কলকাতার মেয়ে পাচ্ছেন ইন্টারন্যাশানাল sci-fi book অ্যাওয়ার্ড

ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদার ঝুলি, তেলেনাপোতা আবিষ্কার, প্রফেসার শঙ্কু, ফেলুদার গল্প শুনে বড় হয়েছিলেন মিমি। ছোটবেলায় দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সত্যজিৎ রায়ের লেখা এইসব গল্পের বই পড়তে পড়তে ভাবতেন, একদিন তিনিও গল্প লিখবেন। তাঁর সেই স্বপ্ন সত্য হল। বিশ্বখ্যাত হুগো অ্যাওয়ার্ডের জন্য তাঁর নাম নির্বাচিত হয়েছে।
যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী মিমি মণ্ডল। ছোটবেলা থেকেই কল্পবিজ্ঞানের বই পড়তে ভালবাসেন। এইসব বই পড়েই শুরু হয় তাঁর sci-fi literature নিয়ে লেখালেখি। সেখান থেকেই বিশ্ব কল্পবিজ্ঞানের প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া। ১৯৫৩ সাল থেকে সাহিত্যের এই বিশেষ বিভাগের জন্য পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। মিমির আগে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন আর্থার সি ক্লার্ক, ফিলিপ কে ডিক, উরসুলে কে লি গুই, নেইল গাইম্যান। মিমির নাম বেস্ট রিলেটেড ওয়ার্ক ক্যাটাগরিতে ‘Luminescent Threads: Connection to Octavia E-Butler’ বইটির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এটি একটি সাহিত্যসংকলন। মিমি ও অস্ট্রেলিয়ান লেখক আলেকজান্দ্রা পিয়ের্স একত্রিত ভাবে এই কাজ করেছেন।
মিমি কলকাতার নবনালন্দা এন্ড ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের ছাত্রী। যাদপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করেন। এরপর পাবলিশিং নিয়ে MLitt করেছেন স্কটল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে। সেখান থেকে Commonwealth scholar পেয়েছিলেন। মিমি আমেরিকার রুটগার বিশ্ববিদ্যালয়(Rutgers University) থেকে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের উপর মাস্টারস করেন। স্কুল জীবন থেকেই কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য নিয়ে নানা লেখালাখি করছেন তিনি। ২০১৫ সালে সাইন্স ফিকশন রাইটিং ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই বিশ্বের দরবারে তাঁর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। মিমি’র এই সাফল্য নতুন ভাবে উৎসাহিত করছে কলকাতার ছেলে-মেয়েদের।