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, খোন্দকার মোশতাকের নির্দেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তিনি বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করেন। ১৫ অগাস্টের রাত বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে একটি চরম অন্ধকারময় রাত।
অতীত ফিরে ফিরে আসে। কী ঘটেছিল সেই রাতে, এ কথা সবাই জানেন। উইলিয়াম ফকনার বলছেন, "অতীতের মৃত্যু হয় না কখনও, এমনকি অতীত বলে কিছু নেই।" ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঢাকার ধানমন্ডিতে নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড চলেছিল। সেই হত্যাকাণ্ড সম্ভব হয়ে উঠেছিল কয়েকটি ঘটনার ধারাবাহিকতায়। এই হত্যাকাণ্ডে কি শুধুমাত্র বাংলাদেশিরাই জড়িত ছিল? নাকি তাদের উৎসাহিত করা হয়েছিল, এমনকি হত্যার সুযোগও করে দেওয়া হয়েছিল?