এয়ারপোর্টে ভারতের প্রথম মহিলা ফায়ারফাইটার তনয়া

ভারতীয় এয়ারপোর্ট অথোরিটির ইতিহাসে নজির গড়লেন বাংলার মেয়ে তনয়া সান্যাল। প্রথম মহিলা ফায়ারফাইটার হিসাবে নিযুক্ত হলেন তিনি।
এয়ারর্পোটে ফায়ারফাইটার হিসাবে এতদিন ছেলেদেরই নেওয়া হত। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শারীরিক কাঠামোই এর কারণ। এই পদে মেয়েদের নিযুক্ত করা হত না এ-কারণেই। কিন্তু বর্তমানে সেই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন মেয়েরাও এমন অনেক কাজ করেন যা আগে তাঁদের উপযুক্ত বলে মনে করা হত না। তনয়া সান্যালের এই নিযুক্তি এয়ারপোর্ট অথোরিটির নতুন দিনের সূচনা বলা যায়।
ফায়ারফাইটার পদের জন্য ছেলেদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ১.৬ মিটার এবং দৈহিক ওজন সর্বনিম্ন পঞ্চাশ কেজি হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈহিক ওজন হতে হবে সর্বনিম্ন চল্লিশ কেজি। উচ্চতার মানেও কিছুটা হ্রাস করা হয়েছে। কিন্তু দায়িত্ব ও কর্মক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
বারাসাতের মেয়ে তনয়া সান্যাল। বারাসাত গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান(Botany) নিয়ে পড়াশুনা করেন। তারপর এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইস্টার্ন এয়ারপোর্টে অন্তর্ভুক্ত ট্রেনি হিসেবে নিযুক্ত হন। এয়ারপোর্টের ইস্টার্ন বিভাগের অন্তর্গত কলকাতা, পাটনা, ভুবনেশ্বর, রায়পুর, গয়া ও রাঁচি। কলকাতা এয়ারপোর্টে ট্রেনিং শুরু হয় তনয়ার। বর্তমানে তাঁর প্রশিক্ষণ চলছে। তারপর তনয়া যুক্ত হবেন প্রথম মহিলা ফায়ারফাইটার হিসাবে। তাঁর এই কাজের জন্য গর্বিত তাঁর পরিবার। তনয়ার কথায়- আমি এমন কাজে যুক্ত হচ্ছি যেখানে মানুষ ও সমাজের জন্য কিছু কাজ করতে পারব। তাঁর এই কর্মনিযুক্তি ভারতের তথা বাংলার মেয়েদের কাছে নজির সৃষ্টি করেছে।