No Image

   

00:00
00:00
Volume

 0 Songs

    চা-বাগানের হাতছানি

    চা-বাগানের হাতছানি

    Story image

    ছুটির দিনে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কতই না নাম ঠিক করা হয়। কাপের পর কাপ আসতে থাকে। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, এই ছোট্ট চায়ের কাপের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভ্রমণের হাতছানি? তবে চলুন ঘুরে আসি চায়ের আঁতুড়ঘরে। সৌরিন টি-এস্টেটে।

     

    আসলে ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পাহাড়, মরুভূমি, মালভূমি, জঙ্গলে, সমুদ্র। সৌরিন টি-এস্টেট কিন্তু অন্যরকম। ‘সৌরিন’ কথার অর্থ ‘একশোজন রানি’।  পাহাড় ও চা বাগানে ঘেরা বাসস্থান। পাহাড়ের সঙ্গে আছে বিস্তৃত চা-বাগান। ছুটির কয়েকদিন অত্যন্ত নিরিবিলিতে সাজানো সবুজের মধ্যে পাহাড়ের ঢাল ডাকবে আপনাকে।

    সকালে চা-বাগানের মধ্যে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে চলুন। রাস্তা দেখা হবে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে, যারা চা-পাতা তুলতে ব্যস্ত। প্রাতঃভ্রমণের শেষে স্বাদ নিন তাজা গরম চায়ের। চায়ের চুমুক দিতে দিতে যদি জানতে চান কীভাবে তৈরি হয় এই চা, তারও ব্যবস্থা আছে। ঘুরে দেখতে পারেন চা কারখানা। দুপুরে খাবারে পাবেন দেশি-বিদেশি নানা ধরনের খাবারের স্বাদ। স্থানীয় খাবার খেতে চাইলে তারও ব্যবস্থা আছে। বিকেলে সাজানো পাহাড়ের কোলে থাকা বাগানে বসে চায়ের চুমুক দিতে দিতে দেখুন সূর্যাস্ত। ঝুপ করে নেমে আসা নিঃস্তব্ধ অন্ধকারে খুঁজে নিন অন্য এক জগত। এখানেই শেষ নয়, চাইলে সন্ধ্যায় পাবেন  কাঠে সেঁকা বারবিকিউব-ও। সঙ্গে আছে সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশে স্পা, স্টিম সুনা জ্যাকুজি ও আধুনিক জিমের ব্যবস্থাও।

    কীভাবে যাবেন - মিরিক থেকে সৌরিন চা-বাগানের দূরত্ব মাত্র ৮ কিমি। এছাড়া  বাগডোগরা থেকে গাড়িতেও যেতে পারেন। তবে হোটেল থেকেও ব্যবস্থা করা হয়।

     

    থাকার ব্যবস্থা- এখানে একদিন থেকে সাতদিন থাকার ব্যবস্থা আছে। থাকার জন্য ৮টি ডবল রুম ও দুটি সুসজ্জিত স্যুট রয়েছে। এছাড়া হোটেল থেকেই আশপাশ ঘুরে দেখার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

    বঙ্গদর্শনের সপ্তাহের বাছাই করা ফিচার আপনার ইনবক্সে পেতে

    @