মঙ্গলে লক্ষ্মীছাপ রাখতে চান এই তরুণী

অনীতা সেনগুপ্ত। স্বপ্ন দেখেন মহাকাশ ভ্রমণের। অজানা পথের মতোই, মহাশূন্যকে আবিষ্কারের এক চরম নেশা যেন। পিতা শ্যামল সেনগুপ্ত পশ্চিমবাংলার বাসিন্দা। অনীতার জন্ম দেশ থেকে অনেকদূরে গ্লাসগোতে হলেও, মনেপ্রাণে খাঁটি বাঙালি। বর্তমানে কর্মসূত্রে আমেরিকার বাসিন্দা। তিনি নাসার কোল্ড অ্যাটম ল্যাবরেটরি(CAL)-এর সঙ্গে যুক্ত। অনীতার ‘অন্তরীক্ষ রকেট প্রোজেক্ট’ কাজটি ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশন(ISS)-এর গবেষণার বৃহত্তর ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। এটি এমনই একটি প্রোজেক্ট যেখানে বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হয় গতিশূন্য, নিশ্চল এবং প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাজ করতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতলতম জায়গা বললে হয়তো ভুল হবে না।
অনীতা পড়াশুনা করেছেন অ্যারো স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। এই বিষয়ে পিএইচডি করেছেন সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ভিটেরবি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে।
অনীতা সেনগুপ্ত ‘supersonic parachute system’-এর প্রবর্তক। এই পদ্ধতি ‘সেভেন মিনিট টেরর’ নামে পরিচিত। এই নতুন তত্ত্বের সূত্রপাত হয় মঙ্গলগ্রহ নিয়ে গবেষণা চলাকালীন। মাদ্রাস আই.আই.টি তে চলা এক আলোচনাসভায় তাঁর ভালোবাসার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, নির্ভুলভাবে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করা। এখন আমার জীবনে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অনীতার তাঁর বর্তমান গবেষণা নিয়ে খুবই আশাবাদী। এই গবেষণা ‘বোস আইনস্টাইন কনডেস্টেট’-এর শূন্য তত্ত্বকে নিয়ে। বর্তমানে তিনি ভার্জিন হাপোলুপ ওয়ানের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সিনিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিযুক্ত। এটি লস এঞ্জেলেসের একটি কোম্পানি, যারা পৃথিবীতে প্রথম হাইপারলুপ তৈরি করে।
অনীতার অবসর সময়ের সঙ্গী তাঁর স্পোর্টস বাইক। সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন অজানা পথের উদ্দেশ্যে। পছন্দ করেন বাংলার মিষ্টি। বাইকে করে যেমন দেশ-বিদেশ ঘুরে জানা যায় নতুন অনেককিছু, ঠিক তেমনই মহাকাশের অজানাকে জানার অদম্য ইচ্ছা তাঁর ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।\