‘আলো করিয়ে’-দের শিল্পীর মর্যাদা দিতে লাইট হাব

তাঁরা পরিচিত ‘আলো-করিয়ে’ হিসেবেই। অথচ তাঁদের হাত ও মেধার যাদুতে কেবল চন্দনগরই নয় আলোর জোছনায় ভেসেছে প্রায় গোটা বিশ্বই। কিন্তু তাঁরা রয়ে গেছেন প্রচারের অন্তরালেই। আলোর কারিগরদের ‘শিল্পী’-র মর্যাদা দিতেই এবার চন্দননগরে তৈরি হতে চলেছে ‘লাইট হাব’।

তারকেশ্বরের প্রশাসনিক সভায় লাইট হাব তৈরির প্রস্তাব রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একসময়ের ফরাসি কলোনি চন্দননগরে কবে থেকে জগদ্ধাত্রীপুজো শুরু হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করেই বিবর্তিত হয়েছে এখানকার আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জা শিল্পের মানচিত্রে গোটা ভারতেই চন্দননগর একটা ‘ফেনোমেনন’। তবুও এতদিন ‘আলো-করিয়ে’দের কেউ শিল্পীর মর্যাদা দেয়নি।

লাইট হাব তৈরি হলে কারিগরি শিল্পীদের সঙ্গে ডিজাইনারদের একটি যোগসূত্র গড়ে উঠবে। পরিকল্পনা আছে আইটিআই তৈরি করে সেখানে যুবক যুবতীদের আলোকশিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষিত করার।
